এখন রাত গুলোতে কান্না পায়। শিশুদের মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি। আবার আয়নার সামনে গেলে হাসতে ইচ্ছা হয়, নিজের হাসি মুখ চোখের সামনে দেখতে ইচ্ছা লাগে।
হসতে গেলে চোখের দুপাশে ভাজ পড়ে একখানা, ওটাই খুব পছন্দ হয়েছে আমার। তবে একদিক থেকে বেশ মজায় আছি, কারুর সাথে যোগাযোগ নেই, একলা একলা একাকিত্বের সেব্রেশনে অন্য রকম মজা। মাঝেমধ্যে পাঁচ জনের কথা মনে আসে, ওদের কথা ভাবি। এই তো, আজই এক স্কুলের বন্ধু জানালো, ওরা কয়েকজন মিলে নাকি আজ সন্ধ্যেবেলা আমাকে নিয়ে কথাবলছিল। স্কুলে আমি ওদের কবিতা শোনাতাম এইসব। ভালো লাগলো বেশ।
কান্নাটা তখনই আসে। যখন অবাক হয়ে যাই, এরা আমায় এখনও মনে রাখে! মা এখনও ঘুম থেকে ডেকে খাওয়ায়। মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়লে, ডেকে বিছানায় যেতে বলে। হাত বুলিয়ে দ্যায় পিঠে।
এসব কথা ভেবে, দেখে, কদিন বাঁচতে ইচ্ছা হয়, এখনও। যদিও এজীবনে মৃত্যুকুই মানায়।