নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দশ সঙ্গীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
কাদের সিদ্দিকী ও জনা ছয়েক সঙ্গী গামছা বিছিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে শুয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
সঙ্গীদের ফিরে পেয়ে রাস্তায়ই গামছা বিছিয়ে শোকরানা নামাজ আদায় করেন বঙ্গবীর ও তার সঙ্গীরা।
এর আগে বিএনপি অফিসে ঢোকার মুখে ওই দশজনকে আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাস্তায় নেমেই গামছা বিছিয়ে শুয়ে পড়েন বঙ্গবীর। সঙ্গে তার দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতিকসহ আরো জনা পাঁচেক নেতা। ছিলেন বঙ্গবীরের স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীও।
রাস্তায় শুয়ে পড়েই বিএনপি অফিসের গেট থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া তার সঙ্গের দশ নেতাকে বিএনপি অফিসের গেটেই ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান কাদের সিদ্দিকী।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করতে পারেন। মারতে পারেন। কিন্তু আমার নেতা-কর্মীদের এখানে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না।’
তাকে চ্যাংদোলা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পল্টন থানার ওসি শহীদুল ইসলাম এসে অনুরোধ করেন, ‘স্যার, আপনি চলে যান। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার সঙ্গীদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’
জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এখান থেকে যাদের ধরে নেওয়া হয়েছে, তাদেরকে এখানেই ফেরত দেওয়া দিতে হবে। তার আগে যাবো না।’
এ পরিস্থিতিতে দশ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মাথায় বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে তাদের বিএনপি অফিসের গেটে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়।’
এ সময় ওসি শহীদুল বলেন, ‘আমরা বঙ্গবীরের সঙ্গীদের চিনতে পারিনি। তার নিরাপত্তার জন্যই ওই দশজনকে আটক করা হয়। এখন পরিচয় নিশ্চিত ছেড়ে দেওয়া হলো।