somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শরীরের যত কলকব্জাঃ উপসংহার

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত দুটি পোষ্টে মানুষের শরীর কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি।
শরীরের যত কলকব্জা (১)
শরীরের যত কলকব্জা (২)
সম্ভবতঃ জ্ঞানের যত শাখা আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী volume এর বই, সবচেয়ে মোটা মোটা বই মানুষের চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়েই । সেই সাথে সবচেয়ে কষ্টসাধ্য, সবচেয়ে বেশী শ্রম দেওয়া লাগে এই জ্ঞানভান্ডার কে আয়ত্ব করতে। হাজার হাজার বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানান্তকর চেষ্টায় এই সব জটিল শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের কিছু অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে,অজানা রয়ে গেছে এখনো অনেক কিছু।
কিছু biological বৈশিষ্ট প্রায় সকল প্রানীর ই থাকে। সাধারন বৈশিষ্ট ছাড়াও বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট একেক গোত্রীয় প্রানীদের জন্য বোনাস হিসাবে দেওয়া আছে। মাছ পানির মধ্যে চলাচলে সক্ষম তার শরীরের বিশেষ কিছু গুনের কারনে যেমনি ভাবে পাখি আকাশে স্বচ্ছন্দে উড়ে বেড়ায় তার স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট আছে বলেই। আবার বিশেষ বিশেষ মাছ বা পাখির আরো কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট বিদ্যমান। ঈল মাছ তার শরীরে উচ্চ শক্তির বিদ্যুৎ তৈরী করতে সক্ষম। migratory bird গুলো কতদূর থেকে navigation ঠিক রেখে তাপমাত্রার পার্থক্য বুঝে তার ঠিকানা খুজে নেয়। কিন্তু মাছ বা পাখি জানে না তার এইসব গুনাগুনের কথা। কোন প্রানীই জানে না দিবা রাত্রি তার শরীরে কত শত কলকব্জা কাজ করে যাচ্ছে। সৃষ্টির সেরা মানুষ হয়েও যদি আমরা একই রকম উদাসীন থাকি তাহলে আমরা নিজেদের মর্যাদাকেই শুধু নিচু করলাম। সুতরাং বুদ্ধিমান মানুষের উচিত হবে শরীরের এই কলকব্জার একটা নুন্যতম ধারনা লাভ করে সেই মহান কারিগরের নিপুন ক্ষমতাকে চেনা।
উদ্দেশ্য একটাই-এই শরীর যতই অনন্য হোক, এটা নশ্বর। খুব শীঘ্রিই এটা ক্ষয়ে যাবে, দুর্বল হয়ে যাবে। এবং একসময় ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক এটা পরোপুরি অচল হয়ে যাবে। সেই সময় আসার পূর্ব্বেই এটাকে ব্যবহার করে এর থেকে উত্তম শরীর বানিয়ে নেওয়া যেন তা উত্তম এক বাসস্থানে অনন্তকালব্যাপী শান্তিতে থাকতে পারে। আল্লাহ তায়ালা এই শরীরকে আমাদের কাছে আমানত হিসাবে দিয়েছেন এবং একসময় এর হিসাব দিতে হবে। অন্য কোন প্রানীকে হিসাব দিতে হবে না। মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তার সামনে একদিন দাড়াতে হবে। আল্লাহ তায়ালা তার পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি মউত এবং হায়াতকে সৃষ্টি করেছি দেখতে চাই কে উত্তম আমাল করে ” । মৃত্যুর পরে যে জীবন আমাদের সামনে চলে আসবে সেটাই আসল জীবন, এই জীবন শুধুমাত্র প্রস্ততির জায়গা। মায়ের পেটে যেমন বাচ্চার হাত পা নাক মুখ এগুলো তৈরী হয়, ঐ হাত দিয়ে সে ধরে না, ঐ পা দিয়ে সে চলে না, ঐ মুখ দিয়ে সে কথা বলে না, খায়ও না। ঐ নাক তার নিঃশ্বাস নেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় না। কিন্তু ঐখানে যদি এগুলো তৈরী না হয় এই ঘাটতি নিয়ে বাকী জীবন তার কি নিদারূন কষ্টেই না কাটবে? আজ আল্লাহর হূকুম কে অনর্থক মনে হচ্ছে, না মানলেও ক্ষতির কিছু মনে হচ্ছে না কিন্তু অচিরেই বুঝে আসবে এগুলো কি প্রয়োজনীয় ছিল !! তখন আর ফিরে আসার সুযোগ ও মিলবে না।

সুতরাং যার ইচ্ছা সে তার পালনকর্তার পথ অনুসরন করুক”
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১৭
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×