গতকাল মিডিয়াতে একটি স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে দালাল মিডিয়ার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে অনুসন্ধানী মূলক এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরলাম। দালাল মিডিয়া এটাই প্রচার করার চেষ্টা করছে - হাসিনার এই মহাবিপদের সময় বিজেপি নাকি শক্তভাবে এই সরকারের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত !! আসলেই কি তাই ?? দাড়ান! আগে একটু হেসে নেই , এরপরে আসল ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করি
-
-
পয়েন্ট ১:
একটি দেশের সরকার যখন আরেকটি দেশের সাথে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে সম্পর্কযুক্ত হয়, তখন তা কি্ন্তু কোন সাধারন পাবলিকের সাথে হয় না, বরং ঐ দেশটির চলমান ক্ষমতাশীন সরকারের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে কাজ করে ।আর এ কারনে কোন দেশের সরকারেই চায় না অপর দেশটির চলমান ক্ষমতাশীন সরকারের সাথে অযথা কোন বক্তৃতা-বিবৃতির কারনে বা কূটনৈতিক শিষ্টাচারহীন কোন আচরনের কারনে সে সম্পর্ক বিনষ্ট হোক । আর এজন্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারের জায়গা থেকে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি সরকার জানিয়েছে, "তারা হাসিনা সরকারের সাথে একসাথে কাজ কাজ করতে প্রস্তুত ,হাসিনা সরকারের সাথে তাদের কাজ করতে সমস্যা নেই" । তথচ এই স্বাভাবিক বিষয়টাকে ঘুরিয়ে-প্যচিয়ে দালাল মিডিয়া প্রচার করছে এভাবে--" বিজেপি নাকি হাসিনার এই মহাবিপদের সময়, শক্তভাবে এই সরকারের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত" !!
-
-
পয়েন্ট ২: পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং বলেছেন , "হাসিনা আমাদের ‘ পুরাতন পরীক্ষিত বন্ধু’"। এটাতো অতি স্বাভাবিক একটা বাক্য ।কেননা আমরা সকলেই জানি, বিগত বাজপেয়ী সরকার যখন ইন্ডিয়ায় ক্ষমতায় আসে, তখন বাংলাদেশের সরকার ছিল হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ।ঐ সময় সেই দুই সরকার একসাথে একত্রে বহু কাজ করেছিল । সেই অতীত ইতিহাসের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা মিষ্টার সিং এর বক্তব্যটি খুব স্বাভাবিক একটা বক্তব্য। অথচ দালাল মিডিয়া এই স্বাভাবিক বাক্যটাকে নিয়ে অতি অস্বাভাবিক ভাবে লম্ফ-ঝম্ফ শুরু করে দিয়েছে । আচ্ছা বলেন তো, মিষ্টার সিং কি এটা বলেছেন যে, "খালেদা জিয়া আমাদের পুরোনো পরীক্ষিত শত্রু ?? না , বলেন নি । অথচ দালাল মিডিয়ার লম্ফ-ঝম্ফ দেখলে এরূপেই মনে হবে
-
-
আসল পয়েন্ট: গোয়েন্দা রিপোর্টের মাধ্যমে বিজেপি সরকার ইতিমধ্যে জানতে পেরেছে- বাংলাদেশে খুব সহসাই সামরিক অভ্যুত্থানের কোন ধরনের কোন সম্ভাবনা নেই ।।=====প্রশ্নটি ছিলোঃ বাংলাদেশকে নিয়ে বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কেন এই খোঁজ খবর ??জবাব এলো- " হাসিনা/খালেদার বাহিরে যদি অন্য কোন সামরিক বা কোন শক্তি কোন ভাবে ক্ষমতায় এসে পরে, তবে তাদের সাথেও যাতে ইন্ডিয়ান সরকার ভালোভাবে সুসস্পর্ক রেখে কাজ করতে পারে, এজন্যই বিজেপির এই খোঁজ খবর ।
-
-
পর্যবেক্ষনঃ বাংলাদেশের এই অস্হিতিশীল পরিস্হিতিতে বাংলাদেশের যেমন হাজার হাজার কোটি কোটি ক্ষতির শিকার হচ্ছে , তেমনি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশে রপ্তানিকারক ইন্ডিয়ার ব্যবসায়ীগনও । অর্থনৈতিক এই ক্ষয়ক্ষতি থামাতে দুইপাড়ের ব্যবসায়ীদেরই এখন আকুল চাওয়া-বাংলাদেশে অতিদ্রুত শান্তিপূর্ন পরিবেশ ফিরে আসুক।
-
-
শেষ কথা: আওয়ামী লীগকে কংগ্রেস যেভাবে নিজের ঘরের সন্তানের মতো আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে , বিজেপির কাছ থেকেও তেমন আশ্রয় পাওয়া আওয়ামীলীগের জন্য অসম্ভব । আর এটাই বিজেপির কাছ থেকে বিএনপির একমাত্র প্রাপ্তি ।যার প্রমান- মোদী-ওবামার বৈঠক নিয়ে ওবামার সফরসঙ্গী নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক ফিল র্যাইনারের সরকারি প্রতিবেদন । ফিল রেইনার বলেন, এটা নিশ্চিত যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা উত্তেজনাপূর্ণ। এ সফরে দুই নেতা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবর উদ্দিন বলেন,' বর্তমানে যা ঘটছে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকেই তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে' ।।আকবর উদ্দিনের এই বক্তব্যটার মূল কারন হচ্ছে মোদী-ওবামার বর্তমানের জুটি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪৮