somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবদুর রাজ্জাক শিপন ও সকলের কাছে প্রশ্ন (তসলিমা সংক্রান্ত পোস্ট)

২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবদুর রাজ্জাক শিপন আপনার সব অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের জাবাব দিতে আমি বাধ্য নই।তবে পতিতা সংক্রান্ত আমার ধারনা কি এটা বলছি।২ ধরনের দেহ ব্যবসায়ি মেয়ে আছে।
প্রথম ধরোনের হলো যারা কিছু মানুষ রুপি পশুদের জালে পড়ে অথবা অন্য কোন সামাজিক চাপে এ পেশায় চলে এসেছেন। এদের আমি শ্রদ্ধা করি এবং এদের জীবন বদলানোর জন্য যদি কিছু করতে পারি নিজেকে ধন্য মনে করব।
দ্বীতিয় ধরনের হলো যারা সমজের উচু অবস্থানে যাবার জন্য কোন ধরনের চাপ ছাড়াই এ ব্যবসায় নেমে যায়।যারা ভাবে আমার এই যৌবন শুধু ঘরের একজন পুরুষের জন্য নয়। এটাকে ব্যবহার করে সে সামাজের একটা বিশেষ শ্রেনি হতে চায়। এধরনের মেয়েদের প্রধান উদ্দেশ্য হল দেহের বিনিময়, বিখ্যাত হওয়া( আসলে কুখ্যত হয়ে যায়),অর্থের পাহাড় গড়া, এলিট শ্রেনি নামক মুখশ পড়া।এধরনের মেয়ে পস্চিমা বিশ্বে বেশি দেখা যায়।এদেরকে স্কট বলে। আমদের মত দেশে সাধারনত এলিট শ্রেনি নাম ধারি পশুদের সমাজে এদের দেখা যায়। এধরনের মেয়েদের আমি ঘৃনা করি।তসলিমা ঠিক এমন ধরনের পতিতা।তসলিমা এক রাজাকারের ছেলেকেও দেহ দেয় শুধুমাত্র ঢাকায় তার বদলি তরান্বিত করার জন্য। " ক" এর ১০৯ ও ১১০ নং পেইজ দেখুন।এখানে লিংক দিলাম।

Click This Link

আমি খুব উন্নত রুচিসম্পন্ন মানুষ না।তবে একজন সভ্য ধর্ম ভিরু বাংলাদেশী এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হিসাবে তসলিমা কে আমি অন্তর থেকে ঘৃনা করি।
আবদুর রাজ্জাক শিপন আপনি আমকে যে নামে আখ্যয়িত করেন না কেন এতে আমার না আপনার পরিচয়ই ফুটে উঠে। আমি কিন্ত আপনাকে মোটেও তসলিমার খদ্দের বলি নাই। আমি একটা মন্তব্য দিয়ে ছিলাম আপনার পোস্ট এ।সেটা হলো
"
সজীব১৬১২ বলেছেন :
২০০৭-১১-২৫ ২৩:০৭:৫৮
আবদুর রাজ্জাক ভাই ঘুমাতে গেছিলাম।এখন উঠলাম।বেশি কিছু বলার নাই। আমি আমার আগের বক্তব্যের সাথে এখনো সহমত।তসলিমা একজন পতিতা ছিলেন বলেই নিজের অনেক সুবিধা হাসিলের জন্য অনেক পুরুষ কে দেহ দিয়েছেন।নারি অধিকার প্রতিস্ঠা করতে কি ১০/১২ জন পুরুষের সাথে শুয়ে বাহাদুরি দেখাতে হয় যে আমি পুরুষদের মত পারি এবং পুরুষদের থেকে আমার সাহশ বেশি কারন আমি আমর সঙ্গমলিলার কথা প্রকাশ করেছি ?
পুরুষ মাত্রই বহুকামি মানুষ না, যারা নারি কে ব্যবহারের বস্তু মনে করে। কিন্তু অনেক পুরুষ এমনো আছে যারা তাদের জীবন সঙিনি কে উপযুক্ত মর্যাদা দেয়। বেগম রোকেয়া এ জন্যই তার প্রথম প্রতিস্ঠিত স্কুলের নাম তার স্বামির নামে রেখেছেন।কারন তিনি সেই মর্যদার অর্থ বুঝেছেন।
দৈনিক সংগ্রাম ব্যপারে বলবো রাস্তায় সভ্য মানুষ দেখলেই একমাত্র পাগোল কুকুর কিন্তু ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে। তাই পাগোল কুকুর আর প্রভুভক্ত কুকুর এক না।
তসলিমা কে কেউ অন্তর দিয়ে এই জন্য যদি ভালবাসে যে সে ইসলাম কে আক্রমন করেছে তাদের কে তার খদ্দেরই বলবো। আবদুর রাজ্জাক বুঝে নিন কাদের কে বলাছি।""

এখন বলুন আপনি কি তসলিমা কে একারনে ভালবাসেন যে তসলিমা ইসলাম কে আক্রমন করে? আমার মনে হয় আপনার জবাব না হবে। কারন মানবিক কারনে আপনি এ পোস্ট দিয়েছিলেন। সেদিক দিয়ে আপনাকে তসলিমার খদ্দের বলার প্রশ্নই উঠে না।আমি কিন্ত আগেই কারো নাম উল্লেখ করে তাকে তসলিমার খদ্দের বলি নাই।অথছ আপনি আমকে সরাসরি আক্রমন করে গালি গালাজ করলেন। আপনার এ পরিচয় পেয়ে আমার আর কিছুই বলার নাই। এবার আমার কিছু প্রশ্ন সবার আবদুর রাজ্জাক শিপনসহ সবার কাছে

১। নারী উন্নয়নের জন্য কি মেয়েদেরকে কি ছেলদের মতো শরিরের উপরের অংশ খুলে রস্তায় চলা জরুরি যেমনটা তসলিমা চায়?
(যদিও ইসলাম নারী পুরুষ উভয়ের জন্য এধরনের চলাফেরা নিশিদ্ধ করেছে।)
২। বাংলাদেশের মেয়েদের উন্নয়ন ঘটাতে হলে কি আগে ইসলাম কে আক্রমন করে লেখালেখি করা কি জরুরি?
৩।তসলিমা কি আজ পর্যন্ত আমাদের এ দারিদ্র পিড়ীত দেশের একটি দরিদ্র মেয়ে কে শিক্ষার আলো দেখেয়িছে নাকি নারি উন্নয়নে কোন সংগঠনিক অবদান রেখেছেন? যদি এমন কিছুই না করে থাকেন তাহলে তাকে তার কোন কাজের জন্য আমরা সন্মান করবো?
৪।তসলিমা যদি সাহসি নারি হন তবে সরকার কে খোলা একটা চিঠি লিখে জীবনের নিরাপততা চেয়ে কেন দেশে আসছেন না?
দেশে আসারতো তার আইনগত বাধা নেই। সে দেশে আসলে নিশ্চয়ই কারাবরন করতে হবে, উনি যদি কারাবরনের ভয়ে দেশে না আসেন তাহলে উনি সাহসি হলেন কিভাবে?

সবশেষে, এদেশের আর একজন নারির কথা বলতে চাই।যার কথা মনে হলে বুক গর্বে ভরে যায়। তিনি আমাদের বেগম রোকেয়া। তিনি সেই যুগে সংগ্রাম করে মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিস্ঠা থেকে শুরু করে কি না করেছেন। কই তিনিতো ইসলাম কে আক্রমন করেন নাই। নারি অধিকার যে ইসলাম সবচেয় বেশি দিয়েছে এটা তিনি ভালভাবেই বুঝেছেন, একি সাথে এটা অনুভব করছেন যে আমাদের সমাজের ভন্ড মোল্লারা নারিদে ব্যবহারের বস্তু করে রাখার জন্য ধর্মের অপব্যখ্যা দিয়ে যায়।তাই তার সংগ্রাম ইসলাম নয় সেই সব ভন্ড মোল্লাদের বিরুদ্ধে ছিলো।

আমি জানি এ পোস্টের পর তসলিমাপ্রেমি অনেকে আমকে রাজকার বোলবেন এবং আমাকে আক্রমন করে অনেক গালি গালাজ করবেন।তাদের কে এক কথায় বলি "I dont care you"
৩৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×