somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী লীগ কেন অভিশপ্ত দল ??চলুন একনজরে একটু দেখে আসা যাকঃ

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যে আওয়ামী লীগ রোজগার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। দুঃখজনক হলেও সত্য, মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি। আওয়ামী লীগের যে সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলের দুঃসময়ে কাজ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদও আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুসহ নেতারা যখন জেলে তখন যে নেত্রী দলের হাল ধরেছিলেন, ছয় দফার প্রচার চালিয়েছিলেন সেই আমেনা বেগমও আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।জেনারেল এম এ জি ওসমানী সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। '৭০ সালে জাতীয় পরিষদ সদস্য হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিও আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।ষাটের ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি আবদুর রাজ্জাক কাঁদতে কাঁদতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। বুকভরা বেদনা নিয়ে এই দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলও ইন্তেকাল করেছেন। তাদের কাউকেই আওয়ামী লীগ সম্মান নিয়ে মরতে দেয়নি। ষাটের ছাত্রলীগের পুনঃজন্মকালে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এই দল করতে পারেননি। কে এম ওবায়দুর রহমান আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি। মাজহারুল হক বাকী, আবদুর রউফ, আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি। ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীও আওয়ামী লীগ করতে পারেননি। পারেননি খালেদ মোহাম্মদ আলী। ষাটের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি স্বাধীন বাংলার রূপকার,সেই সিরাজুল আলম খান আওয়ামী লীগ করতে পারেননি। আওয়ামী লীগ করতে পারেননি আসম আবদুর রব, শাজাহান সিরাজ।স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি '৭০-এর নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে নিতে মারা যাচ্ছেন, তবুও আওয়ামী লীগ করতে পারেন না।বন্দরবাজারে পচা আলু-পটলের মূল্য থাকলেও আওয়ামী লীগ আজ এতটাই অভিশপ্ত দল যে, সেখানে নূরে আলম সিদ্দিকীদের কোনো মূল্য নেই।ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ভাগনে শেখ শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের উত্থানে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভূমিকা ইতিহাসে অমর অক্ষয়। কিন্তু তার ছেলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আজ আর আওয়ামী লীগ করতে পারেন না ।ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ কোথায় কেউ জানে না। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুল হক চৌধুরী এখন বিএনপি করেন। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান আজ করেন জাগপা। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহলুল মজনুন চুন্নুর আওয়ামী লীগে ঠাঁই হয়নি। কোথায় আছেন কেউ খবরও নেয় না। ষাটের দশকের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন কোনো রকমে দলে বেঁচে থাকলেও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের ঠাঁই নাই। এই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তাকেও আওয়ামী লীগ করতে দেওয়া হয়নি। যে বিশ্বজিৎ নন্দী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে গিয়েছিল ক্ষুদিরামের মতো এই দল তাকেও ঠাঁই দেয়নি। তার খোঁজও নেয় নি। এক সময়ের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাড়াজাগানো বক্তা,'৭৫-উত্তর দুঃসময়ে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে সারা দেশে শিক্ষাঙ্গন থেকে জেলা-নগরে যিনি তার অনলবর্ষী আবেগ ও যুক্তিনির্ভর বক্তৃতায় হেমিলনের বংশীবাদকের মত ছাত্রলীগের পতাকাতলে ছাত্রছাত্রীদের টেনেছিলেন।ষাটের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন বাংলার রূপকার, সিরাজুল আলম খানের সামনে ইকবাল হলের পুকুরঘাটে হাতের অনামিকা আঙ্গুল কেটে রক্ত দিয়ে যিনি মাতৃভূমি স্বাধীন করার শপথ নিয়েছিলেন সেই ফজলুর রহমান আজ আর আওয়ামী লীগ করতে পারেন না। ছয়দফা,'৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান আর ,'৭১-এর এই নায়কেরা সবাই আদর্শচ্যুত নীতিভ্রষ্ট ?? আর আজকের মখা,মা্‌ল ,হানিফ,আবু্‌ল,লোটা কামালেরা বড়ই আদর্শবান !!!! এই অকৃতজ্ঞ অভিশপ্ত আওয়ামী লীগ আপনারা কেউ করবেন না।................................................................................................................................................
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×