যখন,প্রেমিক প্রেমিকারা ভালোবাসার হাতবদলে ব্যস্ত,
তাদের অস্থিমজ্জা বেরসিক উন্মত্ততায় মাতাল,
তাদের মধ্যে রাজ্যের কপটতা আর নির্লজ্জতা ভর করে বসে থাকে,
যখন এক চিমটি প্রেমের বেদনায় কোনো এক প্রেমিক ফাঁসির দড়ির সামনে নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে,
তখনও প্রকৃতি নীরব ছিল,
চিৎকার করা কান্নার কোনো বাক্য তার কান অব্দি পৌঁছায় না,
অথবা সে কর্ণপাত করে না।।
যখন সভ্য সমাজ খুনের লিপ্সায় মত্ত,
রক্তের তরলে ভিজে শুকনো মাটি কদাকার হয় প্রতিনিয়ত,
যখন ঘরে ঘরে মৃত্যুর উৎসব চলে,
খুনিরা বুক চাপড়ে ঘুরে বেড়ায়,
কোথাও খুশির হাসি থাকে না,
কদার্য লোক গুলো প্রকৃতির বুক দাপিয়ে বেড়ায়,
তখনও পৃথিবীতে বসন্ত এসেছিল।
তখনও প্রকৃতি বিচলিত হয়নি,
তখনও পৃথিবীতে শরতের কাশফুল ফুটেছিলো,
তখনও বর্ষায় জলাধর থৈ থৈ করে উঠেছিলো,
সেদিনও আমি শুকনো হাসি হেসেছিলাম।।
আমার আর কান্নায় চোখ ভেজে না,
আমার মনে রাজ্যের ফুর্তি,
আমাকে সেদিন কেউ মনে করেনি,
আমি খুনের সময় সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম,
যদিন আমার বুকে 'ও' প্রতারণার ছোড়া বিঁধেছিলো,
যেদিন 'ওরা' আমাকে প্রকৃতির কাছে চিরস্থায়ী সোপর্দ করেছিলো,
তারপর দিন বসন্ত এসেছিলো,
আমি প্রকৃতি হয়ে গিয়েছি,
প্রতিবাদীরা প্রকৃতি হয়ে যায়,
প্রতিবাদীরা নিষ্ঠুর হয়ে যায়,
প্রতিবাদীদের নির্বাক-নিশ্চুপ করে দেয়া হয়।