তাকে ছেড়ে না বাঁচার পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মানুষ কী কী করে! কিই বা করবে। মনে আমি আজ যা যা করলাম।
১। সারাটা সকাল পরিস্থিতি বুঝলাম। অপেক্ষা করলাম। এই বোধ হয় সূর্য উঠবে। এই বোধ হয় খবর আসবে। খবর কী করে আসবে? ফোনেই আসবে। তাই ফোনের ইন্টারনেট বারবার চেক করলাম। কানেকশন ঠিকাছে তো। সব ঠিক।
২। এবার খেয়ে দেয়ে ভাবলাম, ভারত-ইংল্যান্ড খেলা দেখি। ছি ছি। তার খবর নেই। আমার বাঁচা মরার প্রশ্ন। আর আমি বিনোদন করছি। ওসব বন্ধ।
৩। আর তো পারা যায় না। এবার সমস্যা বেশ গুরুতর। একটু একটু ভয় হচ্ছে। ভয় পেলেই রামনামের মতো সিগারেট খাও। সাহস যোগাও। ফোন দাও।
৪। ভয় যাচ্ছে না। ফোন গেছে। আবার কেটেও গেছে। সবশেষে হাঁটা লাগাও। যদি কান্না কান্না পায়, গান শোনা যেতে পারে। কান্না বাড়বে। এই কান্নাটা হয়ে যাওয়া ভালো। কান্না হোক।
৫। যারা তার কাছে নিজেকে স্ট্রং দেখতে চায়, তারা এইসময়ে কেঁদে নিতে পারে। সে যখন আবার কথা বলবে, তখন যেন কান্না না আসে। তখন হাবভাব করতে হবে, ছিলিস কোথায়? পাত্তা ছিল না।
৬। এইবার ঘরে ফিরে লম্বা নিঃশাস। ম্যাসেজ করেছে। হ্যাঁ আনন্দ হবে। তবে তা চেপে রাখতে হবে। এখন বুঝতে হবে, উপভোগ করতে হবে। এতক্ষণের কষ্টটা কার জন্য, কীসের জন্য, কেন হচ্ছিল। যদি এসবের উত্তর পাওয়া যায়, ব্যাস মিডিল স্ট্যাম্প হওয়ায় উড়ছে।
আমিও ঘেঁটে গেছি। হালকা হওয়ার জন্য লিখলাম। এই লেখা তাকে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে।