somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা পরির্বতনে এত ছিল্লা ফাল্লা কেন? আসুন মূল বিষয়ে পরির্বতনের জন্য আন্দোলন করি

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনার অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে মেডিকেল সেক্টরে কয়েক বছর আগে ঘুনে ধরা শুরু হয়েছে। আমরা এখনও বুঝতে পারি নি। বুঝার জন্য আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না দূয়েক বছর পর এমনিই টের পাওয়া যাবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কোথায় গেছে।


ছোট বেলা থেকে আমাদের অধিকাংশ বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে যে তার ছেলে মেয়ে বড় হয়ে যেন ডাক্তার হয়। আর অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীরা তাদের জীবনে উদ্দেশ্য হিসাবে ঠিক করে ডাক্তার হওয়ার। তার কারনও খুব সহজ । আমরা সহজে দেখতে পাই ডাক্তারদের জীবন যাপন, সমাজে তাদের অবস্থান । খুব সাধারন ভাবে বললেও দেখা যায় ডাক্তারদের অবস্থান আমাদের সমাজে অনেক উঁচুতে।


ডাক্তার দেরকে আমরা যতই গালিগালাজ করি না কেন তারা কসাই, মানুষের অসহায়ের সুযোগ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে ল্যাব থেকে কমিশন নেওয়া, রোগীর প্রতি অবহেলা, ভূল চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর ক্ষতি করা এমন কি রোগীর মৃত্যুর জন্যও দায়ী। উপরন্তু তাদেরকে এত খারাপ বলা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু আমাদের ছেলে মেয়ে ভাই বোন নিজের আত্বীয় স্বজন ডাক্তার হওয়ক সবাই চাই। নিজের পরিবারে কেউ ডাক্তার থাকলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি যে ,আমার অমুক ডাক্তার।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে বাইশটি আর প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ আছে প্রায় পঞ্চাশ টি । সরকারি মেডিকেলে এ আসন সংখ্যা প্রায় তিন হাজার আর প্রাইভেট এ পাঁচ হাজার।আপনারা সকলে অবগত আছেন যে সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের মেধা প্রমান করে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। আর যারা মেধা পরীক্ষায় উর্ত্তীন হতে পারেন নাই আর নিজের বাপ মায়ের কাড়ি কাড়ি টাকা আছে আছে তারাই শুধু প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি হয়। যেখানে মেধা কখনও পূর্বশর্ত নয়, টাকাই ভর্তি হওয়ার পূর্বশর্ত । যার টাকা আছে সে ভর্তি হবে আর যার নেই সে ভর্তি হতে পারবে না। দেশের হাত গোনা কয়েকটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ বাদ দিলে পড়ার মান নিয়ে প্রশ্ন করার আগে মেডিকেলের বিষয় গুলো পড়ানোর মত কলেজগুলোতে অবকাঠামো ও একাডেমিক সুযোগ সুবিধা আছে কিনা?

এম বি বি এস কোর্সে মোট পাঁচ বছর পড়ানো হয়। এর মধ্যে সাড়ে তিন বছর শুধু বেসিক মেডিকেল বিষয় গুলো পড়ানো হয়। বাকী দেড় বছর শুধু ক্লিনিকেল বিষয় গুলো পড়ানো হয়। বেসিক মেডিকেল বিষয় গুলই ভিত্তি তৈরি করে দেয় পরবর্তি জীবনে এক জন মেডিকেলের ছাত্র কেমন ভালো ডাক্তার হবে। বেসিক মাডিকেল সায়েন্সে আটটি বিষয় পড়ানো হয়। সবচেয়ে আশ্চর্য ও দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে হাতে গোনা কয়েকটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ছাড়া কোন মেডিকেল কলেজেই এই আটটি বিষয়ে একজন করে সহকারী অধ্যাপক বা সহযোগী বা অধ্যাপক নেই পূর্ন সময়ের জন্য । একজন অধ্যাপক কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি মেডিকেল কলেজের একমাত্র শিক্ষক(প্রভাষক ব্যতিত কারন তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয় কোন উচ্চতর ডিগ্রি নেই) । টতৎৎৎসংশ্লিষ্ট
তিনি সপ্তাহে এক দিন কিংবা দুই দিন ক্লাস নেওয়ার জন্য আসেন এবং ক্লাস নিয়ে চলে যান। এভাবেই চলছে আমাদের দেশের মেডিকেল কলেজ গুলোতে বেসিক মেডিকেল বিষয় শিক্ষা দেওয়ার অবস্থা ।

এবার ছাত্রদের দেখি যারা মেধার যোগ্যতায় না পেরে টাকার যোগ্যতায় ভর্তি হলেন তাদের কি অবস্থা। এই কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই যে প্রত্যেক প্রাইভেট মেডিকেলে প্রতি ব্যাচে সাত থেকে দশ জন ছাত্র আছে যারা সরকারী মেডিকেল থেকে পাস করা ডাক্তারদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। আর বাকি গুলো সম্পর্কে কিছু বলতে ইচ্ছা করছে না তবে এতটুকু বলি তারা নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য নিরাপদ নয় চিকিৎসক হিসাবে আর আমজনতার জন্য যে কি তা বুঝে নেনX ।

আগে সরকারী মেডিকেল কলেজ গুলোতে আদু ভাইদের কথা শুনতাম, যারা বছরের পর বছর পরীক্ষা দিতেন কিন্তু পাস করতে পারতেন না। ইদানিং জানতে পারলাম যে সরকারী মেডিকেলে আদু ভাই সঙ্কটে ভুগছে। অনুসন্ধানে জানতে পারলাম যে সরকারী মেডিকেলের স্যাররা যারা প্রাইভেট মেডিকেলে পরীক্ষা নিতে যান তারা ঐখানে বিভিন্ন কারনে এমন গরু গাধাকে পাস করান যাদের কারনে এমন হাবলু মার্কা ছাত্রদের পাস করনো হলে কি দোষ তাদের আদু ভাইদের যারা তাদের চেয়ে বহু গুন ভালো।

তাই আসুন এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই যারা কোটি কোটি টাকার লোভে কোন রকম অবকাঠামো ও একাডেমিক সুযোগ সুবিধা না দেখে যত্রতত্র মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়ে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। আমরা এই রকম ডাক্তার চাই যারা আমাদের সঙ্কটকালিন সময়ে আমদের একটু সাহায্য করবেন। এই রকম ডাক্তার চাই না যারা আমাদের বিপদের সময় আরো বিপদে ফেলে দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৩
১২টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×