নিজেকে আজ খুব সুখি মনে হচ্ছে, গর্বিত বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক আমি, সব দুঃখ বেদনা ভুলে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, "আমার মা, আমার বাংলাদেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশের মাটি, আমার দেশের মানুষ তোমাদের অনেক অনেক ভালবাসি"
..............................................................................................
স্বাধীন বাংলাদেশের মর্ম আজ যেন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি ।
স্বাধীনতার জন্য হাজার বছরের সংগ্রাম আমি দেখিনি,
দেখিনি দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ,
শুনিনি আমি ছেলে হারা মায়ের করুন আহাজারী ,
দেখিনি আমি শোকানল দাউ দাউ জ্বলে
স্বামীহারা নারীর চোখে ,
শুনিনি সর্বস্ব হারানো দুখীনি নারীর ক্রন্দন সুর
স্বজন হারার আর্তচিৎকার ।
আজ উপলব্ধি করছি,
তোমাদের দুঃখ-লাঞ্চনা-শোক আমাদের পাথেও হয়ে আছে ।
কাস্তে লাঙ্গল কলম ছেড়ে, ধরেছ অস্ত্র শক্ত হাতে
হাজার বছরের শোষনের বিরুদ্ধে,
শপথ করেছ, বাংলা মাকে মুক্ত করে তবেই ফিরে যাবে মায়ের কোলে ।
হয়তো তোমাকে হারিয়েছি হে অরুনোদয়ের যাত্রি
বাংলা মায়ের বীর সেনানি,
রেখেছো তোমার শপথ
পেয়েছি স্বাধীনতা, পেয়েছি মায়ের মুখে ভুবন ভুলান হাসি ।
আজ তাই প্রতিটি উৎসবে তোমাদের খুজি
তোমাদের অসীম ত্যাগ কি করে ভুলি ।
তোমাদের বুকের তাজা রক্ত সবুজ প্রান্তরে ঢেলেছো হাসি মুখে
তোমাদের হাসি আজও অমলিন, লাল সবুজ পতাকায় মিশে আছে ।
তোমাদের দেয়া পতাকার ভার, আর যেন বইতে পারছি না
লোভ-ঘ্রিনা-লালসায় আমাদের জাতীয় জীবন বিপর্যস্ত,
হায়েনার দল আবার ফিরে এসেছে
মন্ত্রি হয়, তোমার রক্তে রাঙ্গানো লাল-সবুজ পতাকা উড়ায় ।
তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি
পৃথিবীর মানচিত্রে " আমার সোনার বাংলা " উজ্জ্বল হয়ে আছে,
তোমাদের মহান ত্যাগ বৃথা যেতে দেব না, দীক্ষা নিই অগ্নিশপথে ।
তোমাদের ত্যাগের সুরে আলোকিত পৃথিবী
দুখিনী বাংলা মায়ের মুখে ফুটবে হাসি ।
সব বিভেদ ভুলে এদেশের মানুষ একদিন দাড়াবেই
প্রানে প্রানে বাজবে বাঁশী
"বাংলা মা-মাটি-মানুষ" তোমায় ভালবাসি । । । ।