somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিপোস্টঃ বিজয় দিবসে আমাদের দেহের রক্ত হোক বিশুদ্ধ্ব লাল আর মন হোক সবুজ

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের মধ্যে একটা ট্রেন্ড আছে তা হল - কয়েকজন যদি খুব কনফিডেন্টলি কিছু একটা করতে শুরু করে.....খুব দ্রুতই তা অন্যান্য মানুষগুলো ফলো করতে শুরু করে; কি করা হচ্ছে, কেন করা হচ্ছে, এটা করা আদৌ যৌক্তিক/ অর্থপূর্ণ কিনা, এর পরিনাম টা ই বা শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়াবে................ইত্যাদি ভাবার কারো কোন অবকাশ নেই। এভাবে যখন ব্যপারটা অনেকের মধ্যেই প্রচলিত হয়ে যায়, তখন নিজের অজান্তেই বাকিরাও তা গ্রহন করে ফেলে।

হয়তো কেউ কেউ ভাবি যে, "আমরা যা করছি তা কেন করছি?আমরা কি ঠিক কাজ করছি?" যদি উত্তর পাই যে "ঠিক", তাহলে একটা প্রশান্তি পাই। যদি মনে হয় যে "না, পুরোপুরি ঠিক না / অর্থহীন/ কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেকের জন্য কষ্টকর বা ক্ষতিকর ও বটে"- তখন? তখন মনে একটা চাপা অশান্তি আসলেও ...... যেহেতু সমাজের সকল সামাজিক জীবের মধ্যে এটাই প্রচলিত সেহেতু আমরাও ব্যাপারটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়তে বাধ্য হই।

এতোগুলো কথা বলার পিছনে আজকে আমার একটা উদ্দ্যেশ্য আছে। তা হল- আমরা বিজয় দিবস বা এধরনের বিশেষ বিশেষ দিন গুলিতে কি করি/ কেন করি তা নিয়ে একটু ভাবা। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস, বছর ঘুরে আমাদের খুব কাছে চলে এসেছে আবার। ছোটবেলায় দেখতাম সবাই পতাকা দিয়ে চারদিক সাজিয়ে তুলতো, বিজয়ের আনন্দ কী তা ঐ মুহূর্তে উপলব্ধী না করতে পারলেও - একধরনের আনন্দ আমিও পেতাম।

এখন দেখি শুধু পতাকা দিয়ে চারদিক সাজালেই হবে না, নিজেকেও সাজতে হবে জাতীয় পতাকার রং-এ রঙ্গীন বেশভূষায়! জামাকাপড় কেনার প্রতি আমার আগ্রহ তুলনামূলক কম। তার পরও নতুন জামা পরে বাইরে ঘুরতে যাওয়া নিশ্চয়ই মজার ব্যাপার! কিন্তু ছুটির দিনে ঘরে বসে অলস সময় কাটানোর মায়ায় এসব কখনো করা হয়নি।বিজয় দিবসের মত একটা বিশেষ দিন কে আমি অন্যদের মত করে উদযাপন করিনি এর আগে, কিন্তু তার মানে কি এই দাড়ালো যে- আমি বিজয় দিবস উদযাপন করতে আগ্রহী নই বা আমার দেশকে আমি ভালোবাসি না?

প্রায়ই আমি ভাবতাম যে আমি যদি আমার চারপাশের অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াতে পারতাম! ভাবা পর্যন্তই...............কখনো তেমন কিছু করা হয়নি কারো জন্য।কারন- "দশের লাঠি একের বোঝা, জোট বাধিলে সবই সোজ"। এখন আমি তাই জোট বেধেছি " কমিউনিটি অ্যাকশন " এর সাথে। যার উদ্ভব হয়েছে "Even a smile is charity" - এই বিশ্বাস থেকে। এর মেম্বার দের প্রত্যেকে যার যার সুযোগ সুবিধা মত যে কোন vacation বা নিজের free time এ কিছু না কিছু কাজ করার চেষ্টা করে, এমন কিছু- যা অন্যের মুখে হাসি ফোটায় আর তা দেখে নিজের মুখেও হাসি ফুটে ওঠে নিজের অজান্তেই

মানুষের জন্য কিছু করতে হলে কোন বিশেষ দিবসের প্রয়োজন নেই- তা ঠিক। তবে বিজয় দিবসে যদি আমরা সাজ সজ্জা/ বেশভূষা কে প্রাধান্য না দিয়ে কারও উপকারার্থে কিছু করি- তা তে তো কোন ক্ষতি নেই........তাই না? গতবার তাই কমিউনিটি অ্যাকশন এবং 1di কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল, যেমন- বিনামূল্যে-- রক্ত দান কর্মসূচি, রক্তচাপ মাপা, ঔষুধ বিতরন, শীতবস্ত্র বিতরন, এতিমখানার শিশুদের জন্য লাইব্রেরী স্থাপন ইত্যাদি(বিস্তারিত )। এতে পাশে এসে দাড়িয়েছিল প্রায় ৪৩ টি অর্গানাইজেশন, যেমন- Labaid Group, Institute of Business Administration (IBA) ইত্যাদি ছাড়াও অংশগ্রহন করেছিল সিলেটের একটি রিকশা গ্যারেজের রিকশা চালকেরা -যাদের সাহায্যে ১০০ এরও বেশি জন কে ফ্রি ঔষুধ বিতরন করা সম্ভব হয়। (বিস্তারিত )

এবার আশা করা যাচ্ছে যে এধরনের আরেকটু বেশি কিছু কাজ করা সম্ভব হবে (বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন )
কেননা এবার CommunityAction, 1di এবং BYEI একত্রে আরো নতুন নতুন পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে । গতবারের মত এবারো রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি বা অর্গানাইজেশন এর এ কাজে অংশগ্রহনের সুযোগ। আপনিও চাইলে সাহায্য করতে পারেন এ ধরনের কাজে, voluntary work, donation, new or better idea/ information দিয়ে। ঘরে বসেই আপনি অংশ নিতে পারেন! (বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)

বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবো, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে?


এছাড়াও দেখুন এ সম্পর্কিত অন্যান্য পোস্টঃ
সোহায়লা রিদয়ানের ব্লগ

বোহেমিয়ানের ব্লগ

নাবিলা ইদ্রিসের ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৩
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×