আমি চোখ বন্ধ করে বসে থাকি কিছুৰণ, বুকের ভেতর নিঃশ্বাসে ভরে নিতে চাই বিছিয়ে থাকা অজস্র-অর্ঘের সুগন্ধ, যেনো তা কোনওদিনও বেরিয়ে না যায়, মনে হয় এই মুহূর্তে যদি মৃতু্য হতো, আমাজনের সবুজ সাপ যদি একমাত্র আমাকেই ছোবল হেনে আমার সঙ্গেই চলে যেতো সেই-ই খানে, যেখানে বসনত্দ বারমাস; আমি স্বর্গ কিংবা বেহেশতের কথা বলছিনে, আমি বলছি আত্মার সেই মার্গের কথা, যেখানে থোকা থোকা জারম্নলে বেগুনি আগুন জ্বলে, যেখানে আছে ভাষা শহীদের পবিত্র আত্মাবৃন্দ _ এই জায়গাটা আর কোথাও নয়, চৌদ্দকোটি বাঙালির মনমননহৃদয়ে।
মনে হচ্ছে, আজ যদি কেউ বলে, এসো রোদ-রোদেলা-রোদ্দুরে ফানুস ওড়াই, যদি বলে বুকের ভেতর ঘর আছে ভালোবাসার, তবে তাকে ঘুমভাঙা চোখের সম্মোহীন দৃষ্টি হেনে বলবো, চলো; তারপর, উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুল ঝরিয়ে হেঁটে যাবো, যাবার পথে 'য়ড়াইয়া' দিয়ে যাবো সেই দুঃখে চোখেরও পানি, যে পানিতে ভেসে বেড়াবে হাঁস, নাকি দীর্ঘ গ্রীবার মরালি; পয়মনত্দ সুখ আমাদের ঘিরে ধরবে তখন, কারণ আমরা জানবো, বাংলাদেশের জলের হাঁসও কথা বলে বাঙলায়।।
আজ একুশ শতকের একুশে
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০