১। একজন খারাপ চরিত্রের লোক ছিল।
সরাসরি বলা যায় বিকৃত রুচি।
সে খালি মেয়ে মানুষ না, ছেলে, বৃদ্ধা, পশু, পাখি, গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল, মশা, মাছি যা পাইত তার সাথেই আকাম কুকাম করত।
জীবনের প্রথম ২২ টা বছর তার এভাবে গেল।
বলাই বাহুল্য সব শয়তানের কু-মন্ত্রনা।
এর পর জানি তার কি হল সে একদিন হঠাৎ ভাল হয়ে গেল।
সে বলল আগামী ২২ বছর আমি খালি ধ্যান করব এরপর সে ধ্যান করা শুরু করল।
কঠিন সাধনা এবং তপস্যা।
সে ভাল হয়ে গেল।
শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল!
যেভাবেই হোক ২২ বছরের আগে তার বিচ্যুতি ঘটাতেই হবে।
ধ্যান করার বয়স যখন ৫ বছর তখন শয়তান তার সামনে মুনমুন আর ময়ুরী কে আনল।
নাহ খারাপ চরিত্রের লোকটার তারপরেও ধ্যান ভাঙ্গলনা।
১০ বছর পর তার থেকে বেটার কোয়ালিটি বাংলাদেশের সুন্দর ফিগারের মডেল গুলাকে আনা হল।
নাহ এখনও ধ্যান ভাঙ্গেনা। আরি কি আজব ব্যাপার!!
১৫ বছর পর ক্যাথরিন জিটা জোন্স, কেট উইন্সলেট এইসবও চলে আসল নাহ কিছুই হইলনা।
২০ বছররে সময় শয়তান একেবারে বেহেশতের হুরপরীগুলাকে আনল।
নাহ তাও ঐ লোকের ধ্যান ভাঙ্গেনা।
শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল! শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছে হার!!
এরপর শয়তান নিজেই মেয়ে সাজলো। মেয়ে সেজে ঐ লোকের কাছে গেল।
লোকের চোখ খুলল। দেখে সামনে অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে।
সে তারপর তার ধ্যান ভেঙ্গে আকাম কুকাম শুরু করল।
সব শেষ হওয়ার পর শয়তান নিজের বেশ এ ফিরে আসল।
শয়তানের ট্রেড মার্ক অট্টহাসি শুরু হল ... এবং বলল,
" মুহাহাহাহাহাহাহাহা, ভাংসি তোর ধ্যান ভাংসি!! মানুষ কখনও শয়তানকে হার মানাইতে পারবেনা! "
ঐ লোকটাও অট্টহাসি শুরু করল।
হুহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহ ...!
শয়তান অবাক!! কিরে তুই হাসোস ক্যান?
ঐ লোক এর জবাব,
" ২২ বছর আগে তো সবগুলারে লাগাইসি। এরপর খালি বাকি ছিল শয়তান!!
২২ বছর সাধনা কইরা আইজ শয়তান লাগাইলাম!! হুহাহাহহাহাহাহ ....! "
২। একদিন একটি বিমান মানসিকভাবে অসুস্থদের (পাগল) বহন করে চিকিৎসার জন্য একদেশ থেকে অন্যদেশে নিয়ে যাচ্ছিল। পুরো বিমানটিতে পাগলগুলো চিৎকার করে শব্দদূষণ করছিল এবং এতে পাইলটের প্লেন চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। হঠাৎ করে একটি পাগল কিভাবে যেন পাইলট এর কেবিনে ঢুকে পড়ল।
পাগলটি পাইলটকে বলল,
পাগল: ভাই, তুমি কিভাবে প্লেন চালাও আমারে একডু শিখায় দাও। আমি কালকেই একডা প্লেন কিন্না নিজে চালায়া লং ড্রাইভে যামু।
পাইলট: আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু একটা শর্ত আছে।
পাগল: কি শর্ত?
পাইলট: আপনি যদি আপনার বন্ধুদের শান্ত করেন, তাহলে আপনাকে প্লেন চালানো শেখাব। কারণ তাদের চিল্লাফাল্লায় আমার প্লেন চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
পাগল: আচ্ছা, ঠিক আছে।
[৫ মিনিট পর প্লেন একদম শান্ত!!!]
পাগল এসে পাইলটকে বলল,
পাগল: হ্যাঁ ভাই, এখন শেখান।
পাইলটঃ Wow!! খুবই চমৎকার আপনি কিভাবে ওনাদের শান্ত করলেন?
পাগল: আমি গিয়া প্লেনের দরজা খুইল্লা সবাইরে কইলাম, "কেউ এখানে শব্দ কইরো না, যাও সবাই বাহিরে গিয়া খেলোগা"।
৩। মফিজের ইউরিন টেস্টের রিপোর্ট এক মহিলার রিপোর্টের সাথে বদলে গেল...
ডাক্তার মফিজকে বলল,
!
!
!
!
!
!
... ... "আপনি প্রেগন্যান্ট"..........
মফিজ এই কথা শুনে রাগে ফায়ার হয়ে তার বউ কে বলল,
!
!
!
!
"তোরে আগেই কইছিলাম আমারে উপরে থাকতে দে"
৪। এক গৃহকর্মী তার মালিক গৃহকত্রীর কাছে বায়না ধরেছে তার বেতন বাড়াতে হবে।
গৃহকর্মী আর মালিক গৃহকত্রীর কথপোকথন . . .
গৃহকত্রীঃ তোমার বেতন বাড়ানো হয়েছে ছয় মাসও হয় নি। এখনি আবার বেতন বাড়ানোর আবদার কেন?
গৃহকর্মীঃ এই সময়ের মধ্যে আমি তিনটি সার্টিফিকেট পেয়েছি...!! তাই বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি।
গৃহকত্রীঃ কি কি সার্টিফিকেট?
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে ভাল কাপড় আয়রন করতে পারি!!
গৃহকত্রীঃ কে দিয়েছে এই সার্টিফিকেট?
গৃহকর্মীঃ জ্বী, স্যার মানে... আপনার স্বামী......!!
গৃহকর্মীঃ হুম, আর কি সার্টিফিকেট পেয়েছো...... ?
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে ভাল রান্না করতে পারি...!
গৃহকত্রীঃ কে বলেছে তুমি আমার চেয়ে ভাল রান্না কর? (বেশ রাগত স্বরে...)
গৃহকর্মীঃ জ্বী, আপনার স্বামী বলেছেন...!!
গৃহকত্রীঃ আচ্ছা ঠিক আছে, হতে পারে তুমি আমার চেয়ে ভাল রান্না কর!
আমি কি চাকরানী নাকি যে ভাল রান্না জানতে হবে?
বলো আরেকটি কি সার্টিফিকেট পেয়েছ?
গৃহকর্মীঃ আমি আপনার চেয়ে বিছানায় ভাল পারফর্ম করতে পারি!!
গৃহকত্রী তো এবার রেগে আগুন হয়ে বলল, “ কি?! আমার স্বামী বলেছে এই কথা?? ওর সাথে তোমার তাহলে এইসবও হয়?!?”
গৃহকর্মীঃ জ্বী না, আপনার স্বামী বলেনি......!! বলেছে আপনার গাড়ির ড্রাইভার!!
৫। একবার এক পোলা বিয়ার পরে বাসর ঘরে ঢুকছে। ভালা পোলা। বিয়ার আগে কোন মাইয়ার সাথে কিছু করার চান্স হয় নাই । পোলা ফার্স্ট টাইম বউয়ের সাথে কইরা কঠিন মজা পাইছে। সকালে বউ উঠছে । পোলায় জিগায় কই যাও । বউ কইল নাস্তা বানাইতে যাই । পোলা কয় নাস্তা বানাইতে হবে না । এই দিকে আসো । কাছে গেছে পরে আরেক বার সাপ লুডু খেলল তারা। খেলার পরে পোলায় কয় এইটাই আমার নাস্তা। দুপুরে যাইব একি কাহিনি। বিকালে নাস্তা রেডী করতেছে বউ একই কাহিনী।দুই দিন পরে জামাই অফিস থেকে ফিরা দেখে বউ ছায়া কোমরের কাছে তুইলা চুলার উপর খাড়াইয়া আছে। পোলায় হাক কইরা উঠছে কি করো কি করো? বউ কইলো ” তোমার বিকালের নাস্তা গরম করি।