somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেড়ানোর গল্প( কুইবেক এর ছোট্ট পাহাড়ী শহর মন্টত্রম্বল্য)এক

২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ বছরেই জুলাই এর ২৭ তারিখে মন্টত্রম্বল্য(Mont Tremblant) গেছিলাম। কুইবেক এর একটা শহর।
মন্ট্রিয়েল আর অটোয়ার মাঝামাঝি।
বড় ভাই দেশ থেকে এসেছে। উনাকে নিয়ে এবার ঘোরাঘুরি। আসার পর প্রতি উইকএন্ডে কোথাও না কোথাও যাওয়া হচ্ছে....

সকালবেলা আবহাওয়া চ্যানেল দেখে মনটা একটু খারাপ হলো। বৃষ্টির সম্ভাবনা যেখানে যাচ্ছি সেখানে। এতো সুন্দর মন কাড়া একটা শহর....বৃষ্টি দিনে যেতে হবে!
যাই হোক সকাল সকাল উঠে মুরগীর বিরিয়ানী বানালাম। আর ডিম সিদ্ধ।

বানী,মনির ওয়াসীরা তিনজন আর আমরা পাঁচজন বড় ভাই সহ । পথে কোথায় কোন পিকনিক স্পটে থেমে খাওয়া হবে। তেমনই ইচ্ছা।
আল্লাহর নাম নিয়ে বের হলাম।



অটোয়ার বাইরে যেতে না যেতেই আকাশ কালো করা মেঘেদের উড়াউড়ি।
পাহাড়ী পথ দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম.....একদম রাংগামাটি যাবার অনুভূতি।
পাহাড়ের পাশ দিয়ে পথ। গান বাজছিলো দেশ থেকে বন্ধু অমিত এর পাঠানো বাংলা গানের সিডিতে.....সুবীর নন্দী,সৈয়দ আবদুল হাদী,বারী সিদ্দিকী।



এত ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো ,পাহাড়িয়া পথে গাড়ী চালাতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল ওর।
পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দেখি কোথায় কোন মেঘ থেকে নেমে আসছে সে কি ঝমঝম বৃষ্টি।
মনটা খারাপ লাগতে লাগলো......।

বৃষ্টি শেষ হতে না হতেই আমারা শহরে ঢুকে গেলাম......অবাক কান্ড এখানে কোন বৃষ্টি হয় নি।
মনটা এত ভালো লাগলো। বেড়ানোর জন্য একটা সুন্দর সোনালী দিন।
এখানে রাস্তাগুলো খুব আঁকাবাকা। একটা পিকনিক স্পটে গাড়ী থামানো হলো।
রাস্তার পাশেই।
পাশাপাশি ২ টা বেঞ্চে বসে খাওয়া হলো.....এত সুন্দর একটা দৃশ্য..
নদীর পাড়ে।



বানীদেরও এই প্রথম আসা। আমরা গত বছর এসেছিলাম......এবার ইচ্ছে ছিলো একদিন এসে একরাত থেকে ঘুরবার.....।কিন্তু বেশ ক'দিন আগে থেকে বুকিং না দিলে হোটেল পাওয়ার প্রশ্নই আসে না সামারে।

খাওয়ার পর্ব শেষ করে আমরা লেকের পাড়ে রওনা দিলাম..ভাগ্য ক্রমে গাড়ী পার্কিং এর খুব ভালো জায়গা পেলাম লেকের পাশেই। তাও আবার ফ্রী পার্কিং। এত সুন্দর জায়গায় ফ্রী পার্কিং দেখে আমরা তো রীতিমত অবাক।


পানির শব্দ আসছিলো পাশে কোথাও থেকে। ঝর্নার পানির মত শব্দ.....। একটু হেঁটে এগিয়ে দেখি খুব সুন্দর একটা বাঁধানো বাঁধের উপর থেকে পানি নামছে ঝর্নারই মত।
জায়গাটা এত সুন্দর।
সবুজ গাছের পাতাদের ছায়া পানির উপর। মনে হচ্ছিল অনেক সময় বসে থাকি কাঠের ঘরটায়।



ছবি তুললাম অনেক।
এরপর হেঁটে হেঁটে লেকের দিকে।
এই সেই লেকের পাশের দারুণ জায়গাটা যা আমাকে দারুণ ভাবায়।
মন খারাপ থাকলে আমি এই সুন্দর জায়গাটার কথা ভাবি।পাহাড়ের পাশে বয়ে যাওয়া এই লেকটা মনটাকে কেমন উন্মনা করে দেয়।



বড় ভাই খুব পছন্দ করলেন জায়গাটা....।
অনেক্ষন বসা হলো।এখান থেকে সবাই রিভার ক্রুজে যায়.......পাহাড়ের উপর বাড়ীঘর গুলো এখান থেকে ছোট্ট মনে হয়।
পানির পাশে বসে থাকার আনন্দই আলাদা।



ভিলেজ এড় প্রথমেই একটা ঘড়ি।
নীচের অংশে বেশিররভাগ দোকান পাট। রেষ্টুরেন্টও আছে।
ইট বিছানো পথ....।যেখানে হাঁটলে নিজেকে কেমন যেনো অন্য রকম লাগে।
নিজের মধ্যেকার ভালোগুলো আলো হয়ে যায়।মানুষের ভীরে নিজেদের খুঁজে ফেরা।
এখানে কেউ একা এলে আমি নিশ্চিত তার মনে হবে পাশে কেউ থাকলে ভালো হতো। ছায়ার মত পাশে পাশে হাঁটবে পাশাপাশি। কথা বলবে।

শহরের এই জায়গাটা খুব পছন্দ আমাদের দুজনের ও.....

pedestrian village বলে ওটাকে....।ওখানে শুধু পায়ে হাঁটা পথ।



চলবে......................................

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৪
৪৩টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাতে লাগে ব্যথা রে, কোক ছাইড়া দাও সোনার দেওরা রে…

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

"কোকাকোলার লোগো প্রতিবিম্বিত করলে তা আরবি বাক্য 'লা মুহাম্মদ, লা মক্কা' সাদৃশ্য হয়। যার অর্থ দাঁড়ায় 'না মুহাম্মদ, না মক্কা' (No Muhammad, No Mecca)।" এই ইস্যুতে একবার মুসলিম বিশ্বে বয়কটের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরফমানব এবং ইভের সাত কন্যা

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক সকাল বেলা। আল্পস পর্বতমালার ইতালী অস্ট্রিয়া সীমানায় এরিকা এবং হেলমুট সাইমন নামের দুইজন অভিজ্ঞ জার্মান পর্বতারোহী তাদের হাইকিংয়ের প্রায় শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছেন। গতরাতে আবহাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোকাকোলা সহ সকল কোমল পানীয় বর্জন করুন। তবে সেটা নিজের স্বাস্থ্যের জন্য, অন্য ব্যবসায়ীর মার্কেটিং কৌশলের শিকার হয়ে না।

লিখেছেন নতুন, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

মার্কেটিং এর ম্যাডাম একবার বলেছিলেন, "No publicity is bad publicity." প্রচারের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের মনে ব্র্যান্ডের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া। কিছুদিন পরে মানুষ ভালো কি মন্দ সেটা মনে রাখে না,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা আমাদের ঐতিহ্যের পোশাককে নোংরা পোশাক হিসেবে পরিচিত করতে চায়। ওরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে চায়।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০


"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।"

এক মৌলভী পোস্ট দিয়েছেন
"শাড়িকে একটি নোংরা পোশাক বানিয়ে দিয়েন না।
শরীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমূদ্র-সৈকতে - ১৬

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯



ছবি তোলার স্থান : মেরিনড্রাইভ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : পহেলা অক্টোবর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।

বেড়াবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় যায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমূদ্র সৈকত। কখনো কখনো আমারও সুযোগ হয় বেড়াতে যাবার।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×