গতকাল ব্লগে ছিলো "তিশা দিবস"; বেশ কয়েকটি পোষ্ট এসেছিলো, অনেক ধরণের মন্তব্য হয়েছে; ২টি সরায়েও নিয়েছে। সরায়ে নেয়া ২টির মাঝে ১টির লেখক ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্সের গ্রেজুয়েট; তিনি পোষ্টের শিরোনামের সাথে যোগ করেছিলেন, Critical Anlysis & Findings। লেখক ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্সের গ্রেজুয়েট, ১ জন মেয়ের বিয়ে নিয়ে কি Critical Anlysis & Findings করলেন, পড়ে দেখলাম।
উনার মুল বক্তব্যের মাঝে একটি একটি হলো, তিশার বিয়েটাই একটা "বাতিল হয়ে যাওয়া বিয়ে"; উনার যুক্তি হচ্ছে, আমাদের নবীর (স: ) কোন একজন সাহাবী বলেছিলেন যে, "মেয়েরা যদি অভিভাবক থেকে বিয়ের অনুমতি না'পেয়ে, নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে, তাহা বাতিল বিয়ে"; কিন্তু ছেলেদের বেলায় ইহা প্রয়োজ্য নয়।
১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশী বয়সের মেয়ে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারে বাংলাদেশে; এবং তিশার বিয়ে কোর্ট অবধি গড়ায়েছিলো, রায় তিশার পক্ষে আছে। তিশার নাম আমি গতকাল শুনেছি প্রথমবার, তার ভালোবাসা, সুখ-দু:খের কোন ইতিহাস আমার জানা নেই। আমি একটি ভিডিওতে দেখেছি একদল খুব তরুণ বয়সী ছেলে তিশা ও তার স্বামীকে হেনস্তা করছে বইমেলায়, পুলিশ তিশা ও তার স্বামীকে রক্ষা করার জন্য কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে; এসব তরুণরা তাদের পেছনে পেছনে খারাপ শ্লোগান দিয়ে তাদের অনুসরণ করছে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্সের গ্রেজুয়েটের পোষ্টে আমি মন্তব্য করে অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি ও জোর দিয়েছি যে, তিশার অধিকার রক্ষা করেছে আমাদের দেশের আইন ও সংবিধান, আপনি কেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্সের গ্রেজুয়েট হয়ে "ফতোয়া" দিচ্ছেন? তখন উনি আমাকে "নাস্তিক" ডাকলেন।
ব্লগে তিশাকে নিয়ে অন্য পোষ্টগুলোতেও তিশার পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য ছিলো; কিন্তু ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্সের গ্রেজুয়েট যদি ১৪০০ বছর আগের কোন একজন সাহাবীর বলা নিয়মকে বাংলাদেশে চালু রাখতে চা্য়, জাতি কি করে সঠিক পথে এগুবে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫২