somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগ: জনস পাসে সান্ধ্যভ্রমণ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার সামার ভ্যাকেশনে আমেরিকা এসেছি বেশ কিছুদিন হলো। আমেরিকা বলতে নির্দিষ্টভাবে আমার প্রিয় জায়গা সানশাইন স্টেট খ্যাত ফ্লোরিডা রাজ্যের ট্যাম্পা বে এলাকায়। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আজকের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৬ ডিগ্রী সে.। আমি থাকি কানাডা'র ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়। অথচ ফ্লোরিডা'র এই প্রাণ ওষ্ঠাগত গরমে মানুষ কিভাবে থাকে, আমি ভেবে পাইনা! তাই ভ্যাকেশনে এসেছি ঠিকই, কিন্তু পারত:পক্ষে দিনের বেলায় বাসার বাইরে বের হইনা।

আজ বিকেলে ভাবলাম কাছাকাছি কোথাও ড্রাইভ করে ঘুরে আসি। আমার প্রিয় ওয়েবসাইট ট্রিপঅ্যাডভাইজরকে জিজ্ঞেস করতেই জানিয়ে দিল সেন্ট পিটারর্সবার্গ এলাকার পাইনালেস পার্ক কাউন্টিতে 'জনস পাস' বলে একটা জায়গা আছে যেখানে মানুষজন মাছ ধরে, বোটিং করে আর ফাটাফাটি কিছু রেস্টুরেন্টও আছে ওই জায়গাটাতে। কাজেই দেরী না করে ফোনের জি.পি.এস-এ ঠিকানা লিখে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলাম। পড়ন্ত বিকেলে চলে এলাম 'জনস পাস বোর্ড ওয়াক' এলাকায়।

গাল্ফ অব মেক্সিকোর পাশেই ম্যাডেরিয়া সমুদ্র সৈকত। আর তার পাশের ছোট্ট ভিলেটির নাম 'জনস পাস'। আজ শনিবার বন্ধের দিন। গিয়ে দেখি বেশ জমজমাট অবস্থা। ঘোরাঘুরির ফাঁকে সুযোগ বুঝে কিছু ছবি তুলে নিলাম যার কিছু অংশ আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো:


গাড়ি পার্ক করে রওনা দিলাম জনস পাসের উদ্দেশ্যে। আজ শনিবার ছিল বলে অনেক কষ্টে পার্কিং পেলাম। একঘন্টার জন্যে ২ ডলার।


এবার পায়ে হাঁটা পথে জনস পাসের উদ্দেশ্যে


আর অল্প একটু গেলেই ডেস্টিনেশন


যাবার পথে দেখি এই মহিলা কিছু পক্ষীকুলকে কি যেন একধরণের খাওয়া দিচ্ছেন।


পাখীগুলোও বেশ আগ্রহভরে ভদ্রমহিলার চারপাশে ভিড় জমিয়ে খাদ্যগ্রহণে মনোনিবেশ করেছে


এই পাখিগুলোর নাম কি সারস? আমার জানা নেই ঠিক; পাখি বিষয়ে আমি একেবারেই আনাড়ি।


ডিজিটাল ক্যামেরা হাতে থাকলে শুধু শাটার চাপতে ইচ্ছে করে।


এইবার চলে এসেছি জনস পাসে ঢোকার মুখে


জনস পাসে ঢোকার রাস্তায়


জনস পাসে ঢোকার রাস্তায়

এরপরের ছবিগুলো বোর্ড ওয়াক অর্থাৎ কাঠের পাটাতনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাবার রাস্তায় তোলা।











এই ফেরিতে করে ডলফিন ওয়াচ এলাকায় ঘুরতে যাওয়া যায়। আজ সময় ছিলনা বলে যাওয়া হলোনা। নেক্সট টাইম মিস দেওয়া চলবেনা। কি বলেন?

এবার দেখবো গাল্ড অব মেক্সিকো আর বোটিং অর্থাৎ স্পিড বোট/ নৌকা ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায় এমন কিছু দোকানের ছবি:









ম্যাডেরিয়া বিচ অথবা জনস পাসে যাবার পথে এই ড্র-ব্রিজের ওপর দিয়েই এসেছিলাম। নিচ দিয়ে কোন জাহাজ বা বড় নৌকা গেলে এই ব্রিজটি সময়মতো দু'ভাগ হয়ে যায়:





এবার দেখবো পাইরটে বা জলদস্যুর জাহাজ! সত্যি জাহাজ কিন্তু! কিন্তু আমি আপনিও চড়তে পারবো। অবশ্য টাকা খরচ করতে হবে সেজন্যে!





মাছের গন্ধ পেয়ে পাখীকূল আশে পাশেই ঘুরঘুর করছিল। এরা মানুষদেরকে খুব একটা ভয়-ডর করেনা!






এই যে দেখেন, ব্রিজের কাছেই এক ভদ্রলোক পানিতে নেমে মাছ ধরছেন! আর কিছু ছেলে-মেয়ে পানিতে দাপাদাপি করছে:




এবার চলুন, ব্রিজের নিচ দিয়ে হেঁটে যাই:






ব্রিজের আশেপাশে সবাই মাছ ধরায় চরম ব্যস্ত!

ওদেরকে ডিস্টার্ব না করে চলুন আমরা ম্যাডেরিয়া বিচের দিকে এগুই:








এবার বাসায় ফেরার পালা। পার্কিং লট থেকে গাড়ি নিতে হবে:



আজ তাহলে এ পর্যন্তই। খুব শীঘ্রই আবার ঘুরতে যাবো অন্য কোথাও। আর ব্লগে শেয়ার করার চেষ্টা করবো আমার আনাড়ি হাতের তোলা ছবিগুলো। সবাইকে শুভেচ্ছা।

সূত্র: http://www.johnspass.com/

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৯
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×