আমি প্রথম যখন “খোজ- দি সার্চ” দেখি তখনি অনন্ত আর বর্ষার একনাম্বার ভক্ততে পরিনত হই। তাই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম তাদের নতুন সিনেমার জন্য। তাই প্রথম শো-এর টিকেট কাটলাম। এবার আমাদের সবার প্রিয় নায়ক অনন্ত আর নায়িকা বর্ষার বছর শেষ হবার আগে নতুন উপহার। কি দারুন তাদের অভিনয়শৈলী । কিভাবে পারে একজন মানুষ এত চমৎকার করে হল ভর্তি মানুষকে হাসাতে?
এবার আসি সিনেমার কাহিনী নিয়েঃ
নায়ক অনন্তের বাবা আলমগির একজন ভূমিদস্যু। সে সমস্ত জমি নিজের করে পেতে চায়। উনার ডায়লগ- “টাকা মাটি, মাটি খাঁটি”। আলমগিরের বউ দিতি একজন আইনজিবি। আলমগিরের অবৈধ সন্তান অনন্ত। যাই হক অনন্ত-এর জন্মের পর তাকে ফেলে দেয়া হয় জঙ্গলে আর তার মাকে মেরে ফেলা হয়। অনন্তকে জঙ্গল থেকে খুজে পায় দিতি আর তাকে বড় করে তোলে। বড় হবার পর অনন্ত কে ব্লাকমেইল করে তার মাএর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় আলমগির আর সন্ত্রাসী করে তোলে। এরপর অনন্তকে খুনের দায়ে যাবজীবন জেলে পাথিয়ে দেয় আর সেখানে পরিচয় হয় জেলার রাজ্জাকের সাথে। এরপর জেল থেকে মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসে দেখে দিতি জীবিত[সে কি অ্যাকশান জেলের ভিতর]। এরপর নকল পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় অনন্তকে। অনন্ত সেই পুলিশের গাড়ি ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। এরপর অনেক কাহিনী, মারামারি ও অবশেষে অনন্ত নিজেকে আবিস্কার করে এক নিরজন দ্বীপে। সেই দ্বীপ থেকে গাছের পাতায় দিতিকে চিঠি লিখে উড়িয়ে দেয় অনন্ত- আমি নতুন করে অ্যারোডায়নামিক্স শিখি এখান থেকে – একটা পাতা কয় কিলোমিটার যায় হাতে উড়িয়ে দিলে ।একসময় সেই দ্বীপে পানিতে ভেশে আসে বর্ষা। দারুন প্রেম “না তুম জান না হাম” এর মত। তারপর নায়িকা কে বাঁচাতে দুইবার হাঙ্গরের সাথে যুদ্ধ। নায়কের কাঁচা মাছ খাওয়া- ইত্যাদি। এই সিনেমা দেখলে পাথর ঘষে কিভাবে আগুন জালাতে হয় তা জানা যাবে।
একসময় সেই দ্বীপ দখল করতে আসে আলমগির। লুচ্চা আলমগিরের চোখ পরে বর্ষায়ের উপর । তাকে ধরে নিয়ে যায় নিজের রংমহলে । নায়ক এসে তাকে মুক্ত করে, পুলিশ রাজ্জাক আলমগিরকে বন্দি করে আর মা, ছেলে, ছেলের বউ এর মিলন দিয়ে শেষ হয় সিনেমাটি।
অসাধারণ এর ডিজিটাল এফেক্ট, গানের কথা-নাচ, কাবিলা এর কমেডি আর ইলিয়াস কোবরায়ের অ্যাকশান।