১৪তে পদার্পন, যৌবনের মানে বুঝিনা
প্রেম মানে বুঝি, কারো জন্য হৃদয়ের মনি কুঠায়
বসত তৈরী করা। কান্না, হাসি, সুখ-দুঃখে নিজেক জরিয়ে নেয়া।
সুন্দরী ললনা, বদরুন নেসা খাঁনম
ক্লাসরুমে চেয়ে থাকি তার দিকে, অপলক দৃষ্টিতে
কোন্ মায়া জ্বালে, কিসের বন্ধনে তাতো জানিনা।
পরিশেষে দারিদ্রতার বেরাজ্বালে নিজেক সামলিয়ে
কষ্টের প্রথম পাহাড় তৈরী, অপরাজিত সৈনিক
অতপরঃ প্রথম প্রেমের সমাধি।
১৬তে কিশোর মন, জিবনের নতুন পদার্পন
কাশেম বিনের প্রেমের গণ্প পড়া, প্রেমর ছবি দেখা
এসব যথন নেশা, অতপরঃ পল্পের বই নিয়ে বসে থাকা রাত বিরাতে।
সুন্দরী শারমিন সুলতনার উপহার দেয়া সেই উপন্যাস
ভেতরে পেলাপের পাপড়ীর মিশ্রিত কাগজের চিরিকুট যেখানে লিথা ছিল
বিখ্যাত সেই দুটি লাইন “একাকি নিরালায় ভাবি শুধু তোমায়
কত যে ভালোবাসি কি করে বলি তোমায়” অতপর প্রেমে পড়া
কিন্তু আমিত প্রতিষ্টিত নই, নিজের পায়ে দাড়াতে শিখিনি
পারিবারিক দেয়ালে স্পষ্ঠ করে লেখা ছিল - প্রেম করা অপরাধ
অতপরঃ প্রেমিকার চলে যাওয়া, কাঁদিতে কাঁদিতে পেছন দিকে ছেয়ে থাকা
কষ্টের দ্বিতীয় পাহাড় তৈরী, দ্বিতীয় প্রেমের সমাধি।
১৭তে প্রতিবেশীর শাহজাহান চাচার বাড়ীতে বেড়াতে আসা হোসনা আক্তার (মলি)
সেও নাকী করবে আমায় বলি, বলল ভাই আপনি একদিন অনেক বড় হবেন
দেশে ফিরে প্রায় চিঠি লিখতো, চিঠির ভাষায় বুঝা গেল ভাল বাসে সে আমায়
আর কত দাগ কাটবো মনে?. এ যে মাঠির তৈরী
তবে কেন জানি না পরিশেষে তাকেও ভালো লাগলো
কিন্তু সে ময়মনসিংহ শেরপুর, আমি থাকি শ্রীমঙ্গল,
দুরত্বটা এমনই ছিল যে চিঠির সাথে প্রেম ছাড়া কোন উপায় ছিলনা
বার বার ”তুমি একদিন অনেক বড় হবে” এই কথাটি মনে পড়তো
বলতাম আমিতো এখন অনেক বড় হয়েছি, আর কত বড় হলে তুমাকে পাবো?
নদীর শ্রোতের মত ভাসিয়ে নিয়ে গেল মলিকে, আমার জীবন থেকে অনেক দুড়েে,
আজ সে কোথায় আছে, কেমন আছে জানি না।
আমি আজও তাকে খুজি, এই ডিজিটাল জগতে
সে কোথায় আছে, আমায় কি তার মনে পড়ে.....।
১৮ তে ব্যবসায়ী, হাতে টাকা, পকেট ভারী
ছলনাময়ীদের আনাঘোনা
জালালিয়া রোডের মনি, আমি নাকি দেখতে খুবই সম্পার্ট, সুন্দর
অতপঃ প্রেমের প্রস্তাব, শ্রীমঙ্গলের শ্যামলি নামক স্খানে
প্রেম আমি কবর নাকো, থাওয়াব কি? পড়াব কি?
আমার বলতে আমি আছি, আর কিছুতো নাইকো আমার
মনির সেই ডায়লগটা আমার আজও মরে পড়ে
বাংলা সিনেমার নায়িকাদের ভুমিকায় বলল-
“আমি এ পৃথীবিতে কিছু ছাইনা, তুমি ছাড়া, ভালবেসে তোমায় নিয়ে গাছের নিছে করব বসবাস” অথচঃ আবার স্বপ্ন দেখা, প্রেমের বাজারে সদাই শুরু
প্রেমিকা মনির চাওয়া পাওয়া বিশাল, চাহিদা অপরিসীম
যুবতি মনি ডুব দিতে চায় যৌবন সাগরে,
কিন্তু আমি যে অবুঝ,
চাওয়া পাওয়া ভিন্ন মতবাদী, প্রেমিকাকে চুম দিতে লজ্জায় লাল আমি!
সাহস ছিলনা ওর যৌবন সাগরে ডুব দেওয়ার,
প্রেমিকা মনি আমার ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে নীতিবান হয়ে উঠে।
প্রান প্রিয় বন্ধু সায়েদ, মিশন রোডের সেই বাসায়
আমার সোনা মনিকে নিয়ে, নিশকলংখ, অবুঝ ভালবাসার সময় পার
বন্ধুর সায়েদের প্রতি সহানোভুতি দেখিয়ে মনি ধর্মের ভাই বলে সম্মোধন করল।
একদিন আমার বাড়ি যেতে চায়, আমার মা-বাবাকে দেখতে চায় মনি
বাবা-মা ছেলের প্রানের মনিকাকে পেয়ে মহা খুশি!
খুশি হলনা মনি! গ্রামের বাড়ির সাধারন ঘর-বাড়ি মনির ভাল লাগেনি
মনির ভালবাসার দেয়ালে তীর ছুড়ল সায়েদ, তুমিতো শহরের মেয়েগো
এই পরিবেশে তুমি কি ভাবে থাকবে ? অতপরঃ মনির নাকোচতা
বান্দবীর বরাত দিয়ে জানিয়ে দিল, সে আমার সাথে আর.....
কি করব আমি ভেবে পাইনি, মদ গাঁজা খাওয়া শিখিন তখনও
আত্না হত্যা করব কি? বন্দু থয়রুল সারাক্ষর সান্তনা দিয়ে বাছিয়ে রেখেছে
চোখের সামনে দিয়ে বন্ধু সায়েদ/বেইমান সায়েদের মনিকে নিয়ে প্রেম খেলা
এ দৃ্শ্ব দেখার কষ্টের মাত্রা কি, শুধুমাত্র তারাই জানে যাদের জীবনে এসছিল এ ঝ্বর
আমি নিজেকে কি ভাবে সামলিয়ে নিয়েছিলাম জানিনা।
একদিন শুনলাম মনি আর সায়েদ পালিয়ে বিয়ে করেছে, আসমানটা যেন ভেঙ্গে আমার মাথায় পড়ল
কিন্তু আমি কেন জানি এত অসহায় ছিলাম।
সায়েদের উপর চড়াও না হয়ে মনির উপর অনেক অভিমান হল আমার,
আরে আমার যে সে যদি ছলে যায়, আমি অন্যকে কেন টানবো
আবরও কান্না, নিরব কান্না, নৈপথ্যের কালো ঝর আমাকে ভেঙ্গে ছারকার করে দিচ্ছে
আজ সায়েদ মনির ধর্মের ভাই থেকে মানির ছেলে মেয়ের বাবা,
ছি, ছি এই দুনিয়ার বন্ধুত্বের বন্ধনাকে, ভা্বতেও বুক ফেটে যায়, কিন্তু এ্টাই যে বাস্তব।
চলবে.......