যাত্রার শুরুতেই ধরা খাওন্তিস ! এবং শেষেও একই সুযোগ হারানো !
ভ্রমণ অনিচ্ছুক আমার এক কলিগ, যাহার সাথে অফিসে আমার সখ্যতা সবচাইতে বেশি, তিনি অবশেষে কক্সবাজারে পা ফেলিতে রাজি হইলেন । সাব্যস্ত হইল, বিমানে করিয়া কক্সবাজার পৌঁছানো মাত্র ইনানীতে চলিয়া গিয়া সেখানকান কোন এক হোটেল/রিসোর্টকে অস্থায়ী বাসভূম বানানো।
যাহা হউক, আমি ও উক্ত ঢিলা কলিগ দুজনেই খুব সকাল সকাল বিমানবন্দরে হাজির । কেহই নাস্তা করিয়া আসি নাই। আমি বলিলাম ফ্রিতে নাস্তা করিব এমটিবি এয়ার লাউঞ্জে । পরক্ষণেই খেয়াল হইল, নিজেকে অটো সাজেশন দেওয়া সত্ত্বেও এমটিবির ক্রেডিট কার্ড আনিতে বেমালুম ভুলিয়া গিয়াছি। ফলে প্লেনে করিয়া ফিরিবার সময়ও এমটিবি এয়ার লাউঞ্জে ফ্রি খানাখাদ্যের সুযোগ হারাইলাম। পকেটে যে ক্রেডিট কার্ড ছিল, তাহাতে এই সুবিধা নাই। ডমেস্টিকে আমার জানা মতে আরেকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে এই সুবিধা পাওয়া যায়, সেটি হইল ইউসিবি । অতঃপর, ফ্রি এর বদলে গাঁটের পয়সা খরচ । আর কোয়ালিটি আর কোয়ান্টিটিতেও তো লস হইল ।
উহাকে ঢিলা কলিগ বলিলাম এই জন্যে যে, আমাদের ভ্রমণের প্রতি গাইটে গাইটে উহার বিশ্রাম ও সিগারেট ফুকন্তিস । এক পর্যায়ে রাগ করিয়া উনাকে “conscience” নাই বলিয়াছিলাম । পরবর্তিতে মাঝে মধ্যেই কোন কাজ করিতে পরামর্শ লইবার আগে উনার “conscience” এর পারদ উর্ধমুখী হইতেছে কীনা জানিতে চাহিতেন।
ইনানী বীচ ঘেঁষা হোটেলের ব্যালকনি থেকে ভ্রমণ পরদিন সকালের মুহূর্ত ।
ভোরে পানি হোটেলের খুব কাছে চলিয়া আসিতেছে।
হোটেল রুমের ব্যালকনি থেকে আরো দুইটি ছবি।
ভ্রমণের দিন বিকালে ইনানীতে কিছু পাথুরে মুহূর্ত।
ইনানীর আকাশে নয়নাভিরাম ঘুড়ি উড়িতেছে । সেইসাথে মনটাও।
এক ক্যামেরাম্যানের প্রয়াসকে ফ্রেমবন্দি করিবার প্রয়াস।
ইনানী সৈকতে মায়াবী সূর্যাস্ত ।
সৈকতের আরো কিছু ছবি।
রাতে তোলা ছবি ।
একটি ব্যাখ্যা। আগের পোস্টে বলিয়াছিলাম যে , কক্সবাজারে দশ/এগারো বার যাওয়া হইলেও ছবি তুলতে অনীহা। হঠাৎ একটা ছবির ফোল্ডার পাইলাম যাহাতে ইনানী ভ্রমণের বেশ কিছু ছবি তোলা ছিল । তাহাতে আমার আগের পোস্টের উক্ত বক্তব্যের কিঞ্চিৎ সত্যতা হ্রাস পাইল । ছবি ফোল্ডারটির আবিস্কারে আমি আনন্দিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯