স্বনন রংপুর পরিবারের সদস্য হিসেবে ‘বোধন’ থেকে আমন্ত্রিত হয়ে ডিসেম্বরের(২০১২) শেষ সপ্তাহে টুকু মামা সহ বন্দর নগরী ‘চট্টগ্রাম’ গিয়েছিলাম। চট্টগ্রামে গিয়ে ‘বোধন’ আবৃত্তি পরিষদের আয়োজন দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু অনুষ্ঠান সূচী দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম । কারন, ২৮ ডিসেম্বরের বিকালের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও প্রখ্যাত আবৃত্তিকারদের পাশাপাশি আমাদের নাম ছাপানো হয়েছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম যাতে রংপুর তথা উত্তর বঙ্গের আবৃত্তি অঙ্গনের সম্মান রক্ষা করতে পারি। অবশেষে, মঞ্চথেকে নেমে আসার পর যখন অনেকের মুখে আমাদের (আমি ও টুকু মামা) প্রশংসা শুনলাম এবং দু’জন আমাদের কাছ থেকে কবিতার ফটোকপি অনুরোধ করে নিয়েই নিল, তখন মনে হল রংপুর বিভাগের সম্মান রক্ষা করতে পেরেছি। জয়তু আবৃত্তি, জয়তু ‘বোধন’।
দেশ বরেন্য আবৃত্তি শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ড. ভাস্কর বন্দোপাধ্যায়, শান্তনু বিশ্বাস, হাসান আরিফ (সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট), আহকাম উল্লাহ (বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ), মাহিদুল ইসলাম (ঢাকা), মীর বরকত(কন্ঠশীলন, ঢাকা), রেজিনা ওয়ালী লীনা (ঢাকা), মাস্কুরে এ ছাত্তার কল্লোল (ঢাকা), লায়লা আফরোজ (ঢাকা), রবি শঙ্কর মৈত্রী (ঢাকা), জহিরুল হক খান (ঢাকা), তিতাশ রোজারিও (ঢাকা), ফয়জুল আলম পাপ্পু (ঢাকা), প্রশান্ত চক্রবর্তী (চট্টগ্রাম), ঝর্ণা সরকার (ঢাকা), মিথিলা চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মোকাদ্দেস বাবুল (সিলেট), শারমিন মৃত্তিকা (চট্টগ্রাম), জসীম উদ্দিন বকুল (কক্সবাজার), আব্দুস সেলিম (মাগুড়া), শাহাদাৎ হোসেন লিটন (মাদারীপুর), সাইমুল হক (ময়মনসিংহ), শরিফ আহমেদ বিল্টু (রাজশাহী), নূর নবী শেখ রাসেল (স্বনন, রা.বি.), ইফতেখার মাহমুদ টুকু (স্বনন রংপুর) সহ বাংলাদেশের দেড় শতাধিক আবৃত্তিকার আবৃত্তি পরিবেশন করেন। এছাড়াও ছিলেন, পশ্চিমবাংলার এ সময়ের প্রখ্যাত আবৃত্তিকার ‘ব্রততী বন্দোপাধ্যায়’।