মেঘলার মন আজ জৈষ্ঠ্যের আকাশের মতই মেঘলা ।কোন মেঘ নেই ।মানে শরত্চন্দ্রের মতে টুটিফাটা রোদময় আকাশ ।হুম,মেঘলা রেগে আছে ।রেগে যাবার ইস্যু হল চিরাচরিত বাংলা ফেসবুকীয়(!) গল্পের নায়কের মত আবিরের লেট করা ।অথচ এই ইস্যু নিয়ে আবির রেগে মেগে রাস্তায় হিসু করে ফেলে মেঘলা লেট করলে ।ফোন দেয় আবার মেঘলা ।
"দুঃখিত আপনার ডায়ালকৃত নাম্বারটি....." কি মধুর কন্ঠ!রেগে মেগে ফোনটা হাতের ঢাউস ব্যাগে ছুড়েঁ ফেলে সে ।আবার কল আসে হঠাত্ ।আবিরের ফোন ভেবে না দেখেই রিসিভ করে মেঘলা ।
"কোন জাহান্নামে তুমি....." কথা শেষ করতে পারে না সে ।ওপাশ থেকে ভেসে আসছে
"আপনার ফোনের ওয়েলকাম টিউন হিসেবে বেবি ডল সেট করতে * চাপুন ..."
মেঘলা মুগ্ধ কন্ঠে বলে ওঠে-বাল ।পাশে দাড়াঁনো ডাবওয়ালা চমকে তাকায় মেঘলার দিকে ।নিচের দিকে ঝুকেঁ হেসে ওঠে মেঘলা ।গালিবাজ নারী বাস্তবেই ভয়ংকর । রাগ রাগ মুখে হাসি দেখতে লাগে মেঘলা আকাশে হঠাত্ সূর্যকিরনের মত ।আবির পাশে দাড়িঁয়ে অপলক চোখে এটাই দেখছিল ।হঠাত্ আবিরের দিকে নজর পড়তেই থেমে যায় সে ।চোখ কটমট করে বাঁ হাতের কবজিতে অদৃশ্য ঘড়ি ইঙ্গিত করে লেটের কারন জানতে চায় মেঘলা ।মুখ কাচুঁমাচুঁ করে হাতের ব্যাগ থেকে তিনটা গোলাপ আর একটা কিটক্যাট চকলেট বের করে দেয় আবির ।মাথা এখনো নিচু ।এই সামান্য জিনিস কি পচিঁশ মিনিট লেটের অপরাধ ঘোচাঁতে পারবে?চোখে মায়া নিয়ে তাকিয়ে আছে মেঘলা ।আচ্ছা!আবির কি জানে অপরাধী ভঙ্গিতে তাকে বাচ্চাদের মত লাগে ?আচার চুরি করতে গিয়ে মায়ের হাতে ধরা খাওয়া বাচ্চার মত ।নির্মল হেসে আবিরের হাত থেকে জিনিসগুলো নিয়ে তাকে কৃতার্থ করে মেঘলা ।
-চলো ওখানটায় বসি ।
নিঃশ্চুপ আবির অনুসরন করে তাকে ।মেঘলার লালচে চুলের ঢেউ খেলানো বাকঁ দেখতে দেখতে ।আচ্ছা!মেঘলা কি বোঝে যে ও চুমু খাওয়ার চাইতে ওর মাথাতে হাত বোলাতেই বেশি পছন্দ করে?