কবিতার অন্ত্যমিল ও সমান মাপের দু'টি চরণ বিশিষ্ট শ্লোক বহুকাল থেকেই আমাদের গ্রাম বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। ঈশপের গল্পের শেষে যেরকম নীতিবাক্য থাকে-অনেকটা সেই রকম হয় এই শ্লোকগুলি।
আমার এক পরিচিত জন,বাড়ী ময়মনসিংহ জেলায়, কথায় কথায় কিংবা বলা যায় কথার পিঠে তিনি শ্লোক ব্যবহার করেন। নিচের শ্লোকগুলি বেশিরভাগই তার কাছ থেকে সংগ্রহ করা।
আপনারাও এখানে যোগ করতে পারেন।
১.
রাজার পোলা হাত্তি মাইরা
লাজে না করে রাও
কোতওয়ালের পোলা কুত্তা মাইরা
হারাবাড়ি করে রাও।
২.
এক বউ ছাড়লাম আমি
চাইল চাবানির ডরে
আর এক বউ আমার
তুষে মুষে গিলে।
৩.
বিপদে পড়িলে হায়!
ধরিও বান্দিরঅ পায়।
৪.
মায়ে রান্দে বাত টুবু টুবু লাগে
বুবু রান্দে বাত টেফা টেফা লাগে;
গরের গিন্নি রান্দে বাত
গিত্য মজা লাগে।
৫.
পোলার উডে দাড়ি
ঘুরে বাড়ি বাড়ি
মেয়ার উডে স্তন
মায়ে না পায় মন।
৬.
থাকতে পাইলামনা
কোয়া কান্দি
মললে পরে দিবো
আমারে ছিরি আংটি।
৭.
কি গো আছিলা বোসাই
কি গো হইলা
একমুঠা ধান নিয়া বোসাই
চিতর হইয়া পড়লা।
৮.
বড় নষ্ট ঘাডে
পোলা নষ্ট
পাড়া পরশির চাডে।
৯.
মাছ খাইলে মাগুর
নাং ধরলে ঠাকুর।
১০.
বাইংলে চিনবি লাই
মরলে চিনবি হাই।
১১.
মায়ের নাম পেচকি বান্দি
পুতের নাম শা সুলতান গাজি।
১২.
দার করে হাঙ্গা
হেই বউ নিয়া নেঙ্গা পেঙ্গা।
১৩.
কত রঙ্গ দেহাইলা মাঐ
পিঠার দেহাইলা ঠ্যাং
নদীর মইধ্যে ব্যাঙ
পাগারের মইধ্যে বড় বড় কই মাছ।
১৪.
বাসে এক
বছরে বারো
এর কম যে যত পারো।