হায় আল্লাহ!!
(পুতুল ও সন্ধ্যাপ্রদীপ)
------------------------------
হায় আল্লাহ!
আমাকে তুমি রাজাকার কেন বানালে না।
পাক হুজুরদের পদলেহন করে,
যুবতী বোন আর মায়েদের ইজ্জত
নিবেদন করতাম প্রভূদের চরণে।
সব হিন্দুদের খতম করতাম
জমিজমা ঘড়-বাড়ি কেড়ে নিতাম।
আরবী হরফে উর্দু লিখতাম
আর উর্দু হরফে বাংলা !
একুশের বইমেলায় ওয়াজ ফরমাইতাম।
বাংলা ভাষা ও দেশকে দুনিয়ার জমিন থেকে
জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতাম।
বারে এলাহী, পরজনমে যেন রাজাকার হতে পারি,
আমিন .
হায় আল্লাহ!
আমাকে তুমি রাজাকার কেন বানালে না।
আমি যদি রাজাকার হতাম
ঠাকুর আর গুনের শ্মশ্রু নিয়ে বাড়াবাড়ি
পবিত্র নবীজির অবমাননা বলে
ঘোষনা দিতাম ।
চালাকী কত বেটাদের
দাড়ি আর পান্জাবী ঝুলিয়ে
ফন্দি এটেছে পুলসেরাত দেবে পাড়ি
পবিত্র নবীজির শাফায়াতে
তারই চোখে ধুলো দিয়ে ।
ঘরে ঘরে বেটাদের পোট্রেট যত
ধুলো ঝাড়ার মত চিরুনীপিটা করে
ঝড়িয়ে দিতাম সব বেদাতী কারবারী ।
আর বেটা নজরুল
প্রমীলার খপ্পরে দিকভুল
চুনকাম লাগিয়ে সাদা সাদা আভায়
সুন্নতী দাড়ির পরশ দিতাম তায় ।
আর কবিতাগুলো ওর
জাতীর কবিতা বলে বদলে দিতাম
''অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রনভুমে রণিবেনা''
না, কোন ভীম-শ্যাম নয়, বলে দিতাম
''অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ পাইক্যা রনভুমে রণিবেনা''
হায় আল্লাহ!
আমাকে তুমি রাজাকার কেন বানালে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:০৭