somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মৃতি কেন কাঁদায়

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে আরও একটি বছর। বছরের শেষদিনে এসে মনটা কেমন ব্যথা ভারাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। বুকের ভেতর কেমন মোচড় দিয়ে উঠছে। এভাবেই হারিয়ে যেতে থাকবে সময়গুলো; সাথে হারিয়ে যাবে স্মৃতির মণিকোঠায় জমা হওয়া কতনা সুমধুর স্মৃতি, কতনা ভালোলাগার মুহূর্ত, কতনা হাসি-আনন্দের ক্ষণ। একটি বছরে ধীরে ধীরে জমা হওয়া স্মৃতিগুলো সামনের দিনগুলোতে নিশ্চয়ই মনটাকে নস্টালজিক করে দেবে; ভাবনার অতলে হারিয়ে যেতে যেতে আক্ষেপের বোঝাটা ভারি হতে থাকবে। কত আপনজনের প্রিয়মুখ ভেসে উঠবে মনের পর্দায়! কত পরিচিত মুখ প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেবে তাদের সাথে কাটানো প্রিয় মুহূর্তগুলোকে! এই ব্লগেরই অনেক হারিয়ে যাওয়া মুখ মনের কোণে উঁকি দিয়ে দিয়ে তাঁদের নামগুলো স্মরণ করিয়ে দেবে! তাঁদের সাথে কাটানো সময়গুলো, তাঁদের সাথে দেয়া আড্ডাগুলো ক্ষণে ক্ষণে স্মৃতিতে হানা দিয়ে মনটাকে আরও ব্যথাতুর করে দেবে! কত পরিচিত মুখ এই এক বছরে হারিয়ে গেল! জানি না তাঁদের সাথে আর কখনও যোগাযোগ হবে কি না! জানি না আর তাঁদের সাথে কথা বলা হবে কি না! এভাবেই হয়ত একদিন আমিও আর থাকব না; তাঁদের মতই হারিয়ে যাওয়াদের তালিকায় যুক্ত হয়ে যাব!

সময় বড়ই নিষ্ঠুর! কেন যে মানুষ আপনজনদের চিরতরে ধরে রাখতে পারে না! কেন যে ভালোলাগার মুহূর্তগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে না! কেন যে মানুষ অতীতে ফিরে যেতে পারে না! কেন যে মনে হাসি-কান্না আর মান-অভিমানের স্মৃতি জমা হয়ে মানুষকে অসহনীয় কষ্টের আগুনে পোড়ায়! জানি মানুষের সাধ্য খুবই সীমিত। চাইলেই সবকিছু করতে পারে না। কিন্তু স্মৃতি কেন এত ব্যথা দেয়! কেন ভেতরে ভেতরে ক্ষরণ হতে থাকে?

নতুন বছরে হয়ত এমনই আরও কিছু স্মৃতি জমা হবে। কামনা করি সবার জন্য স্মৃতিগুলো শুধু আনন্দেরই হোক! আর যাঁরা চলে গেছেন তাঁদেরকে বলব- আবার ফিরে আসুন আপনারা।


আজ তবে থেমে যাক জীবনের সব স্পন্দন,
ঝরে যাক সুকুমার কোমল বৃত্তিগুলো সব;
দলিত মথিত হোক সঞ্চিত যত অনুভব,
গোড়া থেকে শুরু হোক হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।

আঁধারের সাথে হোক আজীবন সখ্যতা শুরু,
চিরতরে পেয়ে যাক ক্ষয়ে আসা স্বপ্নেরা লোপ;
থেঁতলানো আকুতিতে জমা হোক আঘাতের স্তুপ,
ধীরে ধীরে স্তরে স্তরে জমে জমে হোক আরো পুরু।

ফিকে হয়ে যায় যদি জীবনের সব রঙ-রূপ,
আঘাতে আঘাতে যদি ধসে যায় আশার প্রাচীর;
সাগরের মত হব চিরতরে শান্ত ও স্থির,
স্থবিরতা করে নেবে গ্রাস, হব মূক-নিশ্চুপ।

কপালের লিখন কে বদলাবে, হোক তবে তাই
জীবনের চাওয়া-পাওয়া সবকিছু ছেড়ে গেছে জানি;
ত্রুটি সব আমারই তা নতশীরে নিয়েছিও মানি
হৃদয়ের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়ে হোক ছাই।

অভিযোগ থাকবে না কারো প্রতি থাকবে না দ্বেষ;
ক্ষোভ, মান-অভিমান থাকবে না জানি নিশ্চিত;
আক্ষেপও থাকবেনা ভাগ্যের প্রতি কিঞ্চিত,
প্রাণের আকুতি যদি চিরতরে হয় নিঃশেষ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
২৪টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×