দৃশ্যপটঃ
তিনদিন তিনরাত জাগিয়া মদন কুমার তাহার স্ব-স্বীকৃত প্রেমিকা নন্দিনীর কাছে একটি পত্র লিখিয়াছে, হাজারটি কাটা-কুটি এবং কয়েকশত বানান ভূল মাখা সেই প্রেম-পত্র পাইয়া আজ দুইদিন ধরিয়া নন্দিনী অজ্ঞানপ্রাপ্ত হইয়াছে, সংজ্ঞা ফিরাইয়া আনার নিমিত্তে নন্দিনীর মন-দুয়ারে কড়া নাড়িতে নাড়িতে, মদন কুমার চিৎপটাং হইয়াছে আধাঘন্টা হইবে।জল আনার নিমিত্তে দৌড়াইতে গিয়া হোঁচট খাইয়া পড়িয়াছে ও বাড়ির কাজের ছেলে ভ্যাবলাকান্ত। এহেন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাড়িটি একটি নিরব গম্ভীর রুপ ধারন করিয়াছে।
চরিত্র পরিচিতঃ
নন্দিনীঃ
তাহার বসন্ত আসে আর পার হয়, প্রতি বসন্তে একবার করিয়া বিভিন্ন প্রেমিক কর্তৃক নতুন রুপে অজ্ঞানপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন, এই বসন্তে ঘাড়ে চাপিয়াছে মদন কুমার।
মদন কুমারঃ
সদা গোবেচারা এই বালক, একটি পত্র লিখিতে যাইয়া তিনটি কাঠ-পেন্সিলের সলিল সমাধি সম্পন্ন করিয়া যতটা না দ্বিধাগ্রস্থ হইয়াছে সর্বশেষে নন্দিনীর জ্ঞান বিলোপ ও তিন রাত্রি নিদ্রাহীন থাকার ক্লান্তি তাহাকে চিৎপটাংয়ে নিগুঢ় উৎসাহ প্রদান করিয়াছে, এবং মূলত সে অজ্ঞান না হইয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। তাহার এই অজ্ঞান হবার ভানে লাভের গুড় যাহা মিলিয়াছে তাহা হইলো তাহার ভ্যাবলা কাজের ছেলে ভ্যাবলাকান্ত চিৎপটাং হইয়াছে।
উপরের আলোচ্য দৃশ্যে সবার অজ্ঞানপ্রাপ্তিতে সমুদয় যে ক্ষতি হইলো তাহার জাভেদা বাহির করিতে যাইয়া এদিকে একটি বালক পরীক্ষা কেন্দ্রে অজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া সর্বশেষে অক্কা প্রাপ্ত হইয়াছে....
সমাপ্ত