somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অর্থমন্ত্রী এ কি বললেন?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বীকার করলেন, দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সম্পর্কে খারাপ ধারণা রয়েছে। কিন্তু ‘শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ’ হিসেবে আমাদের এ বৈশ্বিক পরিচিতির কলঙ্ক ঘোচাতে তাঁদের সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, নিলে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। বাংলাদেশের মানুষ ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিল যেসব কারণে, তার মধ্যে একটা ছিল এই যে, আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার করেছিল, ক্ষমতায় গেলে তারা দুর্নীতি দমনের অভিযান আরও জোরদার করবে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও শক্তিশালী করবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি এর উল্টোটা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক যেটুকু স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছিল, এখন তা-ও পারছে না। দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের ভাষ্যের অনুসরণে বলা যায়: তথাকথিত এ স্বাধীন সংস্থাটিকে নখ-দন্তহীন করে ফেলা হয়েছে।
শনিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত তামেশু সিনোসুকার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষা ৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে ঋণদাতা দুটি সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে মতদ্বৈধতার কারণে। মতদ্বৈধতার কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজটি পেতে চায় যেসব প্রতিষ্ঠান, তাদের মধ্যে কারা দুর্নীতিবাজ, কারা নয়—এ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না এ দুটি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আছে, এডিবির কালো তালিকায় তাদের নাম নেই। আবার এডিবির কালো তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আছে, বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় তাদের নাম নেই। ফলে নির্মাণকাজের জন্য দরপত্র আহ্বানের কাজটা পড়ে গেছে জটিলতায়। অর্থমন্ত্রী জানাচ্ছেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে সরকারের নিজের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হতে পারে—এই আশঙ্কা থেকেই তো সংস্থা দুটির মধ্যে মতদ্বৈধতা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে বিচার করা যাবে, কোন দাতা সংস্থার কালো তালিকা সঠিক, কোনটির বেঠিক? এ সমস্যার সমাধান কী?
অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মধ্যকার মতদ্বৈধ সমস্যাটির নিরসন হবে; কিন্তু কেমন করে হবে, আমরা তা বুঝতে পারছি না। কোন সংস্থা কোন কোন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকা থেকে সাদা তালিকায় পার করে দিয়ে দরপত্র দাখিলের যোগ্য করে তুলবে? কিসের ভিত্তিতে তারা তা করবে?
বিদেশিরা বলছে বলে নয়, বিদেশিদের তৈরি করা দুর্নীতির সূচকে আমরা শীর্ষ সারিতে অবস্থান করি বলে নয়, আমাদের সব সরকারি কাজে দুর্নীতির চর্চা কঠোরভাবে দমন করতে হবে এ দেশের জনগণের দিকে তাকিয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ জোগাবে বাংলাদেশের জনগণ, ঋণদাতাদের ঋণ সুদে-আসলে পরিশোধও করতে হবে দরিদ্র এ জনগণকেই। সুতরাং সরকারের সব দায় চূড়ান্তভাবে জনগণের কাছেই। নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা ভুলে যাওয়া চলবে না। দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সব বড় প্রকল্পের পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
এখানে
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×