somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলোমেলো চিরকুট...

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চড়ুই-ডাকা ভোর-পর্ব...
ভোরে ঘুম ভেঙ্গেছে একগাদা শহুরে চড়ুইয়ের কিচির-মিচিরে। রাতে একটা এসাইনমেন্টের কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমুতে গেছি দুটোর দিকে। চোখ খুলে দেখি মনিটরটা ড্যাবড্যাব করে এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
বারান্দার দরজা খোলা ছিল, তাই এই শব্দ বিপত্তি। চোখে ঘুম আর একগাদা ক্লান্তি নিয়ে বারান্দায় এসে দেখি ...চড়ুইয়ের মেলা বসেছে। বারান্দার গ্রিল, টব, মেঝেতে বসে একমনে কিচির-মিচির করছে। আমাকে দেখে কয়েকটা পালালেও বাকিদের কোন বিকার নেই। মনে মনে একটা ঝাড়ি তৈরি করেও, আকাশ দেখে থেমে গেলাম। ...আজকে যে ফাল্গুনের প্রথম দিন.. ভোরের আকাশের ক্যানভাস সেটা মনে করিয়ে দিল।
থাক বাবারা... ছানা-পোনা নিয়ে মনের সুখে ক্যাচক্যাচ কর।

অলস-দুপুর পর্ব...
মেইলবক্সে কয়েকটা শুভেচ্ছা জমে আছে দেখলাম। ...তার মধ্যে জনৈকা ডিজুস আমাকে হেপ্পি বসন্ত ২০০৯ জানিয়েছেন, আর তাদের বসন্ত ফেস্টিভ্যালের আমন্ত্রণ...।
:) ...হাসব না ঝাড়ি দেব বুঝতে পারছি না। ট্রাশ বক্সে পাঠানোর আগে প্রতিউত্তরে বসন্তের কস্টিউম জনিত সমস্যার জন্য অপারগতা জানালাম। ...এগুলাকে পিটিয়ে হলুদ করা দরকার।

X( ...ভদ্রতা একটা বড় সমস্যা... অনেক উচিত কাজ করা যায় না। ...আফসোস।

আমার সাথে এখানে আমার এক কাজিনও থাকে। উনি মৈনাক পর্বত বিশেষ। প্রতি শুক্রবারে উনি গোসলের পর উদোম গায়ে ওজন মাপা মেশিনে চাপেন। আর তারপর পাশে রাখা খাতায় রিডিং লিখে রাখেন। ...তবে ৮৫ কেজির ভুক্তির পরের সব ভুক্তিতে লেখা "আফসোস"!! যতদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে ততদিন এটা লেখা হবে।
...দুপুরে দেখি হেভি মান্জা দিয়ে হলুদ হয়ে বেরুচ্ছে। আজকে শুক্রবার হওয়ায় একটা সুবিধা হয়েছে। অফিসওয়ালারাও আজকে মুডে আছে।
তবে এই বেচারা বছরের বেশিরভাগ সময়েই হৃদয়জনিত সমস্যায় জেরবার থাকেন।
আমি এখনও ওনার বালিকা সখীদের মধ্যে কে শুধু বন্ধু আর কে বিশেষ বন্ধু বের করতে পারিনি।

উদাস বিকাল পর্ব... :)
মাঝে আমি-তুমি মার্কা গানশোনা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কি দরকার দুঃখ্য বিলাস করে। সব রকম দুঃখ্য-দুঃখ্য-ভাব পাশ কাটিয়ে যাবার চেষ্টা করি অকারণ ব্যস্ততার খোলসের মাঝে থেকে।
তারপরও আজকাল ব্লগের জন্য কিছু চমৎকার গান শোনা হচ্ছে।

সম্ভবত প্রকৃতি চায় ...আমরা কিছুটা দুঃখ্য, কিছুটা উদাসী আমেজ জীবণের গল্পে মিশিয়ে নেই।

...তাই সবকিছু ভুলে থাকতে চাইলেও স্নিগ্ধ ভোরের রংছুট আকাশ, আলতো করে ছুয়ে যাওয়া বাতাস, ঘুমধরানো দুপুর, নতুন পয়সার মত ঝকঝকে চাঁদ... সবাই যেন কারো রেখে যাওয়া একটা শূণ্যস্থানের কথা বার বার মনে করিয়ে দিতে চায়।

বসন্ত এবং গোধূলী পর্ব...
আজকের শেষ বিকেলের আকাশটা সেইরকম ছিল। সম্ভবত আকাশ দেবতার রঙছিটানোতে আজকের স্পন্সর ছিল "বার্জার বা এশিয়ান পেইন্টস"। ....অনেকদিন পর ছাদে দাড়িয়ে সূর্য্যটাকে ঘুমুতে যেতে দেখলাম। ...ভূগোলের ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন... পিচ্চিকালে আমার এটা ভাবতে খুব ভাল লাগত... সূর্য্যটা সারাদিনের কাজ শেষে ঘুমুতে যাচ্ছে। ...নিজে ঘুমুতে যাবার আগে মনে মনে ভাবতাম কাল সকালে সূর্য্যেরও আগে উঠতে হবে।

শেষ বিকেলের হালকা ঠান্ডা মেশানো বাতাসে বুঝলাম ...ভেতরে কোথাও কোন বরফে বসন্তের আঁচ লেগেছে। হৃদয়ের কোন মেরু থেকে বরফ গলে আসা পানিটা অকারণেই চোখ ভিজিয়ে আকাশটা ঝাপসা করে দিচ্ছিল।
চোখ তুলে উপরে চেয়েছিলাম এই আশায়... হয়ত কোন বাতাস করুণা করে চোখের ভেজাটুকু শুকিয়ে দিয়ে যাবে। ....ঝাপসা চোখে আকাশের প্রায় মুছে যাওয়া রঙগুলোর মাঝে হটাৎ করেই একটা চেনা রঙ চোখে পড়ল... যেটাকে ভালবাসার ...অথবা ...কষ্টের রঙ বলা যায়।

বুঝলাম... আমার মত আকাশেও কারো বুকে ক্ষরণ হয়ে চলেছে...।


ফেনায়িত আজাইরা প্যাঁচালের জন্য ...দুস্কিত,আফসোসিত...। :)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৯
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×