একদিন এক প্রেমিক তার মটরসাইকেল সহ প্রেমিকা নিয়ে পাহাড়ী রাস্তায় ভ্রমনে বেরিয়েছে। ১০/১২ কিলোমিটার যাওয়ার পর মটরসাইকেলের গতি ক্রমেই বাড়তে থাকল। মেয়েটা কিছুটা ভয় পেয়ে তার প্রেমিককে বলল, “প্লিজ ধীরে চালাও, আমার ভয় করছে।” কে শোনে কার কথা! মটরসাইকেলের গতি বাড়তেই থাকল। ছেলেটা বলল, “দ্রুত চালাতেই আমার ভালো লাগছে। প্লিজ, আমার হেলমেটটা খুলে তোমার মাথায় পড়।” মেয়েটা তার প্রেমিকের কথামত হেলমেট নিজের মাথায় পড়ল। মটরসাইকেলের গতি আরো বেড়ে যাচ্ছিল। ছেলেটা বলল, “আমিতো তোমার সাথে আছি ভয় কিসের?” কন্ট্রোল হরিয়ে রাস্তার পার্শের মাইল ফলকের সাথে মটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে মেয়েটা একদিকে ছিটকে পড়ল। ছেলেটা গিয়ে পড়ল একটা পাথরের উপর আর মটরসাইকেলটা তার উপর।
void(1);
পথের লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় পড়েথাকা মেয়েটিকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে দিল। প্রায় ১৭ ঘন্টা পর মেয়েটা জ্ঞান ফিরে দেখল সে একটা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে। সে নার্সকে তার প্রেমিকের কথা জিজ্ঞাসা করল, তিন্তু কেউ তার প্রেমিকের কথা জানে না। কিছুক্ষন পর এক নার্স মেয়েটিকে একটি দৈনিক পত্রিকা দিয়ে গেল।
শেষের পাতায় একটি শিরোনাম ছিল-
“কৌশলে প্রেমিকাকে বাঁচিয়ে দিয়ে প্রেমিকের আত্মহুতি” গভির মনোযোগ দিয়ে কৌতুহলী হয়ে মেয়েটি সে খবর পড়ছিল। মেয়েটির চোখ জলে ভেসে যাচ্ছে….. তারপর চিৎকার করে কেঁদে উঠল মেয়েটি। সে নিজেই বেঁচে যাওয়া সেই প্রেমিকা।
void(1);
----- সত্যিকারের প্রেম হয়ত এমনি হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০