somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লাসফেমী - ধর্ম রক্ষার আইন নাকি ধর্ম ব্যাবসায়ীদের মুনাফা রক্ষার আইন

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্ম কি এতই ঠুনকো জিনষ যে কেউ চাইলে অপমান করতে পারে ? নষ্ট করতে পারে ? নবীজী (সঃ) কি এতই হালকা ব্যাক্তিতের অধীকারী ? যে কেউ কিছু বলে তাঁকে অপমান করতে পারে । কিম্ভা কিছু অসুস্থ মানুষ তার নামে কিছু বল্লেই কি তাঁকে ছোট করা হয়ে যাবে ?

নবীজী (সঃ) কে অপমান করেছিলে তায়েবের লোকেরা। তারা এখন পৃথীবির সাবার চেয়ে ভালো আছে। এটাই ইসলাম ধর্ম। নবীজীর মত যদি সহনশীলতা অপনার না থাকে তাহলে ধর্মের নামে গলাফাটিয়ে ধর্মের বদনাম করার অধীকার অপনার নেই।

তায়েবে যখন নবীজী (সঃ) কে অপমান করে তখন ইসলাম ধর্ম মাত্র যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখন নবীজী (সঃ) ছিলেন বেশ সহনশীল, মানব দরবদী। আনেক বছর পর ইসলাম মক্কা বিজয় করল। বিতাড়িত ভুমিতে বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করলে। যুদ্ধ করা তো দুরে থাক সামনে এসে বাঁধাদেবার কেউ ছিল না। মুশরিকতা চিরকালের জন্য পরাজিত মক্কায়। বিজয়ী নবীজীর থেকে ঘোষনা আসলেন " কাউকে আঘাত করা হবে না, কারো দরজায় বাড়ি মারা যাবে না। পবিত্র মক্কায় যার আছেন তারা সবাই নিরাপদ। আবুলাজাহেলের ঘরে যারা আছেন তারা সবাই নিরাপদ (আবুজাহেল তখন মক্কার সর্দার)। এই হলো ইসলাম। মক্কায় সেইদিন যদি গুনেগুনে সব মুশরিকদের হত্যা করা হতো, তাদের সম্পদ দখল করে সাহাবীদের মাঝে বিতরন করা হতো সেই দিন বাধা দবার কেউ ছিল না। কিন্তু ইসলাম কোনদিন মানবতার ধর্ম হিসাবে মাথা তুলতে পারতো না। আর নবীজী (সঃ) মহা বিজয়ের পরেও সেই আগের মত বিনয়ী, মানব দরদী। কারন উনার মিশন ছিলো মানুষ কে আলোর পথে আনা, সত্যের পথে আনা, সমাজ পরিবর্তন করা। আর উনার সাযোগীদের লক্ষ্য ছিল একই। কেউ ব্যাবসা বা নিজের লাভের জন্য, ক্ষমতায় যাওয়া বা মন্ত্রী হবার জন্য এই আন্দোলনে যোগ দেন নাই।

এই সেই আমাদের মহা পুরুষ যার নামে আমরা মানুষ মারি, যার আদর্শ প্রতিষ্টতার নামে আমরা সমাজে অরাজকতারস তৈরী করি, হরতালের নামে রাস্তাঘাট বন্ধ করে মানুষ কে কষ্ট দিয়। পরের বার যখন এসব দেখবেন , পারলে তাদের কে প্রশ্ন করেন , তারা কি নবীজীর সার্থ রক্কা করতেছে নাকি ধর্ম ব্যাবসায়ীদের।

ইসলাম ধর্মের মর্জাদা রক্কা করার জন্য কোন আইনের দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে হাঁ ধর্ম ব্যাবসায়ীদের রক্কা করার জন্য, তাদের মুনাফা ঠিক রাখার জন্য আইনের দরকার । আমার মতে তাই ব্লাসফেমী কোন ধর্ম রক্কার আইন না, এটা ধর্ম ব্যাবসায়ীদের রক্কা করার আইন।

কেউ যদি নবীজী (সঃ) সম্পর্কে বা ইসলামের কোন বিধিবিধান সম্পর্কে কোন প্রশ্ন তুলেন তার উদেশ্য হতে পারে এটা সম্পর্কে জানে না, তার সাধারন জ্ঞানে এটা ঠিক যুক্তি সঙ্গত মনে হাচ্ছেনা , সে এটা সম্পর্কে জানতে চাই, অথবে অনেক জ্ঞান পাপী যেনে শুনে কুৎসা রটাতে চাই। এতে আমাদের (যারা ইসলাম ধর্ম মানি) তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারন আমাদের ধর্মের ঘোড়া আনেক মজবুত। যুক্তি দিয়ে কেউ পার পেয়ে যাবে না। ইতিহাস সাক্ষী বিজ্ঞানের , প্রযুক্তির যত উন্নতি হাছে এই সত্য ধর্মের সত্যতা আরো নতুন রুপে আবিষ্কার হচ্ছে। আর যারা কুৎসা রটাতে চাই তাদের কে বিনয়ের সাথে যুক্তি দিয়ে পরিহতো করুন , শক্তি বা মারার হুমকি দিয়ে নয়। জানি না তো আসুন গবেষোনা করি, সত্যিকারের আলেম দের থেকে শিক্ষা নিয়, তাদের বই পড়ি। এতে দেখবেন কুৎসাকারিরা আমাদের আরো উপকার করতেছে। পড়া আর জ্ঞান আহরনে নামে যে ধর্মের শুর , সেই ধর্ম তাঁর নিজের রুপে আবার বিকশিত হাচ্ছে।

আল্লাহ আমাদের নিজের ধর্ম সম্পর্কে জানার শক্তি দান করুক, ধর্ম ব্যাবসায়ী ও কুৎসা রটানা কারিদের পরাজিত করুন, সতিকারে আলেম দের আরো বাশী গবেষোনার শক্তি দান করুক, সমাজের সত্যের প্রতিষ্টা হোক এবং আমাদের সবাইকে বিনয়ী করুন, নবীজীর জীবনী মেনে চলার শক্তি , ইচ্ছা দান করুক। এই প্রার্থনা করে শেষ করলা

(আপনার সুচিন্তিত মতামত ও যুক্তি কাম্য। আমার ভুল হলে ভুল ধরিয়ে দেবেন , কেন ভুল হয়েছে বলবেন । যে কোন ধরনের যুক্তিকে স্বাগতম। আজে বাজে মন্তব্য করবেন না দয়া করে। )
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×