somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনি কি আপনার বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তিত ? আসুন , ভাল মন্দ মেশানো বিয়ে নিয়ে কিছু কথা শুনি । মজা পাবেন ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার মাঝে বিয়ে নিয়ে সব সময়ই একটা ভয় কাজ করে । তারপরও মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়েটা তো করতেই হবে তবে ভয় করে লাভ কি ?

কিন্তু দূর্ভাগ্য , কাউকে বলতে কিংবা বোঝাতে পারিনা । কেউ যদি কিভাবে বিয়ে করব বা বাবা মাকে কি করে বুঝাব যে আমার বিয়ে করা জরুরি ? এজাতীয় প্রশ্ন করে তখন নিজেকে পন্ডিত সাজাতেও কমে ছাড়িনা ।

আসুন , আপনাকেও কিছু টিপস দেই । কাজে লাগাতে পারলে ঘরে বউ আসবেই ।

★বিয়ে করার কৌশল★

১. আপনার শোয়ার খাটটা যদি বড় হয় কেটে অর্ধেক করে ফেলুন।
কেন কাটছেন এমন প্রশ্ন এলে বলবেন একজন মানুষ এত বড় খাট দিয়ে কী হবে?

২. তরকারিতে ঝাল বেশি লবণ কম এ জাতীয় অজুহাত দিয়ে দু
এক বেলা না খেয়ে থাকার অভ্যাস করুন।

৩. মাঝে মাঝে কয়েকটা রাত
যাযাবর স্টাইলে বাইরে কাটিয়ে দিতে পারেন ।

৪. তুমি আর কত কাজ করবে,
তোমার এবার বিশ্রামের প্রয়োজন
এ জাতীয় কথা বলে মাকে বুঝিয়ে দিন একটা পরের মেয়ে ঘরে এলে তোমার কাজগুলো করে দিত।

৫. পাড়ার মেয়েগুলোকে টিজ করা শুরু করে দিন। বাবা- মার কাছে বিচার যাবে তাতে হয়তো উনাদের টনক নড়তে পারে।

তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে বুঝবেন, আপনার বাবা-মা এত
তারাতারি আপনার অধঃপতন চান না।

শেষকথা ,
বিয়ে করার পক্ষে আমি কখনোই না । আমি এটুকু বুঝতে পেয়েছি যারা বিবাহিত তাদের চেয়ে অনেক বেশি সুখে আছে যারা বিয়ে করেনি । বিয়ে করার প্রথম ধাপে আপনার যে আফসোসটা হবে তা হলো : মনে করুন আপনার বিয়ের তারিখ ঠিকঠাক । কনের বাড়ি গেলেন । বরকে স্বাগত বা গ্রহণ করার জন্য আপনি গেটের কাছে বেশ কিছু সুন্দরী ললনা পাবেন । যাদের দেখে আপনার মনে হবে এদের কাউকে বিয়ে করাটাই ভাল ছিল । এরা কত্ত সুন্দর !!

আফসোসের শেষ থাকবেনা । আরেকটা আফসোস আপনাকে করতে হবে তা হলো , মনে করুন আপনি বিয়ে করেছেন । কোন এক কাজ করার জন্য নতুন বউকে রেখে আপনি বাইরে গেলেন । কাজ সেরে আপনি কোন হোটেলে গেছেন কিছু খেতে । ওয়েটার এলো মেনু নিয়ে । আপনি দেখতে দেখতে আপনার সবচেয়ে প্রিয় খাবারটি অর্ডার করলেন । খাবার আনতে ওয়েটার চলে গেল । আপনি হোটেলের আশপাশ লক্ষ্য করতেই দেখলেন আপনার পাশের টেবিলে কোন নতুন দম্পত্তি খুব মজা করে গল্প করছে আর কিছু একটা খাচ্ছে । ইতিমধ্যে আপনার খাবার চলে এলো কিন্তু তাতে আপনার একচুলও নজর নেই । সবটুকু নজর পাশের টেবিলে । অথচ , আপনার বউ বাড়িতে । এটা অনেকটা এমন যে , আপনার প্রিয় খাবারটিও যেমন অপ্রিয় তেমনি আপনার বউও অপ্রিয় হয়ে যাবে । আপনার বারংবার মনে হবে এমন একটা মেয়েকেই বোধহয় বিয়ে করা উচিত ছিল ।

যারা বিবাহিত তাদের অনেককেই বলতে শুনি , বিয়ে যে কি মজা । অথচ , তারচেয়ে বেশি বিবাহিত লোকগুলো বলে , এটা অনেকটা মাকড়শার জালের মত , প্রচন্ড বিরক্তিকর । একবার লাগলে ছাড়ানো খুবই কষ্ট ।

বিয়ে করা মানেই কিন্তু একটা ভিন্ন জগেত আপনার প্রবেশ করা । এই জগতে আপনার পদচারনার উপর নির্ভর করে আপনার সুখ দুখঃ এবং আপনার ভবিষ্যত্‍ । যত নেগেটিভ কিংবা পজিটিভ কথা বলিনা কেন এসবই নিজের কাছে । আপনি আপনার জগত্‍টাকে কিভাবে সাজাবেন তা আপনিই ভাল বুঝবেন । তবে , একটা কথা না বলে থাকতে পারছিনা তা হলো , বিবাহিত লোকেরা পূর্ণতৃপ্তি নিয়ে একটা কথা বলে যা শুনে আমার তক্ষুনি বিয়ে করার ইচ্ছে জাগে । তা হলো , সারাদিনের কাজ শেষে ঘরে ফেরার পর বউ আপনার জন্য সেঁজগুজে দরজা খুলে আপনারই পছন্দের কোন হাসি দিয়ে আপনাকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে যায় , আনুষাঙ্গিক কাজ করতে নিজেকে সম্পূর্ণ আপনার জন্য বরাদ্দ করে তখন আর সারাদিনের কাজ করার অসহ্য ক্লান্তির কথা মনে থাকেনা । দিনের শুরুতে আবার কাজ করার শক্তিটা বেড়ে যায় ।

আপনিই বলুন , এই কথা শুনে কার ইচ্ছে করে একা থাকতে ? তেমনি আমারও করেনা ।

যাই হোক । ভাল থাকবেন । অনেকদিন পর মোটামুটি বড় করে একটা পোষ্ট দিতে পারলাম দেখে ভাল লাগছে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×