somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশ , যুবসমাজ ও গনতন্ত্র ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশ, রাজনীতি এবং আমাদের যুবসমাজ......... । কথাগুলো একে অপরের পরিপূরক হওয়া উচিত ছিল ।

গনতান্ত্রিক দেশের নাগরিক
হিসেবে রাজনীতি আমাদের মৌলিক অধিকার । কিন্তু
আজকালকার জামানায় রাজনীতিকে না বলুন
শব্দটি বেশী শোনা যায় । বহুল প্রচলিত প্রযুক্তিগত
গন মাধ্যম ফেসবুকে বেশিরভাগ ছেলেমেয়রাই
দেখি বাক্তিগত তথ্য তে রাজনৈতিক মতবাদ এর
তালিকায় দেয় 'রাজনীতি আবার কি' অথবা লিখে রাখে 'I hate politics' ।
একটি দেশের যুবসমাজের বেশিরভাগই
যদি রাজনীতিকে ঘৃণা করে তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ
কোথায় ? স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখো শহীদ প্রাণ দিয়েছিল
যে দেশের জন্য , তারা মনে হয় জানত না যে দেশ জয়
করলেই আমাদের মুক্তি হবে না । দেশকে রক্ষা করাও
প্রয়োজন । দেশের বর্তমান রাজনীতিবিদদের
শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিমান অধিকাংশ ই নিম্ন ।
যুদ্ধের পর পর ই মেধাবী কিছু মানুষ
রাজনীতিতে টিকে আছে বলেই
বর্তমানে দেশটি টিকে আছে নতুবা এতদিনে সস্তা দরে বিক্রি
হয়ে যেত মনে হয় ।

সব বাবা-মা ই চায় তার সন্তান
ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , সরকারী চাকুরীজীবি ,
ব্যাবসায়ী , আইনজীবি ইত্যাদি হোক । কিন্তু
সমাজে কয়জন বাবা মা চায় যে আমার সন্তান
রাজনীতিবিদ হোক ? দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখুক ।

যে দেশের ঘরে ঘরে স্বার্থপরতা ,
নিজে নিজে ভালো থাকার কথা চিন্তা করা হয়
সে দেশের উন্নতি না হবার ই কথা । আমরা এই
স্বার্থের কথা স্বীকার করতে রাজি না । কিন্তু
দুর্নীতিবাজ দের স্বার্থের টাকা চুরির
ব্যাপারে মন্তব্য করতে খুবই মজা পাই । দেশের
মেধাবী ছাত্রদের এক চতুর্থাংশ
রাজনীতিতে আসলে বাংলাদেশের
চেহারা পাল্টে যাবে তা সবাই মনে মনে স্বীকার
করে কিন্তু কেউই মাঠে নামতে রাজি না । এ দেশের
সবকিছুই নিয়ন্ত্রন হয় রাজনীতি দ্বারা । অথচ
সে নিয়ন্ত্রনের বেশিরভাগ ই আজ দুর্নীতিবাজদের
থাবা তলে । সেখানে তাদের কোন প্রতিযোগী নেই ।
থাকলেও তাদেরই মতাদর্শ এর সমর্থক । এ কারনেই
আম জনতার কোন মূল্যায়ন নেই । আমরা ভোট দিয়ে সরকার বানাই ঠিকই কিন্তু তা দ্বারা উপকার
পাই না । মধ্যবিত্তদের উপর সমাজের নিয়ন্ত্রন
নির্ভর করে । কিন্তু সে মধ্যবিত্ত দের
রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা কম । তারা মুখ বুজে শুনবে,
দেখবে কিন্তু করতে সাহস পাবে না ।

আসলে সাহস
তো যুবকদের বেশী । তাদেরই উচিত প্রতিবাদ করা ।
কিন্তু কই কেউ তো কিছুই করতে পারছে না ।
ক্ষুদিরাম, মস্টার দা সূর্যসেন এর দৃষ্টান্ত কেবল
বইতে লেখা মাত্র। তা থেকে জ্ঞান নিয়ে নিজের
জীবনে প্রতিফলিত করার কোন ইচ্ছা কিংবা আগ্রহ কোনোটাই নেই
আমাদের মধ্যে । এটা মানতে রাজি নই যে দেশের
যুবকেরা দেশকে ভালবাসে না । তাদের যথেষ্ট
ইচ্ছা আছে । কিন্তু তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের কোনো প্রচেষ্টা নেই । কারন বাবা-মা থেকে শুরু
করে সঙ্গিনী পর্যন্ত কেও না কেও তাকে ঠেকাবেই ।
এগুলো ভালো না, করে কি লাভ ? তুমি সমাজ
পরিবর্তন করতে পারবে না, একা একা কি পারা যায় ?
“হাঁ হাঁ হাঁ” চলেছে দেশ পরিবর্তন করতে - এমন
কটূক্তি শোনার পর কারো ইচ্ছা হয় না কিছু করার ।
আমাদের দেশ কে নিয়ন্ত্রন কিংবা পরিবর্তন এর
প্রধান রাস্তা রাজনীতি । তাই আমাদের সকলের
উচিত সমাজে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা । ডাক্তার ,
ইঞ্জিনিয়ার , জজ , ব্যারিস্টার এর পাশাপাশি আমাদের
সমাজে মেধাবী নেতার ও প্রয়োজন রয়েছে । যারা পারবে দেশকে নতুন
আঙ্গিকে সাজাতে এবং সত্যিকার
অর্থে পরিবর্তনের ধারা বয়ে আনতে । পাশের দেশ
ভারত কে দেখলে বোঝা যায় , সচেতন যুব সমাজ
দ্বারা একটি দেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম উন্নত
দেশ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেই চলেছে ।
সে দেশেও দুর্নীতি আছে কিন্তু সেটা তারা নিয়ন্ত্রন
করতে পেরেছে বলেই তারা এতো দ্রুত প্রসারতা লাভ
করছে সমগ্র বিশ্বের সামনে । আমাদের দেশের যুব
সমাজকেও একত্রিত করে নতুন
নেতৃত্বে রাজনীতিকে পাল্টে দিতে হবে । 'নুর হোসেনের মত বুকে পিঠে গনতন্ত্র মুক্তি পাক' লিখে রাস্তায় নামতে হবে ।
শুধুমাত্র আমাদের আন্তরিকতা , সহযোগী মনোভাব ,
দেশপ্রেম , সুশিক্ষা , ন্যায়পরায়ণতা , সততা এর
সংমিশ্রনেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব । তাহলেই বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ
হতে পারব আমরা এবং আমাদের আজকের যুবসমাজ ।

এবং আমিও বলতে পারব “দেশ পরিবর্তনের সেই
মিছিলে আমিও ছিলাম ,
যেখানে তোমরা আজ সমাবেত হয়েছ ।”
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×