কত রকম ছাগুরে ভাই আমার বংগদেশে!
কেউবা আলেম, কেউবা আঁতেল ঘুরছে কতবেশে!

ছাগুব্লগে গেলে কতরকম ছাগুর দেখা পাওয়া যায়।কত আজব রকমের তাদের জিজ্ঞাসা, কত আজব রকম তাদের আবদার। যেমন বেশীভাগ ছাগুর মনে জিজ্ঞাসা আর আবদার কেন আমরা ৪০ বছর আগেকার ঘটনার ব্যাপার ভুলে গিয়ে অতীতের দিকে মোটেও আর ফিরে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিনা?
(আসলে যাদের অতীত কলংকিত ও পাপেপূর্ণ তারাই কিন্তু একথা গুলো বেশী বলছে।কারণ অতীতের দিকে চাইতে গেলেই শুধু ফাঁসির দড়ি চোখে পড়ে, ফলে অতীতের দিকে না তাকানোর জন্য তাদের নানানরকমের যুক্তি। একটা বারও কিন্তু তারা এটা বলেনা অতীতে যা করেছিলাম পায়ে পড়ি ভুল করেছি আমাদের মাফ করে দিন।আর কখনো এমন করবনা।)
হ্যা, অতীতের দিকে মোটেও আর আমরা ফিরে তাকাবো না, তবে তার আগে পাকিস্তানের পা চাটা গোলাম, পাক হানাদারদের হত্যাযজ্ঞের দোসর, আমার দেশের মা বোনদের গণিমতের মাল আখ্যা দানকারী, হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, মানুষ্ররূপী জানোয়ার, কুখ্যাত আলবদর, আল-শামস-বাহিনীর প্রতিটি কুকুরের (যে কুকুরগুলো ৪০ বছর হতে চলল কিন্তু আজ পর্যন্ত একটিবারও নিজেদের কুকর্মের জন্য মাফ চাওয়া তো দুরের কথা অনুশোচনা পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। উল্টো নিজেদের ছেলেদের ইউরোপ, আমেরিকা পাঠিয়ে বাংলার দরিদ্র মানুষের দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদের ছেলেদের দিয়ে জিহাদের নামে বোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যা করে সতত ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে) ফাঁসি দিয়ে নিতে হবে। কুকুরগুলির ফাঁসি হয়ে গেলে আমরাও আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাইনা।
মনে রাখতে হবে এদের উপযুক্ত প্রাপ্য এদের বুঝিয়ে না দিয়ে আমরা যতই পিছন ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি না কেন এরা পেছন থেকে এরা বারবারই গুপ্ত হামলা চালাবে, বোমা হামলা করে ইসলামের দোহাই দিয়ে আফগানিস্তানের স্টাইলে ক্ষমতা দখলে নেয়ার চেষ্টা করবে।
এদের উপযুক্ত প্রাপ্য এদের বুঝিয়ে না দিয়ে আমরা যতই পিছন ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি না কেন সাপ-লুডু খেলায় সাপের মুখে পড়ে যেরকম জয়ের একেবারে দুয়ার থেকে খালি হাতে ফিরে আস্তে হয়, আবার বহু পেছন থেকে খেলা শুরু করতে হয় তেমনি এই সাপ গুলির পেটে গেলেও আমরা বহু বছর পিছিয়ে যাব।
এদের উপযুক্ত প্রাপ্য এদের বুঝিয়ে না দিলে আল্লাহর জমিনে ন্যায়বিচার তথা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা না করবার অপরাধে হাশরের পবিত্র ময়দানে আল্লাহরও আমাদেরকে ক্ষমা করবেনা।
সেইসাথে আরো একটা কাজ আমাদের করতে হবে---বিচার করতে হবে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাথে,২ লাখ মা-বোনের ইজজতের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী সেইসব পশুদের যারা রাজাকারকূল শিরোমণি গোলামের বাচ্চা গোলাম কে এই দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া সহ রাজনীতি করবার সুযোগ করে দিয়েছিল।
এছোট্ট কাজদুটি করতে পারলেই আমাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবেনা, তাকাতে চাইও না।
আর এ কাজ না করে ঝুলিয়ে রেখে বছরের পর বছর ধরে কেউ যদি রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার নিয়ত করে তবে এ সাপগুলো তাদেরও যে ছেড়ে দেবেনা ১৫আগস্ট, ২১আগস্ট তার বড় প্রমাণ।
আর কিছু ছাগু চারদলীয় সরকারের সাথে এসরকারের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কোনো পার্থক্যই খুঁজে পাচ্ছেনা।হ্যা, পার্থক্য খুব একটা নেইও উনিশ আর বিশ।কিন্তু উনিশ আর বিশ-এর মধ্যে যে difference সেটাও কিন্তু একেবারে কম না। একবার বলুন তো, খুলনার মঞ্জুরুল ইমাম, নাটোরের মমতাজ এম.পি.,গাজীপুরের আহসানউললাহ মাস্টার, কিংবা অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া বিএনপির এইরকম ভালো নেতাদের গুলি করে মেরে, বোমা দিয়ে হত্যা করে তার দায় আবার বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা এপর্যন্ত এসরকার করেছে কিনা? কিংবা খালেদা জিয়ার মাথায় গ্রেনেড মেরে আইভী রহমানের মত নেতা সহ অসংখ্য মানুষ মেরে তার দায় আবার খালেদা জিয়ার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে কিনা?করেনি, আর করবেওনা।বাংলা ভাইয়ের মত জংগীদের কথা বলতে গেলে কারা বলত এগুলো মিডিয়ার তৈরী গুজব, দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানীর মামলা কারা ধামা চাপা দিয়েছিল, জজ মিয়ার মামলার মত নাটক কারা বানিয়েছিল, জাল সনদধারী লোককে কারা বিচারপতি বানিয়েছিল এগুলো এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে?