"কোকাকোলার লোগো প্রতিবিম্বিত করলে তা আরবি বাক্য 'লা মুহাম্মদ, লা মক্কা' সাদৃশ্য হয়। যার অর্থ দাঁড়ায় 'না মুহাম্মদ, না মক্কা' (No Muhammad, No Mecca)।" এই ইস্যুতে একবার মুসলিম বিশ্বে বয়কটের ডাক এসেছিলো ।
.
মরক্কো ১৯৫৪ সালে কোক বয়কট করে কারণ প্রচারিত হতে থাকে কোকাকোলাতে শুয়োরের রক্ত মেশনো হয়। আফ্রিকানরাও এটি বয়কট করেছিলেন কারণ ছড়িয়ে পড়ে কোকাকোলাতে কড়া ডোজের কোকেন মেশানো হয়। ভারতীয়রাও বয়কট করেছিলো এই বলে যে, কোকাকোলাতে মানুষের দেহের বর্জ্য পদার্থ মেশানো হয়।
.
৭০ বছর পরে আবারো মরক্কোর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে কোকাকোলা বয়কটের হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছে, কোকাকোলা পান করা, তাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনের রক্ত পানের সমান।
.
প্রশ্ন হলো বয়কটের ৭০ বছর পরেও কোক এখনো কিভাবে ওদের বাজারে টিকে আছে?
.
এতো কিছুর পরও! পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ ‘ওকে’ এবং তার পরে ‘কোকাকোলা’ হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ, যেটা মানুষ উচ্চারণ করে থাকে। পৃথিবীর প্রায় ৯৪ শতাংশ মানে ধরতে গেলে সব মানুষই কোকোকোলার নাম জানে ।
.
এমনকি অনেকে বলেন তারা বাথরুম ভালো পরিষ্কার করতে কোক ব্যবহার করে থাকে ।
.
এক ঢোক কোক খেয়ে সার্চ দিতে থাকলে এমন অনেক তথ্য আপনি পাবেন । শুধু ফিলিস্তিনে ওদের ফ্যাক্টরি আছে এটা বলে কোকের পার পাওয়ার সুযোগ নেই ।
.
ঝামেলা হলো আমরা নিজেরা । দুদিন পর আমরা এসব ভুলে যায় । আবার ওদের আমরা কিনতে থাকি । কিনতে থাকি বলেই বছরের পর বছর বর্জন করার পরেও এখনো বাংলাদেশের কোমল পানীয়ের ৭০% কোক পেপসির দখলে!
.
হাতে লাগে ব্যথা রে, কোক ছাইড়া দাও সোনার দেওরা রে…,
.
কিন্তু দেওরা কি আসলেই হাত ছাড়বে? যে হাত ছাড়তে বলছে তার মনেও কিন্তু হাত ধরে রাখার আকুলতা লুকিয়ে আছে কিংবা থাকবে! সুযোগ পেলে সে এক ঢোক খেয়েও দিবে!