নিজেদের দেশমাতার আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে ২৬ শে মার্চ কি আমরা একটা র্যালী বা মানব বন্ধন করতে পারি?
আমরা স্বাধীনতার উত্তরপুরুষেরা নিজেদের নিয়ে অনেক বড় ধারনা পোষন করি অনায়াসে।
আমরা বীর বাঙালির জাতি, আমরা ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালির প্রনের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা নিয়ে খুব গর্ব করি। বয়স্ক মুরুব্বীদের কাছে তাদের দূর্দম সাহসীকতা আর অটল বীরত্বের কথা শুনে শুনে এমন কেউ নেই যারা একবার হলেও ভাবিনি আমিও যদি সে মুক্তিযুদ্ধে লড়তে পারতাম।
হ্যা, ভাবতে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে, বুকটা ফুলে ওঠে বাবা, কাকা, আরো অনেক বয়স্ক মুরুব্বীদের কাছে, মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছে তাদের কথা স্মরন করলে।
অথচ আমরা আসলে মুক্তিযুদ্ধের বা স্বাধীনতার চেতনা কতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছি তাতে নিজেরাই প্রশ্নবিদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের গন্ধ গায়ে মেখে এখনো অনেকে বেচে আছে বার্ধক্য নিয়ে,
আর এখনো আমাদের গায়ে কাটা দিয়ে আলোরন তোলে-
"মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি,
মোরা একটি মুখের হাসির জন্যে যুদ্ধ করি..."
কিন্তু একবার ভেবে বলুন তো,
যদি আজ নিজেদের দেশমাতাকে এরকম বেচাকেনা করতে দেখে
হাত গুটিয়ে বা অন্যেরা যাক আমি না গেলেও চলবে এই ভেবে,
অথবা নিজের ব্যক্তি বা পরিবারের স্বার্থ নিয়ে পড়ে থাকি, তাহলে
আমাদের ছেলে মেয়ে বা উত্তরপুরুষের কাছে আমরা কি জবাব দেব?
এতো কিছুর পরও আমরা নিজেদের দেশে সিনা টান করে হেটে বেড়াই,
আমাদের আগত প্রজন্ম তো নীতিগত আর আত্বমর্যাদাহীন আর পরাধীন
হয়ে মাথা নিচু করে হাটতে থাকবে। বংশ পরম্পরায় নিজেদেরকে
তেলাপোকার মত কেবল যদি বাচিয়ে রেখে চলি তাহলে
মানুষ হয়ে জন্মেছি কেন এ মাটিতে?
চলুন, এবারের স্বাধীনতা দিবসটাকে নিজেদের দেশ ও আগত প্রজন্মের জন্যে একটু ভিন্ন ভাবে পালন করি। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় অন্তত ভবিষ্যৎ নতুন আর আগত প্রজন্মের কথা ভেবে, আপনার আমার সন্তানের জন্যে -
কিছু প্ল্যাকার্ড, ব্যানার আর ফেস্টুন নিয়ে আজকের প্রজন্ম
২৬শে মার্চে আমরা একটা মানব বন্ধন গড়ি,
নতুন প্রজন্মের কাছে একটা দৃষ্টান্ত রেখে যাই
অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার,
মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার চেতনায়,
দেশ ও দশের স্বার্থে, জাতীয়তাবোধ আর দেশপ্রেম রক্ষায়
বাঙালির প্রজম্নান্তরে আত্বপরিচয় মাথা উঁচু করে টিকিয়ে রাখার...
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৩:১৯