একজন আত্মহত্যাকারীই জানে যে আত্মহত্যা কতটা কষ্টের।একটা মানুষ ফ্রাস্ট্রেইশানের কোন পর্যায়ে গেলে আত্মহত্যার ঝুঁকি নেয়।
ইউটিউবে কয়েকটা ভিডিও ফুটেজ দেখছি।আত্মহত্যা করার মুহুর্তের বা তার পূর্ব মুহুর্তের।সত্যিই কতটা কষ্টদায়ক মুহুর্তগুলো তা না দেখলে বুঝা যাবে না।
এক লোক বিশাল এক টাওয়ারের উপর উঠে আত্মহত্যার জন্য।হাত পা বার বার শূন্যে নিয়ে দেখে আবার ফিরিয়ে আনে। কারণ সে বুঝে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার মর্ম।
অনেকে বলেন সব নিজের উপর।কিন্তু আমি মনে করি না।পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলেও দাঁড়িয়ে থাকা যায় কিন্তু দেয়াল ভেদ করে চলে গেলে তার কোনো উপায় থাকে না।
মানুষ মস্তিষ্কচালিত।শরীরের উপর প্রেশার সহ্য করা যায় কিন্তু মস্তিষ্কের উপরের প্রেশার যায় না।ড্রাইভার ঠিক না থাকলে যা কিছু হতে পারে।
কেউ আত্মহত্যা করলেই সরাসরি দোষটা তাকে দিতে দেখা যায়।কিন্তু এটা যে একটা পরিকল্পিত হত্যা তা বোঝার সাধ্য নেই কারো।কেউ বুঝেনা কতটা সহ্য করে আজ তারা ঐ পথ বেছে নিচ্ছে।পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অবলম্বন না পেয়েই হয়ত অলীক সুখের খোঁজে ঐ পথের পথিক হয়ে যায়।সবাইই চায় ভালভাবে বাঁচতে।কষ্টগুলো কেন দৃশ্যমান নয় তা জানি না তবে কষ্টগুলো সত্যিই দৃশ্যমান হওয়া দরকার।কারো বেঁচে থাকার জন্য কাউকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
চোখ বন্ধ করলে সবসময়ই অন্ধকার কিন্তু চোখ মেললে সব সময় আলো না।যারা আত্মহত্যা করে তাদের চোখ খোলা বন্ধ একই।সবই অন্ধকার।হয়ত তারা চায় গভীর অন্ধকারটা।যেটা স্থায়ী।
আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় তারা নিজেকে শেষ করে হারার মধ্যেও জিতে গিয়েছে।
আত্মহত্যাগুলোও পরিকল্পিত হত্যা।যদি দৃশ্যমান হত্যার বিচার হতে পারে তবে অদৃশ্যমান হত্যারটা সুইসাইড কেস বলে ফাইলবন্দি হয়ে থাকবে???