আপনার কি মনে হয় না স্বাস্থ্যসম্মত দাঁত শারীরিক এবং মানসিক সুখের এক পূর্বশর্ত ? যখন জনসমক্ষে কথা বলছি, হাসছি - প্রতিবারই আমাদেরকে দাঁত প্রদর্শন করতে হচ্ছে । দাঁত ব্যথার কারণে শারীরিক অসুবিধা তো আছেই - এছাড়া মুখের বাজে গন্ধ অথবা দাঁত-মাড়ির শোচনীয় অবস্থা আমাদের আত্মবিশ্বাসকেও নড়বড়ে করে দিতে বাধ্য। শক্ত সুগঠিত এবং স্বাস্থ্যকর দাঁতের সাহায্যে আমরা সঠিকভাবে খাদ্য চিবিয়ে খেতে পারি, কথা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি এবং অবশ্যই, মনোহর হাসি হাসতে পারি ।
মাড়ি-দাঁত-জিহ্বা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই দাঁতের সাথেসাথে মাড়ি এবং জিহ্বার পরিচ্ছন্নতাও জরুরী । দাঁতের যত্ন বলতে আমরা সার্বিকভাবে Oral hygiene কে বুঝব যা মুখ-গহবরের ভেতর অবস্থিত দাঁত, মাড়ি এবং জিহ্বার সম্মিলিত সঠিক পরিচর্যাকে বুঝায় । সাম্প্রতিক কিছু ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা গেছে মুখের ভেতর সংক্রমণ হলে তা হার্ট এটাক এবং স্ট্রোকের মত কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ , ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া , ডায়াবেটিস, অস্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে আরও ঝুঁকির ভেতর ফেলে । Oral hygiene বজায় রাখতে হলে মুখ গহ্বরের দুটো প্রধান সমস্যা ক্যাভিটি এবং মাড়ির সংক্রমণ সম্পর্কে আমাদেরকে প্রথম জানতে হবে।
দাঁতের ক্ষয় (Cavity): অত্যন্ত সাধারণ আন্তর্জাতিক রোগগুলোর মধ্যে দাঁতের ক্ষয়রোগ অন্যতম যাতে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি পরিবার কমবেশি আক্রান্ত। ধরুন আপনি পিকনিকে গেছেন এবং পিঁপড়ারা আপনার খাবারের উপর হামলা করল । ঠিক একইভাবে যে কোন খাবার গ্রহণের পরপর আমাদের মুখের ভেতরকার ব্যাকটেরিয়া দাঁতের সাথে লেগে থাকা শর্করাজাতীয় খাদ্যকণার উপর আক্ষরিক অর্থেই পিঁপড়ার মত হামলা শুরু করে দেয়। যথাযথ পরিষ্কার না করলে খাদ্যগ্রহণের ২০ মিনিটের ভেতর দাঁত এবং মাড়ি-দাঁতের সংযোগস্থলে তৈরি হয় দাঁতের ছাতা (tartar) এবং হলুদ বর্ণের ময়লার আবরণ(plaque)। খাবারের শর্করা আর চিনিজাতীয় অংশকে ভেঙ্গে এসিডে পরিণত করে plaque এ অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া । সেই এসিড দাঁতের উপরকার আবরণ এনামেল এবং দাঁতের অন্তঃস্থ আবরণ ডেন্টিনকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে সেখানে ছিদ্র তৈরি করে যাকে ক্যাভিটি বলা হয় । এতে দাঁতের সংবেদনশীলতা (sensitivity) বহুগুণে বেড়ে যায় ।
মাড়ির সংক্রমণ (Gingivitis): আবার একইভাবে মুখগহবর সঠিকভাবে পরিষ্কার না করার ফলে সৃষ্ট plaque একসময় মাড়িতে gingivitis নামক রোগের সৃষ্টি করে। এতে মাড়ি লাল হয়ে ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি করে । রক্তপাত হতে পারে, কিছু ক্ষেত্রে দাঁত-মাড়ির সংযোগস্থল থেকে মাড়ি উপরে সরে যেতে থাকে (receding gums) । চিকিৎসা না করলে এতে মাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অকালে দাঁত হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
অন্যান্য কিছু কারণেও দাঁতের অসুখ হয়ে থাকে। ধূমপান ও তামাকপাতা চিবানোর সাথে একাধিক দাঁতের রোগ সম্পর্কিত । এছাড়া নিয়মিত বমি (যারা bulimia nervosa রোগে আক্রান্ত অথবা প্রেগন্যান্সির প্রথম পর্যায়ের নারীদের জন্য এটি প্রযোজ্য) দাঁতের ভীষণ ক্ষতি করে থাকে ।
দাঁতের সঠিক যত্ন আমরা যেভাবে নিতে পারি-
১। নিয়মিত দাঁতব্রাশঃ প্রতিবার খাবারের পরপর দাঁতব্রাশ করা দরকার। না পারলে অন্তত দিনে দু'বার (সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে) করা উচিত । প্রতিবার অন্ততঃ ২-৩ মিনিট সময় দেবেন দাঁতব্রাশে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও সত্যি যে দাঁত খুব নাজুক অরগ্যান, এজন্য হাল্কাভাবে ছোট ছোট স্ট্রোক দিয়ে দাঁতব্রাশ করতে হবে। সবসময় নরম ব্রিসলের টুথব্রাশ নির্বাচন করতে হবে যা দাঁতের এনামেল এবং মাড়িকে আহত করবে না ।
২। নিয়মিত flossing: দাঁত পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এটি ২য় ধাপ। দুই দাঁতের মধ্যকার স্থান থেকে খাদ্যকণা পরিষ্কার করার সবচে কার্যকরী উপায় হল flossing । এটি ব্রাশিং এর মতই জরুরী, আমাদের দেশের ডেন্টিস্টরা কেন এই ধাপটাকে উপেক্ষা করে যান জনগণের কাছে তা আমার বোধগম্য না । । দাঁতের মধ্যকার ও উপরিভাগের ক্ষয়ে যাওয়া মাড়ি, মাড়ির সংক্রমণ এবং cavities প্রতিরোধ করতে এর ভূমিকা অনন্য। ব্রাশিং এর পর flossing করা দরকার। দিনে অন্তত দু'বার ফ্লসিং বাঞ্ছনীয় ।
ডেন্টাল ফ্লস কি? ব্যবহার কিভাবে করতে হয়? ফ্লস নাইলনের তৈরি একধরণের সুতো । এতে wax এবং কোন ফ্লেভার (যেমন mint) মেশানো থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে । ১২-১৮ ইঞ্চি সাইজে কেটে দুইপ্রান্ত দু'হাতের মধ্যমাঙ্গুলি এবং / অথবা তর্জনীতে জড়ান। দুই দাঁতের মাঝে ঢুকিয়ে উপর থেকে নীচে একবার ডানপাশে, একবার বামপাশে দাঁতের সাইড বরাবর ফ্লস টেনে বের করুন । দুই মাড়ির প্রতিটি আন্তঃদাতীয় সংযোগে ফ্লস করতে হবে । প্রথম ব্যবহারের সময় রক্তপাত হতে পারে । ডেমনস্ট্রেশন দেখুন-
http://www.youtube.com/watch?v=xEgp3SEtB0I
৩। নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কারঃ দৈনিক স্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসাবে জিহ্বা পরিষ্কার জরুরী । নরম ব্রাশ বা স্প্যাটুলার সাহায্যে আমরা জিহ্বায় লেগে থাকা খাবার কণা , জিহ্বা এর পৃষ্ঠদেশীয় এলাকা থেকে মৃত কোষ ও ছত্রাক (যেমন Candida) এবং সর্বোপরি মুখে বাজে গন্ধ সৃষ্টিকারী ও দাঁত/মাড়ি ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়া থেকে মুখকে মুক্ত রেখে Oral hygiene বজায় রাখতে পারি ।
৪। মাড়ির ব্যায়ামঃ চিনিমুক্ত (Sugar-free) চুইংগাম বাজারে কিনতে পাওয়া যায় যা ব্যবহার করলে মাড়ির ব্যায়াম হয় । চিনিমুক্ত চুইংগামে xylitol নামক উপাদানটি দাঁতের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। চুইংগাম মুখের লালা (saliva) তৈরিতে সহায়তা করে এবং দাঁতের উপরদেশ পরিষ্কার করে মুখস্থিত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে বাধা দেয় । তবে আপনার দাঁতের অবস্থা ভাল না হলে চুইংগাম আপনার দাঁতের ফিলিং এ ক্ষতিসাধন করতে পারে । এছাড়া প্রতিদিন ব্রাশের পর মাড়িতে হাতের তর্জনীর মাধ্যমে circular motion এ হাল্কাভাবে rub করলে তা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা শক্ত মাড়িগঠনে সাহায্য করে ।
৫। প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং পানীয়: দাঁতের সঠিক যত্নে সুষম খাদ্যের ভূমিকা অনেক। World Dental যে খাদ্যগুলোকে এজন্য বিশেষভাবে সুপারিশ করে-
গ্রীন টিঃ সবুজ চা'তে আছে polyphenol নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা plaque কমাতে অনন্য। এর নিয়মিত ব্যবহারে cavities এবং মাড়ির রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । এছাড়া সবুজ চা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমায় এবং এতে আছে উঁচুমাত্রার ফ্লোরাইড content - যা দাঁতের এনামেল মজবুত করে ।
দুধজাত খাবারঃ দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে (চিনিমুক্ত দই, পনির) রয়েছে ক্যালসিয়াম- যা দাঁতের প্রধান উপাদান । পনিরে (cheese) আছে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট, যা মুখের মধ্যকার pH এর ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও পনির দাঁতের এনামেল বজায় রাখতে এবং নতুন করে গঠন করতে সাহায্য করে, এবং লালা উৎপাদন করে ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে বাধা দেয় ।
ফলঃ অনেক ফল (যেমনঃ আপেল, স্ট্রবেরি এবং kiwi, কমলা) প্রচুর ভিটামিন সি ধারণ করে। এই ভিটামিন উপাদান শরীরের কোষগুলোকে পরস্পরের সাথে ঐক্যবদ্ধ করে রাখে বলে মনে করা হয়। যদি এই ভিটামিন উপেক্ষিত হয়, মাড়ির নিচের কোষগুলো ভেঙ্গে যায়, ফলে মাড়ি নাজুক হয়ে সহজে রোগাক্রান্ত হয় ।
সবজি: ভিটামিন A সমৃদ্ধ সব্জি (গাজর, মিষ্টি আলু ও ব্রকলি) দাঁতের এনামেল গঠনে প্রয়োজন । অন্তত ৮০% Cavities এর উৎপত্তি হল দাঁতের নীচভাগের খাঁজে (pits and fissures ) বা দুই দাঁতের মাঝখানে আটকানো খাদ্যকণা থেকে-যেখানে সহজে ব্রাশ করা যায় না এবং লালা বা ফ্লোরাইড সেখানে সহজে পৌঁছাতে না পেরে সৃষ্ট অ্যাসিড প্রতিরোধ করতে পারে না । কাঁচা সালাদ (সেলারি, লেটাস, শসা) দাঁতের খাঁজে আটকে থাকা সেই খাবার বের করতে এবং লালা তৈরিতে সাহায্য করে। লালা মুখস্থিত এসিড প্রশমন করে, তাতে ক্যাভিটি এবং এনামেলের ক্ষয়রোধ হয় । পেঁয়াজে antibacterial সালফার যৌগ থাকে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, পেঁয়াজ কাঁচা অবস্থায় খেলে তা ব্যাকটেরিয়া দমনে সক্ষম ।
তিল বীজঃ প্লাক কমাতে এবং দাঁতের এনামেল তৈরিতে তিল বীজের (sesame seeds) জুড়ি নেই। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও বেশী ।
প্রাণীজাতীয় আমিষঃ গরুর মাংস, মুরগির মাংস, টার্কি, এবং ডিমের মত প্রাণীজাতীয় আমিষ ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খনিজসমৃদ্ধ -যা দাঁত এবং হাড়ের গঠনের জন্য অত্যাবশ্যক ।
পানিঃ আমরা যখন পানি পান করি তখন তা মুখের ভেতর আটকে থাকা খাদ্যকণা পরিষ্কার করে এবং লালা তৈরি করে। শুষ্ক মুখ-গহবরে ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়, ফলে বাজে গন্ধ তৈরি হয়। লালাতে অবস্থিত বাফার রাসায়নিক মুখের মধ্যকার pH এর মাত্রা নিরপেক্ষ রেখে (৭ এর কাছাকাছি)সেই গন্ধ তৈরিতে বাধা দেয় এবং দাঁতে প্রয়োজনীয় মিনারেলস সংরক্ষনে সাহায্য করে। পানিতে প্রাপ্ত ফ্লোরাইড দাঁতের ক্যাভিটিরোধে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক খাবার কোনগুলো ?
চিনিজাতীয় খাবার (চিনির সব অবস্থা যেমন সুক্রোজ, গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, মলটোজ ইত্যাদি) সাধারণত দাঁতের cavities সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রান্না করা শর্করাজাতীয় খাবারও ক্ষতি করে, তবে কিছুটা কম পরিমানে, যেহেতু শর্করা লালাস্থিত salivary amylase নামক এনজাইম দ্বারা জারিত হয়ে পরে চিনিতে পরিণত হয়। মিষ্টিজাতীয় খাবারের ভেতর টফির মত আঠালো খাবারগুলো সবচে বেশী ক্ষতিকারক। উল্লেখ্য যে, একদিনে কতটুকু চিনি গ্রহণ করলাম সেই হিসেবের চেয়ে দিনে কতবার (frequency) চিনিজাতীয় খাবার গ্রহণ করছি-দাঁতের ক্ষতিসাধনে সেটা বেশী অবদান রাখে । দাঁত চিনিজাতীয় খাদ্যে যত বেশী exposed হবে, দাঁতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশী।
কিছু ফলের রস (যেমন কমলা), ভিনেগার এবং কোমল পানীয়তে (কোকাকোলা, পেপসি ইত্যাদি) অ্যাসিড থাকে যা দাঁতের আবরণকে নষ্ট ( demineralize) করে। এগুলোর বহুল ব্যবহার ক্যাভিটির ঝুঁকি বাড়ায়। তবে ফলের রস নিয়ে একটা কথা না বললেই নয়। মানব শরীরে ভিটামিন সি'র দৈনিক একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ চাহিদা আছে - সেটা পূরিত না হলে শরীরের অন্যান্য বিভিন্ন অসুবিধার সাথেসাথে gingivitis এর মত ডেন্টাল ইস্যুও দেখা দেবে। ভিটামিন সি'সমৃদ্ধ ফলের রস উন্নত দেশগুলোতে প্রতিদিনকার খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । তাই চাইলে দৈনিক চাহিদার পুরোটা একবারে গ্রহণ করতে পারেন, straw ব্যবহারের মাধ্যমে দাঁতের সাথে এর সংস্পর্শ সীমিত করতে পারেন।
৬। নিয়মিত ডেন্টিস্ট ভিজিটঃ ডেন্টিস্টরা বছরে দু'বার দাঁতের স্কেলিং রেকমেন্ড করেন। ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত অবগত হওয়া ছাড়াও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারেন ।
দন্তচিকিৎসা চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশাল বিস্তৃত শাখা । স্বল্প পরিসরে এর বিশদ বিবরণ সম্ভব নয়, আমার উদ্দেশ্যও তা নয়। দৈনন্দিন জীবনে কিভাবে আমরা দাঁতের প্রাথমিক যত্নটুকু নিতে পারি তার উপর কিছুটা ধারণা দেয়ার উদ্দেশ্যে এই লিখা । একটা ব্যাপার মাথায় রাখা জরুরী যে, মুখস্থিত pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ দাঁতের সুরক্ষার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ । বেশীর ভাগ লোকের ক্ষেত্রে দাঁতের এনামেল ও ডেন্টিন নষ্ট (demineralisation ) হতে শুরু করে যখন মুখস্থিত pH এর মাত্রা 5.5 এর নিচে অবস্থান করে । সঠিক যত্ন ও খাবারের মাধ্যমে, চিনি ও এসিডযুক্ত খাদ্যের ভূমিকা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা রেখে এবং ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করে আমরা দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি (remineralisation) সরবরাহ করতে পারি ।
(সাহায্যঃ American Dental Association (ADA) , wikipedia , youtube ও অন্যান্য)