
সমন্বয়কের নামে বা যেকোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র নেতার চাঁদাবাজির মতো ঘটনা খুবই গুরুতর ও আইনবিরোধী। তারা যদি আপনার বাসায় বা অফিসে গিয়ে কোন ধরনের অনৈতিক দাবী, চাঁদা বা অন্য যেকোন ধরনের সুবিধা চেয়ে বসে তখন আপনার করনীয় কী?
এ ধরনের ঘটনায় আমাদের করণীয়:
১) প্রমাণ সংগ্রহ করুন: কথোপকথনের রেকর্ড, ভিডিও, ভয়েস ক্লিপ, মেসেজ, টাকা চাওয়ার বা নেওয়ার কোনো প্রমাণ থাকলে সেগুলো সংরক্ষণ করুন।
২) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন: নিকটস্থ থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) অথবা মামলা দায়ের করুন। চাইলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা চাঁদাবাজি দমন আইন অনুযায়ী মামলা হতে পারে।
৩) বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো: যদি ঘটনা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঘটে থাকে, তবে প্রিন্সিপাল, ভাইস চ্যান্সেলর বা ডিসিপ্লিনারি কমিটিকে লিখিত অভিযোগ দিন।
৪) গোপনীয়ভাবে সহায়তা চান: ভয়ে প্রকাশ্যে না জানাতে চাইলে, আইনজীবী বা মানবাধিকার সংস্থার সাহায্য নিতে পারেন যারা বিষয়টি গোপন রেখে কাজ করতে পারে।
৫) মিডিয়ার সহায়তা নিন (সতর্ক হয়ে): বড় কোনো ঘটনা হলে সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরলে প্রশাসন ও জনগণের নজরে আসবে, তবে নিজেদের নিরাপত্তার দিকটি আগে ভাবুন।
আমাদের বর্জনীয় / যা করা উচিত নয়:
১) কোন ভাবেই নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না। ২) ভয়ের কারণে চুপ থাকবেন না এবং ৩) ভুল তথ্য বা প্রমাণ ছাড়া কাউকে মিথ্যা অভিযুক্ত করবেন না।
প্রয়োজনে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান যেমন : - জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (বাংলাদেশ)। লিগ্যাল এইড সেলস বা এনজিও (যেমন Ain o Salish Kendra)। অথবা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ/অন্য ছাত্র সংগঠন যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করে তাদেরকে অবহিত করুন।
আসুন নিজেকে বদলীয়ে দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




