আমার প্রথম বর্ণমালা আঁকা খড়ি মাটি দিয়ে স্লেটে বুকে । মা একটা বর্ণমালা লিখত আর আমি তার উপর হাত ঘুরিয়ে ঘরিয়ে আঁকতাম। তার পর পেলাম কাঠপেন্সিল । রুল টানা খাতায় লিখতাম অক্ষর, সংখ্যা , ভুল বাক্য। মাঝে মাঝে কাঠপেন্সিল ক্ষয় করতাম রঙ্গিন দেয়ালে নানা অর্থহীন ছবি আর হরেক বর্ণ লিখে । একটু বড় হওয়ার পর পেলাম বলপেন। তা দিয়ে কাটল আমার শৈশব । আমরা ফাউন্টেন পেন পাইনি । তখন এর চল চলে গেছে । বাবার কাছে দেখিছি তার পুরাতন পাইলট ফাউন্টেন পেন । বাবা মাঝে মাঝে তার ঝরনা কলম দিয়ে লিখতেন। এক সময় বাবর ফাউন্টেন পেনটা হারিয়ে যায় হয়তো বা বলপয়েন্ট তার জায়গা দখল করে নেয় । অথছ কত আবেগ জড়িয়ে ছিল বাবর কলমটার সাথে। একবার পুরানো জিনিস ঘাটতে গিয়ে বাবার একটা ডাইরি পাই, তাতে তার প্রথম পুত্র সন্তান হওয়ার আনন্দে কিছু বাক্য লেখা তার প্রিয় কলমটার রঙ্গে। আমরা যখন ছোট ছিলাম বাবা মাকে ছিঠি লিখতেন এই কলমটি দিয়ে । সে চিঠিতে কিছু অংশ জুড়ে থাকত আমাদের জন্য। যখন একটু বড় , আমি পড়তে পাড়ি তখন মার চিঠির সাখে আসত আমার নিজের চিঠি । আমি সে চিঠি বার বার পড়তাম । তাতে মিশানো থাকত আমার বাবার শরীরের গন্ধ, পরিচিত অক্ষর আর সেই কলমের আঁচড় । রাতে ঘুমানোর সময় চিঠিটা বালিশের নিচে ওম দিতাম। মনে হত বাবা আমার সাথে আছে।আমি পাইনি সেই ফাউন্টেন পেন কিংবা অভস্ত ও না । বলপেন ছেড়ে কখন যে কিবোর্ড চালানো ধরেছি বুঝতেও পারিনি। লিখি ,কিন্তু কেন জানি খাপছাড়া। বোধয় কলমের সাথে সখ্যতা হারানোর কারনে।
২৫-০৫-২০১৩
আ ব্দু ল্লা হ - আ ল - দু র রা নী স নি