ইসলাম ধর্ম হল "দ্বীনে ফিতরাত" বা মানুষের স্বভাব গত ধর্ম।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম যেহেতু শেষ নবী তাই পরিবর্ধন বা পরিমার্জন কোরান ও হাদিসের বিপক্ষে যায় এমন কোন ভাবে করা যাবে না। দ্বীনের সার্বিক বিধানবলী কোরান ও হাদিসে যে ভাবে বলা হয়েছে সে ভাবেই রাখতে হবে। ইসলাম ধর্মের রীতি-নীতি কোন রসম , কোন সংস্কৃতি , কোন অলি-বুজুর্গের খেয়াল খুশি মত বাড়ানো কমানো যাবেনা। এব্যাপারে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই সজাগ থাকতেন।
হযরত ইবনে উমর রাজিআল্লাহু আনহু এক ব্যাক্তিকে সিনার উপরে হাত উঠিয়ে মোনাজাত করতে দেখে বললেন এটা বিদাআত।অতঃপর বললেন , নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বিশেষ সময়ু ছাড়া এভাবে হাত উঠিয়ে দোয়া করতেন না। -মিশকাত পৃঃ-১৯৬/ কিতাবুদ্দাওয়াত।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল রাজিআল্লাহুতালা আনহু স্বীয় ছেলেকে নামাযের মধ্যে সুরা ফাতেহার শুরুতে বিসমিল্লাহ উচ্চ স্বরে পড়তে শুনে বললেনঃ বৎস এটি বিদাআত ; বিদাআত থেকে দুরে থাক। আমি হযরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লামকে , হযরত আবুবক্কর সিদ্দিক রাজিআল্লাহুতালা আনহু , হযরত উমর রাজিআল্লাহুতালা আনহু , হযরত ওসমান রাজিআল্লাহুতালা আনহুর পিছনে নামায পড়েছি, উনাদের কারো কাছ থেকে এরুপ শুনিনি।- তিরমিজী ১/৫৭ ( বিসমিল্লাহ না পড়ার অধ্যায় )
হযরত ইবনে উমর রাজিআল্লাহুতালা আনহুর সামনে একবার কোন এক ব্যাক্তি হাচি দিলে সেই ব্যাক্তি আলহামদুল্লিল্লাহি ওয়াসলামু আলা রাসুলিল্লাহ বললেন অর্থাৎ " ওয়াসলামু আলা রাসুলিল্লাহ " হাচির আসল দোয়া থেকে বাড়তি বললেন।সাথে সাথে হযরত ইবনে উমর রাজিআল্লাহুতালা আনহু বললেন ,এটি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লামের শিক্ষা নয়। - মিশকাত পৃ-৪০৬ ( হাচি অধ্যায় )।
উপরোক্ত হাদিসগুলো দ্বারা এই কথা প্রতিয়মান হয় যে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সংযোজন করে সেটিকে দ্বীন বলে চালানো জায়েজ নাই।
প্রিয় বল্গার ভাইদের-বোনদের বলছি তাই এই বিষয়ে লিখিত বই আশরাফ আলী থানবী রহমতুআল্লাহ আলাইহী প্রনীত " প্রচলিত ভুল মাসআলা মাসায়েল " বইটি থেকে কিছু কিছু করে ধারাবাহিক ভাবে আগামী পোষ্ট গুলোতে তুলে ধরার চেষ্টা করব।আমার এই প্রচেস্টা যেন আল্লাহর রহমতে সফল করতে পারি, তাই আপনাদের কাছে দো্য়া চাইছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১২