অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম।পারছিনা।হাত অবশ হয়ে আসছে।লিখে কি লাভ?সবই ভার্চুয়াললি।কিন্তু যা ঘটেছে তা তো বাস্তব জীবনে।তার মাসুল কি ভার্চুয়াল লাইফ দিয়ে সম্ভব?
আমাদের কী প্যাড আর কলম জ্বলছে কিন্তু হাত পা বাঁধা।ফেসবুক বা ব্লগে অনেকে আশ্বাস দেয়।অমুক করব তমুক করব কিন্তু ঐ অমুক তমুকের গন্ডি পেরিয়ে আর তারা বেরুতে পারে না।
যা লিখতে বসেছিলাম।
হ্যাঁ স্কয়ার হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা তো পড়েছেন।ঐ যে মরার আগে চিঠি লিখেছিল। আর একটু অতীতে যান তো,মনে আছে ল্যাব এইডের কথা?এক বাবা ভুল চিকিৎসায়য় মারা যান,সাথে তাকে দিনের পর দিন বেঁচে আছে বলে লাইফ সাপোর্টে রেখে দেয়া হয়েছিল টাকার জন্য?এ হাসপাতাল দুটো বাংলাদেশের রাঘব বোয়াল টাইপের হাসপাতাল।সবার দৃষ্টি ফোকাসে তাই ফোকাসিত হাসপাতাল হিসেবে এরা দিনের পর দিন এরকম করে যাচ্ছে।কয়টা নিউজ আর বের হয়?আর গ্রামের বা মফস্বলে তো প্রচুর ঘটে।পত্রিকার পাতা খুললেই এক দুই জায়গায় এরকম ঘটেই।ডাক্তারের অবহেলা বা কতৃপক্ষের অবহেলা।
কেন কেন এমনটা হবে?প্রশাসন কি দেখে না?অর্থনৈতিকভাবে আর স্টাইল বা চুলের কাটিং ফিটিং ফাটিং এসবের জন্য তো বিশ্বের উন্নত দেশের বা পাশ্চাত্যের রিফ্লেকক্সানের আমাদের মধ্যে তো জুড়ি নেই।অমুক করেছে আমেরকা হ্যা এটা আমরাও করব টাইপ অবস্থা।দেশের কেন্দ্রের কিছু রাস্তায় চলাচল করলে তো এটা বাংলাদেশ না ইউরোপ তা বুঝা মুশকিল।তো এই ফিটিং ফাটিং অবস্থায় বা আধুনিক যুগে ডাক্তারের অবহেলায় কেন রোগী মারা যাবে?আমাদের ঘর বাড়ি আধুনিকায়ন হলে চিকিৎসা কি সেরকম হতে পারে না?আমাদের প্রশাসন বিদেশীদের মত স্ট্রিক হতে পারে না?কেন কেন?আজ ঐ বাবা কাল আপনার বাবা পরশু আমার বাবা তার পরের দিন আর কারো বাবা এভাবে ডাক্তার আর কর্তৃপক্ষের ছুরির নিচে তাদের আমরাই ঠেলে দিচ্ছি।
আমাদের নেতারা তো বাংলাদেশের জাতীয় হাসপাতাল কুইন এলিজাববেথ হসপিটাল সিংগাপুর থেকে চিকিৎসা নেন।একটু পায়খানার লাইন ছুটলেও সেখানে নিয়ে যান।তারা তো বুঝেন তাদের হাতে বানানো চিকিৎসালয় কত নিম্নমানের।না হয় কেন তারা বিদেশে কেন যাবেন?ছোট বিষয়কে কেন্দ্র করে আমরা চায়ের কাপে ঝড় তুলে ফেলি কিন্তু এটা ভেবে দেখি না আমাদের চিকিৎসা সেবা কই যাচ্ছে।যেটা মানুষের জীবন বাঁচায়।
আসুন একটু চিন্তা করি।একটু।বেশি না।