সব ধর্মেই সুপার-হিরো আছেন, এঁরা রূপকথার সুপার-হিরো। হিন্দু ধর্ম পুরোটাই রূপকথা নির্ভরশীল হওয়ায়, ওখানে হাজারের বেশী সুপার-হিরো আছে। হিন্দু সুপার-হিরো ও অবতার, লর্ড কৃষ্ণ কুরুক্ষত্রে যুদ্ধ করেছেন পান্ডবদের পক্ষে; পান্ডবেরা জয়ী হয়েছিলো। সম্প্রতি আমেরিকায় এক হিন্দু পুরহিত বক্তব্যে বলেছেন, প্রভু কৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রে এটমবোমা ব্যবহার করেছিলেন।
ইহুদীদের ১ সুপার-হিরো ছিলেন রাজা ডেভিড; তিনি গুনাইল থেকে পাথর ছুঁড়ে ১ ফিলিস্তিনী মহাবীরকে পরাজিত করেছিলেন; পরে তিনি ইহুদীদের রাজা হয়েছিলেন। নবী মুসা (আ: ) নিজেই সুপার-হিরো ছিলেন। আরেকজন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি এলে, আল আকসা মসজিদ ভেংগে সেখানে নতুন ইহুদী টেম্পল করবেন।
যীশুকে সৃষ্টিকর্তা নিয়ে গেছেন, উনি আবার আসবেন। তিনি যোদ্ধা নন, শান্তির বাণী নিয়ে আসবেন; মানুষ ও নেকড়ে বন্ধু হয়ে যাবে, সবাই খৃষ্টের অনুসারী, সব এক, শুধু প্রশান্তি।
ইসলামেও ১ জন আসবেন, ইমাম মাহদি; তিনি পুরোবিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্টা করবেন; তিনি রাগী মানুষ, হাতে তলোয়ার থাকবে। ব্লগে, ইমাম মাহদিকে নিয়ে শতশত পোষ্ট আমি পড়েছি; এসব লেখকদের মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী লেখক হচ্ছেন আমাদের ব্লগার 'মহাজাগতিক ছিন্তা'; উনার নিজেরই অনেক পরিচয় আছে: কবি, কম্প্যুটার ইনষ্ট্রাক্টটর, ইসলামিক স্কলার (?) । উনি উনার কোন দক্ষতা দিয়ে জীবিকা অর্জন করেন? উনার বেতন আসে কম্প্যুটার শিখায়ে; কিন্তু উনার লেখায় আজকাল বেশী আসছে ধর্মীয় রূপকথা।
খৃষ্টান, ইহুদী ও হিন্দু সুপার-হিরোদের কেহ কেহ পৃথিবীতে এসেছিলেন ও আবারো আসবেন। মুসলামানদেরটাও আসবেন। এরা এই বিশ্বে একই সাথে আসলে কি ঘটবে বিশ্বে?
ইউরোপ আমেরিকায় নতুন জেনারেশনের সুপার-হিরোরা এসেছেন, এরা রেলগাড়ী, ট্রাক্টের, এরোপ্লেন, মাইক্রস্কোপ, রেডিও, পেনিসিলিন, এন্টিবাইওটিক, টিকা ও কম্প্যুটার বানায়েছেন; এখন ইউরোপ, আমেরিকা তাদের ধর্মীয় সুপার-হিরোদের আশায় বসে নেই; কখন আসবেন, কি করবেন, কারো মাথা ব্যথা নেই!
মুসলমানেরা বসে আছেন, কখন সুপার-হিরো আসবেন, তখন বিশ্বার সবাই মুসলমান হয়ে যাবেন, সব সমস্যার অবসান; ঢাকা শহরকে পুরস্কৃত করবেন মসজিদের শহর হিসেবে; আর, চিটাগংকে পুরস্কৃত করবেন ১২ জন আওয়ালিয়াকে ধারণ করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৪