somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রগতিশীল 'মুসলমান' শিক্ষক বললেন, সরস্বতি পূজায় সকল ধর্মের ছাত্রদের অংশগ্রহণ করা নৈতিক কর্তব্য!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের ডিপার্টমেন্টে বেশ কিছু শিক্ষক 'প্রগতিশীল' হবার ভান ধরেন। ইনি তাদের অন্যতম। আজ ক্লাসে এসেই আমাদের এক হিন্দু সহপাঠী বাদলকে দাঁড় করালেন। এরপর সবার উদ্দেশ্যে বললেন, আজ তোমাদের সামনে একটা ঘোষণা আছে। এরপর বাদলকে ইশারা করতেই বাদল শুরু করল, 'আগামী ২৮ জানুয়ারি জগন্নাথ হলে আয়োজন করা হয়েছে সরস্বতি পূজা, তোমাদের সবার আমন্ত্রণ'।

স্যার এবার ওর থেকে কথা কেড়ে নিলেন। বললেন, 'সরস্বতি পূজায় সকল ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণ করা নৈতিক দায়িত্ব।'

আমার তো আক্কেল গুড়ুম। কী কয় স্যার?

উনি এবার যুক্তিপাত শুরু করলেন। বললেন, 'সরস্বতি হলো বিদ্যার দেবী। বিদ্যার প্রতি ধর্মনির্বিশেষে আমরা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করি। মুসলমানদেরকেও দেখবে যে, কখনো বইয়ের অসম্মান হলে সেটাকে কড়জোড়ে সালাম করে। আর সরস্বতি তো অন্য কিছু নয়। বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সুতরাং, তোমরা সকলেই পূজায় যাবে এবং পূজা করবে।'

একটু থেমে আবার শুরু করলেন তিনি। 'ছাত্রজীবনে আমার সাথে একজন নেপালি রুমমেট ছিল। সে যখন তার পূজা শুরু করত, তখন আমিও তার পাশে বসে যেতাম, পূজা করতাম।

পূজায় পড়তে হয়, এমন কয়েক ছত্র শাস্ত্রীয় বাক্য আওড়ালেন স্যার।

ছেলেপেলেরা পুরো ক্লাস জুড়ে হা করে তাকিয়ে দেখছিল স্যারকে।

ডিপার্টমেন্টে এই স্যারের জানার দৌড় খুব কম। ক্লাসে এসে প্রতিদিন আটকে যান। ইংরেজি বলতে চেষ্টা করলেই ভুল করেন। সেই তিনিই আজকে স্বরস্বতিবন্দনা শুরু করে প্রগতিশীলতার ভেক ধরছেন। তাকে কখনো এক ওয়াক্ত নামায পড়তে দেখা যায় নি। অথচ পূজা নিয়ে তার সে কি আবেগ!

ক্লাস শেষে ছাত্ররা বের হয়ে ব্যাপারটা নিয়ে কানাঘুষা শুরু করল। এক বেরসিক তো বলেই ফেলল, 'মা-সরস্বতী খুশি হইয়া উহাকে বর দিবেন কি, তাহার জ্ঞানের দৌড় দেখিয়া কোথায় যে তিনি লুকাইবেন, ভাবিয়া পান না'!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৯
২০টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×