খাওয়ার পর্ব সেরেই আমরা আবার আমাদের হরিণ দেখার অভিযান শুরু করি,এবার উদ্যম আরও বেশি।প্রথমেই আমরা গিয়েছিলাম নামার বাজার এর দিকে কিন্তু আমরা নিরাশ হয়েছিলাম কারন অখানে হরিণ ছিল না।এরপর আমরা যাই আরেকটা(নাম মনে করতে পারছি না),আল্লাহর অশেষ রহমতে সেখানে আর নিরাশ হই নি।আমরা দেখা পেয়েছিলাম সেই অপূর্ব দৃশ্যটির যা দেখে আমাদের চোখ সার্থক হয়েছিলো।
হরিনের পাল।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না,এই জায়গাটির ১০০০ গজের মধ্যে মানুষের বসতি ছিল,কিন্তু কোন মাথা ব্যাথা নেই কারন উনারা এই দৃশ্য নিয়মিত দেখেন।
তবে একটা কথা আমি এখানে সব ভ্রমণ পিপাসু ব্লগারদের বলতে চাই যে যারা নিঝুম দ্বীপ যাবেন তারা কখনই এটা ভাববেন না যে হরিণ দেখা শেষ তো নিঝুম দ্বীপ দেখা শেষ।এমনটা ভাবা যে কত বড়ো ভুল সেটা আপনারা পরবর্তী ছবিগুলু দেখলেই টের পাবেন।
আমরা হরিণ দেখার পর এই জায়গাটিতে গিয়েছিলাম।এখানে তখন শুটকি শুকানো হচ্ছিলো,মৃদু বাতাস ছিল এক কথায় রোমান্টিক পরিবেশ।
সেখানে গিয়ে দেখি পাখির মেলা বসেছে,আপনারাও দেখুন।
এই পাখিদের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না।
এমন দৃশ্য বাংলাদেশের আর কোথাও দেখা যায় কিনা আমাদের জানা নেই।
আমি মুহূর্তের জন্য ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম।
পাখির দল একবার উড়ে যাচ্ছিলো নদীর মাঝখানে আবার এসে বসছিল ডাঙ্গায়।
আর কত ছবি দিব বুঝতে পারছি না টাই শেষবারের মতো একটা দিলাম।
শান্ত নদী।
এরপরে আমরা গিয়েছিলাম দুবাইর চরে তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। দুবাইর চরে সাধারনত জোয়ারের সময় যেতে হয় তা না হলে পানি থাকে না সুতরাং নৌকাও চলে না।
এই রাস্তা ধরেই দুবাইর চর যেতে হয়,এই রাস্তা নাকি মহিলারা বানিয়েছেন।
আমরা দুই বন্ধু কাঠের সাকোর উপরে।
দুবাইর চরে আকাশের রঙ তখন এমনই ছিল।
তখন সূর্য মামা বিদায় জানাচ্ছিল।
এমন মুহূর্তে ছবি না তুললে সেটা নিজেদের উপরে অবিচার হয়ে যেত।
চরের ভেতরের রাস্তা।
এই নৌকা দিয়ে আমরা পার হয়েছিলাম।
এভাবেই শেষ হয়েছিলো আমাদের নিখুম দ্বীপ অধ্যায়।আমি সবাইকে অনুরোধ করবো যে নিঝুম দ্বীপ ঘুরে আসতে,আপনার নাগরিক জীবনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে নিমিষেই।নিঝুম দ্বীপ আপনাকে খালি হাতে ফেরাবে না সেই গ্য্যারান্টি আমি দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:২৩