বাংলাদেশ সরকার বলতে ও আওয়ামী লীগ বলতে বাংগালী জাতি ১ জন মানুষকে বুঝেন; তিনি হলেন শেখ হাসিনা। আমেরিকা ও ইইউ যখন বাংলাদেশ সরকারকে আগামী নির্বাচন 'সঠিকভাবে করতে' বলছে, এর অর্থ হলো, গত নির্বাচন সঠিকভাবে হয়নি, কিংবা ওরা সন্দেহ করছে যে, আগামী নির্বাচন 'সঠিকভাবে হবে না'; এই ধরণের পরিস্হিতি কি শেখ হাসিনার সম্মন বাড়াচ্ছে, নাকি কমাচ্ছে? আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ইহাকে কিভাবে নিচ্ছেন? জাতি হিসেবে আমরা ইহাকে কিভাবে নিচ্ছি?
আমেরিকা ও ইইউ এই ধরণের কথা বলার ফলে, বিএনপি'র বেকুবেরা ভাবছে যে, আমেরিকার চাপে শেখ হাসিনার সরকার 'সঠিকভাবে ভোট করলে' তারা জিতে যাবে! আমেরিকার চাপে শেখ হাসিনা নিজের পদ্ধতি বাদ দিয়ে এমন কিছু করবে না , যাতে বিএনপি জিততে পারে। ভোট উনি নিজের মতো করলে, এবং ভোটে উনার দল জয়ী হলে, ইহা নিয়ে আমেরিকা সন্তুষ্ট না'হলে, সেটা নিয়ে আমেরিকা হয়তো অসন্তোষ প্রকাশ করবে; কিন্তু শেখা হাসিনার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করবে না; কিংবা কোনরূপ ব্যবস্হা গ্রহন করবে না; শুধু জাতি আবারো অনুভব করবে যে, উনার সরকারের প্রতি আমেরিকা ও ইউরোপের সম্মান নেই।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা চাই যে, আমাদের জাতির প্রোফাইল ভালো হোক, বিশ্ব আমাদের নিয়ে জাতির কার্যকলাপ নিয়ে হাসাহাসি না করুক; আমাদের বড় দলের নেত্রীকে সম্মান করুক।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে'র এপ্রিল মাসে "নিজকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলো"; আমেরিকা ও ইউরোপের লোকজন এই ধরণের হীন কাজকর্মকে কখনো সন্মান করে না। সেই বছরের ৩০সে মে জিয়া নিজকে প্রসিডেন্ট বানানোর ব্যাপার হ্যাঁ/না রেফেরেন্ডাম ভোট নেয়; ভোটের রেজাল্ট মিলিটারী বদলায়েছিলো তখন। আমাদের দেশের মানুষ ইহা কতটুকু বুঝতো, তা বলা মুশকিল; কিন্তু কুটনীতিবিদরা সব জানতো; ওরা জিয়াকে নিশ্চয় সম্মানের চোখে দেখতো না। আমরা চাহিনা যে, বিশ্বে আমাদের প্রোফাইল খারাপ হোক; আমরা চাহিনা যে, ওরা শেখ হাসিনাকে নীচু চোখে দেখুক। শেখ হাসিনাকে এমন ব্যবস্হা নিতে হবে, যাতে বিশ্ব আমাদের জাতিকে সম্মানের চোখে দেখে, উনাকে সম্মান করে।