ছোটবেলায় অ-আ আর ক-খ শিখেছিলাম বলেই এখন খবরের ডিজিটাল পাতা কিংবা ফেইবুকের পাতায় বর্ণমালার সন্নিবেশে শব্দগুলো দিয়ে সংবাদ চোখের সামনে ভাসে তা পড়তে পারি।
এই সময়ে এসে- মনে হয় বর্ণমালা শিখার তো কোনো প্রয়োজনই নেই। ভয়েস এর মাধ্যমে এআই রোবট খবর পড়ে দিচ্ছে। ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কোনো কিছু লিখতে চাইলে সহজেই লেখা হয়ে যাচ্ছে। তাই আর নতুন করে বর্ণ বা ভাষা শেখবো কেন? অন্য ভাষার শব্দগুলোও শুধু গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে সহজেই বুঝতে পারি। এই যে না পড়তে চাওয়ার প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে তার ব্যাপকতা অনেক। কোথাও কোথাও এর চর্চা অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যেখানে শুধু কপি আর পেস্ট হয়। মূল গল্পে শুধু নামের পরিবর্তন হয়। ভেতরে কি আছে তার পড়ে দেখা সময়ও অনেকের হয়ে উঠে না।
তাহলে কি নতুন নতুন সুবিধাগুলো গ্রহণ করবো না। জীবনকে সহজ করবো না। আমাদের জীবনকে সহজ করতে আমরা অনেক কিছুই করি। যার কপি পেস্টের কাজ সে শুধু তার কপি পেস্ট এর কাজ করেই চলেছে কিন্তু যার পড়ার কাজ তিনি কি তার কাজ ঠিকভাবে করছেন?
সোজা কথায় পড়ার কাজ টা যেন দিন দিন বিরুক্তিকর উঠছে। এই সময়ে তা কি সবার জন্যই হচ্ছে।
তাই লেখার সময় শব্দ খুঁজে পাই না। আর কোন কিছু লেখতে গেলে কারো পক্ষে কারো বিপক্ষে বলতে হয় । এই ভাবনায় পাগল হয়ে যাই।
তবে প্রকৃতি নিয়ে কথা বললে কোনো পক্ষ থাকে না। আর বর্ণভাষার ভান্ডার খুঁজে পাই না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০২