নক্ষত্র ভরা ঐ আকাশে রূপোর ডিমের মতো পূর্ণ চাঁদ ; বহমান মধ্যরাত।
সামান্য পথের যাত্রি করতে এই রাত্রি বারবার আসে ফিরি আমার দরজায়।
নির্লিপ্ততা ঝেড়ে হলুদের গাঢ়তা মাখাতে আজও নিয়ে এসেছে অদূরে;
ঘুমন্ত এই শহরে এখন শুধুই কয়েকটি নিশি পাখির ডাক ;ঐ সুদূরে।
পৃথিবী হারিয়ে ফেলেছে নিজস্বতা ; সে এখন
প্রাণহীন-গতিহীন-অম্বুহীন কোনো
অস্তিত্বের নিস্তব্ধতায়,
নির্জনতার আবিষ্টতায়,
শিরশির বাতাসের আচ্ছন্নতায় ;
আর তাঁর পৃষ্ঠে কয়েকটি অর্ধক্লান্ত আত্মা;তাদের রোদিত সত্তা
পথ আছে,আছে ক্লান্তিহীনতা ;শুধু পায়ে নেই পথের পিপাসা।
বিকেলের সোনার ডিমের মতো সূর্যটা
ডুবে গেছে
রেখে গেছে
ঐ গোধূলির কুজনে সৃষ্ট প্রতিধ্বনি,
দশটা-পাঁচটার অফিসগুলো এখন ঘুমন্ত;মহাকালের অনন্য সিম্ফোনি।
তবুও ঐ নীল কস্তুরী আভার চাঁদ জাগিয়ে রাখে কাউকে কাউকে,
চাঁদ আর সোডিয়াম ল্যাম্পের মিশ্র-হলুদ-গাঢ়তা দেখাবে বলে।
ঐ নির্জন বিমিশ্র চাঁদ-সোডিয়াম ল্যাম্পের গাঢ় হলুদ
যেন অপূর্ণ সহোদর
আমরণান্তিক নির্ভর
নিচ্ছে শুন্যতা…….দিচ্ছে পূর্ণতা।
এদের পূর্ণতা আমাকেও ছুঁয়ে যায়,অসাড় করে দেয়;
জীবনকে ঐ মায়াবী চাঁদের মতই সমপ্রতিসম মনে হয়।
একসময় এই নির্জন চাঁদ পার করবে রাত্রির বৈতরণী
জাগিয়ে যাবে কারও কোন চিরন্তন-সত্য-অখন্ড সত্তা। অভিমানী।
রাস্তার সারি সারি হলুদ ল্যাম্পগুলোকে পুষ্পমাল্যের মত মনে হয়;একসময়
নিভে যায় সব, ছিঁড়ে যায় কল্পনার পুষ্পমাল্য;শুধু পড়ে থাকে এক পেয়ালা গাঢ় হলুদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০