গতকাল্য একখানা প্রমিলা রোগী পাইলাম। হা করিতে তাহার ব্যামো হইতেছে তিনি সকল প্রয়াস করিয়াছেন তথাপি কথা বলিতে পারিতেছেননা।হা করে বাচ্যদান করিতে গেলে তাহার মুখ ব্যথিত হয়। নজর করিয়া দেখিলাম, সেই প্রমিলা হা করিয়া বাচ্যদান করিতে না পারিলেও হা করিয়া ঠিকই গলগ্রাসে প্রত্যেহ ভোজন করিতেছেন । ইহাতে তাহার একটুও বিমার হইতেছেনা Cook
অনুসন্ধান করিয়া পাইলাম, স্বামী দূর দেশে বাস করে। তাহাকে নিকটে টানিয়া আনিতেই তাহার এই বোবা হইবার নাট্টাভিনয় ( ওরে মোর খোদারে )
ইয়া রব,তুমি মোরে ইরাম বউ দিওনাগো। আমি এত নাটক সিনেমা দেখিতে পারিবনা।
(বিঃদ্রঃ যাহারা তাহার লিখা দেখিতে চান উপরে তাহার স্বহস্তে লিখা অনুলিপি সংযুক্ত)
এবার আসি,চলিত রীতির আজকের অভিজ্ঞতায় আরেক প্রমীলা রোগীর কথায়। কয়েকদিন আগে জেনারালাইজড উইকনেস নিয়ে এক প্রমীলা ভর্তি হয়েছিল। আজ ছুটি দেয়া হল। প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে সে জানতে চাইছে কি কি খেতে পারবে আর কি কি পারবেনা। তাকে জানালাম, "দেখেন আপনার খাবারে কোন বাছ বিচার নেই। আপাতত আপনি সবই খেতে পারেন"
পরলাম এবার মালির ঘাড়ে মানে মহাযন্ত্রনায়। তার এক কথা " লিখে দেন কি কি খাব আর কি কি খাওয়া যাবেনা"
মুলত পূর্বের কয়েকটি রোগীর প্রেসক্রিপশনের বাধ্যবাধকতা দেখেই তার এই জোড়াজুড়ি। আমি তাকে আবারো বুঝালাম আপনি সব খেতে পারেন। তিনিও নাছোড়বান্দা, " লিখে দেন কি কি খাব আর কি কি খাওয়া যাবেনা"
অতপর প্রেসক্রিপশনে লিখে দিলাম," কঠিনের মাঝে লোহা খাওয়া মানা/ আর তরলে খাবেননা পাতলা পায়খানা "
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১