১. অনেক দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে লিখতে বসলাম। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ দেখতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশ বনাম থাইল্যান্ডের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ। হাজার হাজার দর্শক। স্টেডিয়ামে বসা এত দর্শকের উশ্রিংখলতা ঠেকানোর জন্য পুলিশকে দায়িত্ত দেয়া হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে তারা তাকিয়ে থাকবে দর্শক দের দিকে। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। স্টেডিয়ামে মোতায়েন করা পুলিশরাও মজা করে খেলা দেখছে। মনে হচ্ছিলো তাদের আনাই হয়েছে খেলা দেখার জন্য। অথচ আমি দেখেছি অনেক দর্শক গ্রীল বেয়ে বেয়ে এদিক সেদিক চলে যাচ্ছিলো। এদিক সেদিল বোতল নিক্ষিপ্ত হচ্ছিলো।
২. অবরোধে আমাদের সাহসী ও সৎ পুলিশরা দূরপাল্লার বাস মালিক কত্রিপক্ষের সাথে বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হলো যে তারা বাসগুলোকে পেট্রল বোমা থেকে বাঁচিয়ে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পোঁছে দেবে। কিন্তু বাস্তবে হলো কি? সেই বাসগুলোতেও বোমা হামলা হলো। আমাদের সাহসী পুলিশ দের সাহসের কোন পাত্তাই দিল না। এ হলো আমাদের দেশের পুলিশ ঢাল-তলোয়ারসহ নিধিরাম সর্দার।
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তে এমনিতেই সবসময় পুলিশে গিজগিজ করে। তার উপর চলছে বইমেলা। নজরদারি (নাকি বসে বসে মোবাইলে গান শোনা) আরো ব্যাপক, তার উপর বইমেলার অবস্থান শাহবাগ থানা থেকে সামান্য একটু দূরে। এর মধ্যে ঘটে গেলো অভিজিতের নৃশংসতম খুন। ভয়েই যায় নাই। এতই যখন ভয় তখন পুলিশে চাকরি না নিলেই হত। কিন্তু উপরি নেয়ার সময়তো ভয় করে না।