somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম আর সংস্কৃতির মোরগ-লড়াইকে প্রতিহত করি, আসুন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ ভোর ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আচ্ছা আমাকে কেউ কি একটু বলবেন যে, এই বস্নগটি সৃষ্টির পেছনে উদ্দেশ্য কি? আমার কম বুদ্ধিতে যতোটুকু বুঝেছি তাতে মনে হলো, বাঙালির ইন্টারনেট প্রজন্মকে একটি জায়গা করে দেওয়া যেখানে আমরা সবাই এসে নিজেদের কথা বলতে পারি, বিনিময় করতে পারি মনোবাদ। প্রিয় বস্নগার, দেখুন আমি মতোবাদ বলিনি, বলেছি মনোবাদ, মানে মনের কথাগুলোই যেনো প্রকাশ করতে পারি। এখানে রাজনীতি থাকতে পারে, থাকতে পারে প্রেম-ভালোবাসা কিংবা হতাশার কথাও। যিনি এসব লিখবেন আর যিনি তা পড়বেন, এই দুয়ের মাঝে যেনো তৈরি হয় অদৃশ্য কোনও বন্ধন যা পার্থিব নয়, নির্ভরতার, নির্ভারতার।
কিন্তু আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, কেউ কেউ এই বস্নগটিকে বেছে নিয়েছেন নিজেদের ধমর্ীয় উন্মাদনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। যেমন আজকে একজন বস্নগারদের ইসলামী জ্ঞান কতোটুকু সেটা জেনে নেওয়ার জন্য একটি প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি ধরেই নিয়েছেন যে, এখানে যারাই আসছেন সকলেই মুসলমান। আহারে, আমাদের এই বোকামিটা যে কবে যাবে!! আমরা যে কবে নিজেদের শুধুই মানুষ বলে ভাবতে শিখবো কে জানে?
আপনাদের কি মনে হয় না যে, আমরা মানে এই পৃথিবীর মানুষেরা যদি নিজেদের শুধুই মানুষ হিসেবে ধরে নিতাম তাহলে অনেক সমস্যার উদ্ভবই হতো না? ধরম্নন পৃথিবীতে কোনও ধর্ম নেই, আর ধর্ম না থাকাটাই হচ্ছে, এক ধর্মের অন্যের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরের যুদ্ধদ্বন্দ্বের অবসান, নয় কি?
আজকে ধর্মে-ধর্মে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির বিরোধ। দেখুন পূর্ব-পশ্চিমের লড়াইটি কিন্তু শুধুমাত্র ইসলাম আর খ্রিস্টান কিংবা ইহুদিবাদের লড়াইয়ে থেমে নেই, পূর্বে যেমন পশ্চিমেও তেমনই মানুষের সংস্কৃতির ইতিহাসের সঙ্গে ধর্ম পালস্না দিয়ে চলতে না পেরে ধর্ম কোথাও তলোয়ার নিয়ে, কোথাও রামদা নিয়ে কোথাও বা পারমাণবিক বোমা হাতে নেমেছে সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে তার জায়গা দখলের জন্য। বাঙালির শ্বাশ্বত সংস্কৃতির সঙ্গে মরম্ন-ধর্মের এই লড়াইতো প্রায় কয়েকশ বছরের। কিন্তু সংস্কৃতির অসত্দিত্ব এতোটাই গভীরে যে, এখনও পর্যনত্দ ধর্ম তার পুরোটা দখল করে নিতে পারেনি। এখনও তাই আমাদের মাঝে বাঙালির সংস্কৃতির নিবু নিবু সলতেটি জ্বলায়মান। কিন্তু কতোদিন সেটা থাকবে সেটা বলা দুষ্কর।
দোহাই আপনাদের, দয়া করে এই বস্নগে, মানে অনত্দর্জালিক এই মিলনৰেত্রে আপনারা বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্মের মোরগ-লড়াই লড়িয়ে মজা দেখবেন না, বরং আসুন না আমরা একুশের এই লগ্নে সংস্কৃতির ওপর ধর্মের এই আঘাতকে প্রতিহত করি আমাদের সর্বাত্মক ৰমতা দিয়ে। ধর্মকে আমরা জায়নামাজে, মসজিদে, মন্দিরে কিংবা গীর্জাতে রেখে দিই কিংবা স্থান করে দিই আত্মায়, কারণ আত্মার শুদ্ধিইতো সকল ধর্মের বীজমন্ত্র, নয়? তবে কেন আমরা ধর্ম নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি করছি? আসুন না নিজেকে এই প্রশ্নটি করি এখন?
ধর্ম আর সংস্কৃতির মধ্যে বিরোধ নয়, সংস্কৃতি ধর্মের ধারক, সংস্কৃতি ধর্মকে যেদিন ছেড়ে দেবে সেদিন মানুষ শুধু ধর্মহীন নয়, একেবারেই পঁচে-গলে যাবে _ এটা কি সত্যি নয়? পৃথিবীময় এরকম উদাহরণ কি নেই? তাই আসুন না, আমরা নিজেদের হেজে-মজে যাওয়ার হাত থেকে রৰা করি।

সবাইকে একুশের ফাগুন-শুভেচ্ছা......আসুন না এই অনত্দর্জালিক এই জ্যোৎস্নায় অঙ্গ ভিজিয়ে চুটিয়ে গল্প করি...........
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×