somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে শহীদ করেছে বিএসএফ বাংলাদেশী মুসলমানদের নির্মমভাবে শহীদ করা,

১৭ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই অভিযোগটি ভারতের একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রতি এক অন্যায় অভিযোগ। পেশাগত দক্ষতায় অনভিজ্ঞ আমাদের দেশের সাংবাদিক মহলও এ বিষয়ে না বুঝে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে থাকেন। বুঝতে হবে যে, নিরীহ বাংলাদেশী মুসলমানদের বিনা বিচারে গুলি করে, পিটিয়ে, কুপিয়ে কিংবা পানিতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে[img|http12857

শহীদ করা হচ্ছে ভারতীয় বৈদেশিক নীতির এক নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। বিএসএফ কার্যক্ষেত্রে ওই নীতির প্রয়োগকারী একটি সংস্থা মাত্র। আমাদের পত্রিকায় লিখা উচিত এমনিভাবে যেমন, “আজ ভারতীয়রা রংপুর সীমান্তে এক নিরীহ বাংলাদেশী যুবককে কুপিয়ে শহীদ করেছে।”

সংবাদের অন্যান্য তথ্যের মধ্যে লিখা থাকতে পারে, ভারতীয় কোনো সংস্থা ওই কাজটি করেছে। কমিউনিস্ট বিপ্লবের পূর্বে ইংরেজরা চীনের জনগণকে আফিম খাইয়ে দীর্ঘ ২০০ বছর ঘুমিয়ে রেখেছিল। আমরাও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। দু’দেশের প্রতিটি আন্তর্জাতিক নদীতে ভারত বাঁধ দিয়ে আমাদের জন্য পানি বন্ধ করলেও বন্যা বইয়ে দিচ্ছে ফেনসিডিল, গাজা ও চরিত্র হরণকারী ভিডিও ও সাহিত্য দিয়ে।

সাবাশ বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনী। দেশের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি দক্ষতার সাথে প্রতিরক্ষা করতে পারলে দেশ ও ক্ষমতাসীন দল দুই-ই রক্ষা পায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, তারা হীনব্যক্তি স্বার্থে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি অন্ধ আনুগত্যতা দেখাতে গিয়ে দেশ এবং দল দুটোকেই বারবার বিপদে ফেলেছে।
গত ৪০ বছরে আমাদের দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক গোলযোগের লম্বা তালিকার দিকে তাকালে বিষয়টি দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার হয়ে উঠে। সরকারকে এই বাহিনীর-ই বলার কথা যে, ভারতীয়দের এই সীমান্ত হত্যাযজ্ঞের মূল উদ্দেশ্যেটা কী?

প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী মুসলমানদের নির্মমভাবে শহীদ করা, তাঁরকাটাতে ঝুলিয়ে রাখা সবই হচ্ছে বাংলাদেশীদের বুঝানো যে, জাতি হিসেবে আমরা যবন, মৃত্যুই আমাদের একমাত্র মুক্তির পথ। যদি আগামীকাল সমস্ত বাংলাদেশীরা হাত তুলে সিকিমের মতো ভাগ্যবরণ করে নেয়, পরদিন থেকেই সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে। যেমন সিকিম সীমান্তে এখন কোনো হত্যাকা- নেই, আসলে ওখানে এখন কোনো সীমান্তই নেই। নদীর পানি বন্ধ, ফেনসিডিলের বন্যা, তাঁরকাটার বেড়া, সীমান্ত হত্যা, দক্ষিণ তালপট্টি দখল সবই ওই এক মহান উদ্দেশ্যে। যে উদ্দেশ্যে ভারত বন্ধুপ্রতীম হয়ে এগিয়ে এসেছিলো ১৯৭১ সালে। ভারতকে বন্ধুপ্রতীম! বন্ধুপ্রতীম!! বলে মুখে ফেনা তুলে অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই সোনার বাংলাকে যেন আমরা ভূগোল থেকে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে না দেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সহায় হোন। আমীন।

সবশেষে আমাদের জেনে রাখা দরকার যে, বিএসএফ আমাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে না, করে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা, যারা বাহ্যিকভাবে এক বন্ধুপ্রতীম ‘বড়ভাই’-এর মতো আচরণ করে, অথচ ভিতরে নেকড়ে বাঘ।



ভারতকে বন্ধুপ্রতীম!


চিতাকে দেখে তার দিকে এগিয়ে গেল সিংহ, জিজ্ঞেস করলঃ
বনের রাজা কে?
-কে আবার! আপনি।
বানরকে দেখে একই প্রশ্ন করল সিংহঃ বনের রাজা কে?
-কে আবার! আপনি।

বনের সব পশুকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস
করে সিংহ একই উত্তর পেল। বাকি ছিল শুধু হাতি।
তার কাছে গিয়ে সে জানতে চাইলঃ বনের রাজা কে?
.
.
.
কোনো উত্তর না দিয়ে হাতি সিংহকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছড়ে ফেলল মাটির ওপরে। আবার একই কাজ করল হাতি।

দৌড়ে একটু দূরে সরে গিয়ে সিংহ বলল, এত খ্যাপার কী আছে! উত্তর জানো না, তা বললেই পারতে!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×